বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম
গাউস হযরত সুলাইমান শাহ্ (লেংটাবাবা )
বেলতলি (র)জন্মঃ- বাংলা ১২৩০ সালে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে
।
পর্দা গ্রহনঃ- ১৩২৫ সালের ১৭ই চৈত্র।
মাযার শরীফঃ- কুমিল্লার মতলব থানার বদরপুর গ্রামে।
পিতাঃ- হযরত আলা বক্স ভুইয়া
প্রকৃত নামঃ- গাউস সুলাইমান শাহ্
ডাক নামঃ- ল্যাংটা বাবা
সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ- লেংটা বাবা ছিলেন দরিদ্র
পিতা মাতার একমাত্র সন্তান।ছোটবেলায পিতা মাতা উভয়ে মারা গেলে বাবার আপন বলতে আর কেউই
ছিল না।তখন বদরপুরে দূরসম্পর্কের এক বোনই
ছিল তার একমাত্র অভিভাবক।বাবা দেখতে খুবই ফর্সা রূপের ছিলেন,দূর থেকে দেখলে মনে হত কোন বিদেশি foreigner,এ জন্য গ্রামের লোকেরা
তাকে দুষ্টামি করে ধলা গাই বলে ডাকতো।বাবা জীবনের বেশির ভাগ সময়ই বোনের বাড়িতে কাটাতেন। তাহার বোন তাহাকে খুবই
আদর করতো কিন্তু তাহার ভগ্নি পতি বাবাকে দিয়ে সংসারের অনেক কাজ করাত।একদিন বাবা ভগ্নি পতির
কথায় অভিমান করে নিজের
বাড়িতে চলে যান।এরপর বহু খুঁজেও কোথাও বাবাকে পাওয়া যায় নি।ভাই হারানোর শোকে তাহার
বোন খুবই মর্মাহত হন। এরপর হঠাৎ ৩৬ বছর পর বোনের বাড়ি ফিরলে তাহার বোন তাঁকে প্রথমে চিনতে না পারলেও
পরে পরিচয় দিলে ঠিক চিনতে পারে।এর পর প্রায়ই
সময় বাবা প্রায় উলঙ্গ থাকতেন। তাহার বোন তাহাকে পোশাক
পরার জন্য জোর করলে বাবা অস্বীকৃতি জানাতেন আর বলতেন পোশাক পড়লে আমার গাঁ জ্বলে যায়।বাবাকে প্রায়ই দেখা
যেত কোমরে এক গামছা পেঁচিয়ে রাখতে।এ জন্য লোকে মুখে বাবার নাম হয়ে যায়
ল্যাংটা বাবা। পরবর্তীতে বাবা বোনের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস
ত্যাগ করেন এবং সেখানেই বর্তমানে বাবার রওজা অবস্থিত।
অলৌকিক কারামাতঃ-
১।আঙ্গুলের ইশারায় চলন্ত
ট্রেন থামানঃ- একদিন বাবা ট্রেনে উঠলে ট্রেন এর টিকেট মাষ্টার বাবার কাছে টিকেট চাইলে
বাবা টিকেট নাই জানালে টিকেট মাষ্টার বাবাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন।বাবা এতে ক্রুধ হয়ে
ট্রেন এর দিকে নিজের শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে
ইশারা করতেই চলন্ত ট্রেন হঠাৎ স্থির হয়ে যায়।
২। কাবা ঘরে যেয়ে প্রতিদিন নামাজ আদায়ঃ- লোকে বাবাকে প্রায় প্রশ্ন
করতো আপনি নামাজ পড়েন না কেন???বাবা খালি মুচকি হাসতেন। একদিন গ্রামের মোল্লারা বাবাকে নামাযের কথা
