Sunday, November 29, 2015

হযরত সুলাইমান শাহ্ (লেংটাবাবা ) বেলতলি (র)


বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম

 গাউস হযরত সুলাইমান শাহ্ (লেংটাবাবা ) বেলতলি (র)জন্মঃ- বাংলা ১২৩০ সালে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে

 পর্দা গ্রহনঃ- ১৩২৫ সালের ১৭ই চৈত্র

 মাযার শরীফঃ- কুমিল্লার মতলব থানার বদরপুর গ্রামে

 পিতাঃ- হযরত আলা বক্স ভুইয়া

 প্রকৃত নামঃ- গাউস সুলাইমান শাহ্

 ডাক নামঃ- ল্যাংটা বাবা

 সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ- লেংটা বাবা ছিলেন দরিদ্র পিতা মাতার একমাত্র সন্তানছোটবেলায পিতা মাতা উভয়ে মারা গেলে বাবার আপন বলতে আর কেউই ছিল নাতখন বদরপুরে দূরসম্পর্কের এক বোনই ছিল তার একমাত্র অভিভাবকবাবা দেখতে খুবই ফর্সা রূপের ছিলেন,দূর থেকে দেখলে মনে হত কোন বিদেশি foreigner,এ জন্য গ্রামের লোকেরা তাকে দুষ্টামি করে ধলা গাই বলে ডাকতোবাবা জীবনের বেশির ভাগ সময়ই বোনের বাড়িতে কাটাতেনতাহার বোন তাহাকে খুবই আদর করতো কিন্তু তাহার ভগ্নি পতি বাবাকে দিয়ে সংসারের অনেক কাজ করাতএকদিন বাবা ভগ্নি পতির কথায় অভিমান করে নিজের

 বাড়িতে চলে যানএরপর বহু খুঁজেও কোথাও বাবাকে পাওয়া যায় নিভাই হারানোর শোকে তাহার বোন খুবই মর্মাহত হনএরপর হঠাৎ ৩৬ বছর পর বোনের বাড়ি ফিরলে তাহার বোন তাঁকে প্রথমে চিনতে না পারলেও পরে পরিচয় দিলে ঠিক চিনতে পারেএর পর প্রায়ই

 সময় বাবা প্রায় উলঙ্গ থাকতেন তাহার বোন তাহাকে পোশাক পরার জন্য জোর করলে বাবা অস্বীকৃতি জানাতেন আর বলতেন পোশাক পড়লে আমার গাঁ জ্বলে যায়বাবাকে প্রায়ই দেখা যেত কোমরে এক গামছা পেঁচিয়ে রাখতেএ জন্য লোকে মুখে বাবার নাম হয়ে যায়

 ল্যাংটা বাবাপরবর্তীতে বাবা বোনের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং সেখানেই বর্তমানে বাবার রওজা অবস্থিত

 অলৌকিক কারামাতঃ-

আঙ্গুলের ইশারায় চলন্ত ট্রেন থামানঃ- একদিন বাবা ট্রেনে উঠলে ট্রেন এর টিকেট মাষ্টার বাবার কাছে টিকেট চাইলে বাবা টিকেট নাই জানালে টিকেট মাষ্টার বাবাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেনবাবা এতে ক্রুধ হয়ে ট্রেন এর দিকে নিজের শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে

ইশারা করতেই চলন্ত ট্রেন হঠাৎ স্থির হয়ে যায়

 কাবা ঘরে যেয়ে প্রতিদিন নামাজ আদায়ঃ- লোকে বাবাকে প্রায় প্রশ্ন করতো আপনি নামাজ পড়েন না কেন???বাবা খালি মুচকি হাসতেনএকদিন গ্রামের মোল্লারা বাবাকে নামাযের কথা খুব জ্বালাতন করলে বাবা তাদেরকে নিজের কাছে ডেকে নিয়ে বললেন "এই দেখ নামাজ পড়ি কিনা"এই কথা বলার সাথে সাথেই মোল্লারা তাকিয়ে দেখল যে ল্যাংটা বাবার বগলের তলে কাবা ঘর,বাবা জমজমের পানি দিয়ে অজু করছে উক্ত ঘটনার পর