খুব জ্বালাতন করলে বাবা তাদেরকে নিজের কাছে ডেকে নিয়ে বললেন "এই দেখ নামাজ পড়ি
কিনা"।এই কথা বলার সাথে সাথেই
মোল্লারা তাকিয়ে দেখল যে ল্যাংটা বাবার বগলের তলে কাবা ঘর,বাবা জমজমের পানি দিয়ে অজু করছে । উক্ত ঘটনার পর
মোল্লারা আর বাবাকে নামাজের কথা ভুলেও
কোনদিন জিজ্ঞাস করে নি।
৩। পানির ওপর খড়ম পায় দিয়ে হাঁটাঃ-
একবার বাবা নদীর এক মাঝি নদী পারাপারের জন্য অনুরোধ করলে মাঝি বাবাকে খুব অশ্লীল
ভাষায় গালি গালাজ করে নৌকা ছেড়ে দেয়। এতে বাবা মনে কিছু নিলেন।কিছুক্ষণ পরদেখা গেল বাবা পানির ওপর দিয়ে হেঁটেই নৌকার আগে ঘাঁটে গিয়ে
ফল খাচ্ছেন।
৪। চোখের পলকে শত মাইলের ভ্রমনঃ-
ল্যাংটা বাবা মাহফুজ নামক তার এক ভক্তকে মিষ্টি আনার জন্য বললে মাহফুজ বাজারে সেই
দিন সব মিষ্টি বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারনে খালি হাতে ফিরে আসে।বাবা তখন মাহফুজ নিয়ে নদীর ঘাঁটে যেয়ে বললেন "এবার তুই
চোখ বন্ধ কর" । একটু পরে চোখ খুললে মাহফুজ দেখলো যে সে কুমিল্লা থেকে চোখের পলকে সদরঘাট পৌঁছে
গেছেন। তখন সে
সদরঘাট থেকে মিষ্টি কিনে আবার বাবার সাথে চোখ বন্ধ করে কুমিল্লায় চলে আসেন।
৫। মসজিদের ইমামকে জব্দঃ-
লোকেরা একদিন বাবাকে নামাজ
পড়ার জন্য খুব অনুরোধ করলে বাবা ইমামের পিছনে
নামাজ পড়তে দাঁড়ান,হঠাৎ তিনি চিৎকার করে ইমামের উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন "আহা
নামাজে বইসা বার বার গাভী বাচ্চা দিছে কিনা চিন্তা করলে তোর নামাজ পইড়া কি লাভ হইবো??"
যা যা ভণ্ডামির নামাজ
ছাইড়া বাড়ি গিয়া দেখ তোর গাভি বাচ্চা দিছে।বাবা মনের কথা হু বু হু বলে দেয়ায় ইমাম সাহেব রীতি মত হতবাক
হয়ে যান। বাড়ি গিয়ে ইমাম সাহেব দেখলেন ঠিক ই তার গাভীর বাচ্চা হয়েছে।
৬। বাবার চরণের স্পর্শে ফসলের ক্ষেতে দিগুন ফসল ফলতঃ-
কথিত আছে বাবা যেই ক্ষেতের ফসল পা দিয়ে মাড়িয়ে যেতেন সেই ক্ষেতে কৃষকরা এক মনের
পরিবর্তে ৩ মন ফসল পেত। এজন্য কৃষকেরা তাদের জমির ফসল পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করার জন্য বাবাকে প্রায়ই
অনুরোধ করতো ।
৭।পরশ পাথর বাবা সুলাইমানঃ-
বাবা সুলাইমান ছিলেন নির্ঘাত পরশ পাথর যে ব্যাক্তি তার মন দিয়ে বাবার সেবা করতো,সেই আল্লাহ্ পাকের
আউলিয়দের মধ্যে অন্তর-ভুক্ত হয়ে যেত। বাবার চরণ দাসী রউফজান বিবি সারা জীবন বাবার সাথে থেকে বাবার
টুকরী বহন করতো, যার মধ্যে বাবার তার সাধনার জগতের নিত্য প্রয়োজনীয়ও জিনিস রাখতেন।বাবা যেখানেই যেতেন
সেখানেই তিনি মাথায় করে বাবার টুকরী বহন করতো।বাবার সহচর্যে থেকে রউফজান বিবি একজন বড় আউলিয়া হয়ে যান।তাহার মাজার বাবার
রওজার কাছেই অবস্থিত। প্রতি
বছর ১৫ই ভাদ্র সেখানে রউফজান বিবির বিশাল
ওরস মোবারক পালিত হয়।শুধু তাই নয় বাবা
প্রায়ই বাদ্যযন্ত্র শুনতেন, ঢুলি আব্দুল নামক বাবার এক ঢোল বাদকও বাবার দরবারে শুধু মাত্র
দিন রাত্র ঢোল বাজিয়েই আল্লাহর বিশেষ আউলিয়া হয়ে যান।বর্তমানে তার মাজার শরিফ কুমিল্লার মতলব থানার রায়ের কান্দি
গ্রামে অবস্থিত।
৮। বাবার পরলোক গমনঃ-
বাবার ভক্তরা একদিন বাবাকে জিজ্ঞাস করলো যে "বাবা তুমি তো কোথাও বেশি দিন
স্থির হয়ে থাকো না,তাহলে তুমি মারা গেলে আমরা কি ভাবে বুঝবো যে তুমি আর দুনিয়ায় নেই" বাবা তখন
বললেন"যেদিন আমি মারা যাবো সেদিন বাংলাদেশের সমগ্র নদ, নদী,সাগরের জোয়ার ভাঁটা এক টানা ৩ দিন পর্যন্ত বন্ধ
থাকবে,নদীর পানি স্থির হয়ে থাকবে ,পানিতে কোন প্রবাহ থাকবে না। সেদিন গাভীর দুধের বানে এক ফোটাও দুধ থাকবে
না। যেদিন এই লক্ষণ গুলা
দেখবি সেদিন ভাব বি আমি আর এই দুনিয়ায় নেই। বাবার পরলোক গমনের পর সমগ্র বাংলাদেশে উক্ত ঘটনার লক্ষণ গুলা প্রকাশ পায়।
৯।পরলোক গমনের পরও কারামত প্রকাশঃ-
বাবা সুলাইমান ১৭ চৈত্র পরলোক গমন করেন,সেসময় সারা দেশে প্রবল খরার প্রাদুর ভাব ছিল ।বাবা সুলাইমানের মৃত্যুর
পরই টানা দুই দিন প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়,কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল এই যে এত বৃষ্টি হওয়ার
পরও বাবার মৃত শরীর বাবার ঘামতে ছিল,দেখে মনে হইতেছিল যে বাবা এখনও জীবিত।তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি বছর ১৭ই চৈত্র বাবার ওরস মোবারকের
দিন বৃষ্টি প্রবল বৃষ্টির বর্ষণ হতে দেখা যায়। বাংলাদেশে সব অলি-আউলিয়দের বার্ষিক ওরসে দাওয়াত জানাতে লিফলেট,পোষ্টার ছাপাতে দেখা
গেলও একমাত্র ল্যাংটা বাবার ওরস মোবারকের সময় কোন প্রচরনা পত্র ছাপাতে হয় না। কোন প্রচরনা ছাড়াই
তার ওরস মোবারকের যে মানুষের আগমন হয়,তা ঢোল বাজিয়েও আনা যাবে কিনা সন্দেহ,কখন ও ৪ লক্ষ ,কখনও ৫ লক্ষের বেশি
মানুষের সমাগম ঘটে তার ওরসের দিন।
গাউস সুলাইমান শাহ্ সম্পর্কে বলে বাবাকে
ছোট করবো না। বাবার কথা না হয় বাদ ই দিলাম যদি তার মুরিদের কথাই বলি তাহলে তার মুরিদের মাঝে
এক ডাকে আকাশের বৃষ্টি নামানোর পর্যন্ত ক্ষমতা ছিল। তার মুরিদের যদি এই পর্যায়ের ক্ষমতা থাকে