 মোল্লারা আর বাবাকে নামাজের কথা ভুলেও কোনদিন জিজ্ঞাস করে নি

 পানির ওপর খড়ম পায় দিয়ে হাঁটাঃ-

একবার বাবা নদীর এক মাঝি নদী পারাপারের জন্য অনুরোধ করলে মাঝি বাবাকে খুব অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে নৌকা ছেড়ে দেয়এতে বাবা মনে কিছু নিলেনকিছুক্ষণ পরদেখা গেল বাবা পানির ওপর দিয়ে হেঁটেই নৌকার আগে ঘাঁটে গিয়ে ফল খাচ্ছেন

 চোখের পলকে শত মাইলের ভ্রমনঃ-

ল্যাংটা বাবা মাহফুজ নামক তার এক ভক্তকে মিষ্টি আনার জন্য বললে মাহফুজ বাজারে সেই দিন সব মিষ্টি বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারনে খালি হাতে ফিরে আসেবাবা তখন মাহফুজ নিয়ে নদীর ঘাঁটে যেয়ে বললেন "এবার তুই চোখ বন্ধ কর" একটু পরে চোখ খুললে মাহফুজ দেখলো যে সে কুমিল্লা থেকে চোখের পলকে সদরঘাট পৌঁছে গেছেনতখন সে

সদরঘাট থেকে মিষ্টি কিনে আবার বাবার সাথে চোখ বন্ধ করে কুমিল্লায় চলে আসেন

 মসজিদের ইমামকে জব্দঃ-

লোকেরা একদিন বাবাকে নামাজ পড়ার জন্য খুব অনুরোধ করলে বাবা ইমামের পিছনে

নামাজ পড়তে দাঁড়ান,হঠাৎ তিনি চিৎকার করে ইমামের উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন "আহা নামাজে বইসা বার বার গাভী বাচ্চা দিছে কিনা চিন্তা করলে তোর নামাজ পইড়া কি লাভ হইবো??" যা যা ভণ্ডামির নামাজ ছাইড়া বাড়ি গিয়া দেখ তোর গাভি বাচ্চা দিছেবাবা মনের কথা হু বু হু বলে দেয়ায় ইমাম সাহেব রীতি মত হতবাক হয়ে যানবাড়ি গিয়ে ইমাম সাহেব দেখলেন ঠিক ই তার গাভীর বাচ্চা হয়েছে

 বাবার চরণের স্পর্শে ফসলের ক্ষেতে দিগুন ফসল ফলতঃ-

কথিত আছে বাবা যেই ক্ষেতের ফসল পা দিয়ে মাড়িয়ে যেতেন সেই ক্ষেতে কৃষকরা এক মনের পরিবর্তে ৩ মন ফসল পেতএজন্য কৃষকেরা তাদের জমির ফসল পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করার জন্য বাবাকে প্রায়ই অনুরোধ করতো

 পরশ পাথর বাবা সুলাইমানঃ-

বাবা সুলাইমান ছিলেন নির্ঘাত পরশ পাথর যে ব্যাক্তি তার মন দিয়ে বাবার সেবা করতো,সেই আল্লাহ্ পাকের আউলিয়দের মধ্যে অন্তর-ভুক্ত হয়ে যেত বাবার চরণ দাসী রউফজান বিবি সারা জীবন বাবার সাথে থেকে বাবার টুকরী বহন করতো, যার মধ্যে বাবার তার সাধনার জগতের নিত্য প্রয়োজনীয়ও জিনিস রাখতেনবাবা যেখানেই যেতেন সেখানেই তিনি মাথায় করে বাবার টুকরী বহন করতোবাবার সহচর্যে থেকে রউফজান বিবি একজন বড় আউলিয়া হয়ে যানতাহার মাজার বাবার রওজার কাছেই অবস্থিতপ্রতি

 বছর ১৫ই ভাদ্র সেখানে রউফজান বিবির বিশাল ওরস মোবারক পালিত হয়শুধু তাই নয় বাবা প্রায়ই বাদ্যযন্ত্র শুনতেন, ঢুলি আব্দুল নামক বাবার এক ঢোল বাদকও বাবার দরবারে শুধু মাত্র দিন রাত্র ঢোল বাজিয়েই আল্লাহর বিশেষ আউলিয়া হয়ে যানবর্তমানে তার মাজার শরিফ কুমিল্লার মতলব থানার রায়ের কান্দি গ্রামে অবস্থিত

 বাবার পরলোক গমনঃ-

বাবার ভক্তরা একদিন বাবাকে জিজ্ঞাস করলো যে "বাবা তুমি তো কোথাও বেশি দিন স্থির হয়ে থাকো না,তাহলে তুমি মারা গেলে আমরা কি ভাবে বুঝবো যে তুমি আর দুনিয়ায় নেই" বাবা তখন বললেন"যেদিন আমি মারা যাবো সেদিন বাংলাদেশের সমগ্র নদ, নদী,সাগরের জোয়ার ভাঁটা এক টানা ৩ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে,নদীর পানি স্থির হয়ে থাকবে ,পানিতে কোন প্রবাহ থাকবে নাসেদিন গাভীর দুধের বানে এক ফোটাও দুধ থাকবে নাযেদিন এই লক্ষণ গুলা দেখবি সেদিন ভাব বি আমি আর এই দুনিয়ায় নেইবাবার পরলোক গমনের পর সমগ্র বাংলাদেশে উক্ত ঘটনার লক্ষণ গুলা প্রকাশ পায়

 পরলোক গমনের পরও কারামত প্রকাশঃ-

বাবা সুলাইমান ১৭ চৈত্র পরলোক গমন করেন,সেসময় সারা দেশে প্রবল খরার প্রাদুর ভাব ছিল বাবা সুলাইমানের মৃত্যুর পরই টানা দুই দিন প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়,কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল এই যে এত বৃষ্টি হওয়ার পরও বাবার মৃত শরীর বাবার ঘামতে ছিল,দেখে মনে হইতেছিল যে বাবা এখনও জীবিততখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি বছর ১৭ই চৈত্র বাবার ওরস মোবারকের দিন বৃষ্টি প্রবল বৃষ্টির বর্ষণ হতে দেখা যায় বাংলাদেশে সব অলি-আউলিয়দের বার্ষিক ওরসে দাওয়াত জানাতে লিফলেট,পোষ্টার ছাপাতে দেখা গেলও একমাত্র ল্যাংটা বাবার ওরস মোবারকের সময় কোন প্রচরনা পত্র ছাপাতে হয় নাকোন প্রচরনা ছাড়াই তার ওরস মোবারকের যে মানুষের আগমন হয়,তা ঢোল বাজিয়েও আনা যাবে কিনা সন্দেহ,কখন ও ৪ লক্ষ ,কখনও ৫ লক্ষের বেশি মানুষের সমাগম ঘটে তার ওরসের দিন

 গাউস সুলাইমান শাহ্ সম্পর্কে বলে বাবাকে ছোট করবো নাবাবার কথা না হয় বাদ ই দিলাম যদি তার মুরিদের কথাই বলি তাহলে তার মুরিদের মাঝে এক ডাকে আকাশের বৃষ্টি নামানোর পর্যন্ত ক্ষমতা ছিলতার মুরিদের যদি এই পর্যায়ের ক্ষমতা থাকে তাহলে লেংটা বাবা কোন পর্যায়ের আউলিয়া তা আশা করি জ্ঞানী জনের আর বুঝা বাকি থাকে না তাই তো তার আশেক ভক্ত বাবার প্রশংসায় গেয়ে উঠে

25 comments:

  1. নাউজুবিল্লাহ মিন যালেক,,,,হে আল্লাহ তুমি আমাদের এইসব ভন্ডদের থেকে আমাদের দুরে রাখ আর সহি ইমান বুঝার তৌফিক দান করো,আমিন

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার তো ইমানি নাই
      আপনি আবার ঈমান বুঝবেন কিভাবে

      Delete
    2. ভন্ড নাউজুবিল্লাহ

      Delete
  2. লেংটার মুরিদরা বেশিরভাগই গাঁজা খোর।।।হাটুর উপরে কাপড় থাকা হারাম,আর সে নাকি উলংগ থাকতো,নামজে গিয়া আল্লাহর ধ্যন এ না থাইকা হুজুরের মনের ধ্যন করপ,,বগলে কাবাঘর যে কিনা নিজের পরনের কাপর ঠিক রাখে না,ঢোল বাদ্যযন্ত্র ইস্লামে হারাম। সে আবার আউলিয়া গয় কি করে।।।এই মাজারে য়া কিছু হয়, তার ৯৯ ভাগ ইসলামে হারাম।।।

    ReplyDelete
    Replies
    1. গাজা তো খায় কিন্তু এই গাজা তো এসকের গাজা
      তোমাদের মত নামধারি মুসলমান কি করে বুঝবে,
      নামাজেই তো মিয়া তোমরা পড় না
      তাইলে নাউজুবিল্লাহ বল কোন দলিলে

      Delete
  3. আস্তাগফিরুল্লাহ

    ReplyDelete
  4. আস্তাগফিরুল্লাহ

    ReplyDelete
  5. স বিত তকদিরের লিখন যাকে যা বুঝতে দেয়া হয়েছে সে তো তাই বুঝবে।

    ReplyDelete
  6. আল্লাহ মা,লুম,আল্লাহ আ,লামু বিজাতিসসুদুর।

    ReplyDelete
  7. আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ করেন- তোমাদের জন্য সর্বপ্রথম সাহায্যকারী হচ্ছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তারপর তাঁর হাবীব নূর নবীজি ﷺ এবং সালেহীন বান্দাগণ অর্থাৎ ওলী-আউলিয়াগণ। 🌹

    ReplyDelete
    Replies
    1. মানুষকে আল্লাহ ছাড়া কেউ সাহায্য করতে পারবে না। স্বয়ং নবীজি (সাঃ) পর্যন্ত না। কুরআন শরীফে শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্য চাইবার কথা বলা হয়েছে। তিঁনি ব্যতীত আর কেউ ক্ষমতা রাখেন না সাহায্য করার

      Delete
  8. নাউযুবিল্লাহ

    ReplyDelete
  9. Love you... ❤️❤️❤️
    লেংটা বাবা

    ReplyDelete
  10. ✌ জয় গুরু

    ReplyDelete
  11. বগলের নিছে নাকি পবিত্র কাবা!!!আবার ঢোল বাদ্য বাজানো আবার পরনারীকে সবসময় সাথে রস্খা কখনোই অলির কাজ হতে পারেনা।।নাউজুবিল্লাহ

    ReplyDelete
  12. সবার কমেন্ট পড়ে আমি আর কি কমেন্ট করব

    ReplyDelete
  13. আমি লংটা ছিলাম ভালো ছিলাম

    ReplyDelete
  14. একজন ওলী-আউলিয়ার জীবনী কি এরকম হয়...? হে আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করো।

    ReplyDelete
  15. নাউজুবিল্লাহ, আল্লাহ হেদায়াত দিন এদের

    ReplyDelete
  16. কখনো কোন দিন এনার সম্পর্কে জানতাম না, আজকে পড়ে জানলাম,, মহামানব।

    ReplyDelete
  17. এইবার ১৭ই চৈত্র গেল ৩১শে মার্চ। সারাদেশে কোথায় বৃষ্টি হয়েছে? 😆
    হালা ৪-৫ লাখ লোক হয় কারণ গাঞ্জুট্টিদের জন্য সেরা জায়গা লেংটার মাজার। আর এত মানুষের মধ্যে চার পাঁচ লাখ মানুষ গাঞ্জুরটি এটা তো অস্বাভাবিক কিছু না।

    ReplyDelete
  18. নিশ্চিতভাবে এই ল্যাংটা বাবা আল্লাহ ও তাঁর নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবাধ্যতা করেছে। অনুসরণ করেছে ইবলিসের। এই ল্যাংটা ইবলিশ থেকে যা কিছু অলৌকিক হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, হয় সেগুলো মিথ্যা গপ্প কাহিনি অথবা শয়তান জিন দিয়ে করানো। যখন কোনো মানুষ শয়তানের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করে, ইবলিশ তখন তাঁর কিছু অনুগত জিন ওই মানুষকে বিভিন্ন ভাবে অলৌকিক কিছু দেখায়। যাতে সাধরণ মানুষ আকর্ষীত হয়। এধরণের মানুষ তাওবা নসিব হয়না। ঈমান হারা হয়ে মারা যায়। চিরস্থায়ী জাহান্নামী।

    ReplyDelete
  19. বাবার অনুসারীদের অবস্থা এমন -
    বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা 🤣🤣🤣

    ReplyDelete