তাহলে লেংটা বাবা কোন পর্যায়ের
আউলিয়া তা আশা করি জ্ঞানী জনের আর বুঝা বাকি থাকে না। তাই তো তার আশেক ভক্ত বাবার প্রশংসায় গেয়ে উঠে
নাউজুবিল্লাহ মিন যালেক,,,,হে আল্লাহ তুমি আমাদের এইসব ভন্ডদের থেকে আমাদের দুরে রাখ আর সহি ইমান বুঝার তৌফিক দান করো,আমিন
ReplyDeleteআপনার তো ইমানি নাই
Deleteআপনি আবার ঈমান বুঝবেন কিভাবে
🙄🙄🙄
Deleteভন্ড নাউজুবিল্লাহ
Deleteলেংটার মুরিদরা বেশিরভাগই গাঁজা খোর।।।হাটুর উপরে কাপড় থাকা হারাম,আর সে নাকি উলংগ থাকতো,নামজে গিয়া আল্লাহর ধ্যন এ না থাইকা হুজুরের মনের ধ্যন করপ,,বগলে কাবাঘর যে কিনা নিজের পরনের কাপর ঠিক রাখে না,ঢোল বাদ্যযন্ত্র ইস্লামে হারাম। সে আবার আউলিয়া গয় কি করে।।।এই মাজারে য়া কিছু হয়, তার ৯৯ ভাগ ইসলামে হারাম।।।
ReplyDeleteগাজা তো খায় কিন্তু এই গাজা তো এসকের গাজা
Deleteতোমাদের মত নামধারি মুসলমান কি করে বুঝবে,
নামাজেই তো মিয়া তোমরা পড় না
তাইলে নাউজুবিল্লাহ বল কোন দলিলে
আস্তাগফিরুল্লাহ
ReplyDeleteআস্তাগফিরুল্লাহ
ReplyDeleteস বিত তকদিরের লিখন যাকে যা বুঝতে দেয়া হয়েছে সে তো তাই বুঝবে।
ReplyDeleteআল্লাহ মা,লুম,আল্লাহ আ,লামু বিজাতিসসুদুর।
ReplyDeleteআল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ করেন- তোমাদের জন্য সর্বপ্রথম সাহায্যকারী হচ্ছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তারপর তাঁর হাবীব নূর নবীজি ﷺ এবং সালেহীন বান্দাগণ অর্থাৎ ওলী-আউলিয়াগণ। 🌹
ReplyDeleteমানুষকে আল্লাহ ছাড়া কেউ সাহায্য করতে পারবে না। স্বয়ং নবীজি (সাঃ) পর্যন্ত না। কুরআন শরীফে শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্য চাইবার কথা বলা হয়েছে। তিঁনি ব্যতীত আর কেউ ক্ষমতা রাখেন না সাহায্য করার
Delete💝
Deleteনাউযুবিল্লাহ
ReplyDeleteLove you... ❤️❤️❤️
ReplyDeleteলেংটা বাবা
✌ জয় গুরু
ReplyDeleteবগলের নিছে নাকি পবিত্র কাবা!!!আবার ঢোল বাদ্য বাজানো আবার পরনারীকে সবসময় সাথে রস্খা কখনোই অলির কাজ হতে পারেনা।।নাউজুবিল্লাহ
ReplyDeleteসবার কমেন্ট পড়ে আমি আর কি কমেন্ট করব
ReplyDeleteআমি লংটা ছিলাম ভালো ছিলাম
ReplyDeleteএকজন ওলী-আউলিয়ার জীবনী কি এরকম হয়...? হে আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করো।
ReplyDeleteনাউজুবিল্লাহ, আল্লাহ হেদায়াত দিন এদের
ReplyDeleteকখনো কোন দিন এনার সম্পর্কে জানতাম না, আজকে পড়ে জানলাম,, মহামানব।
ReplyDeleteএইবার ১৭ই চৈত্র গেল ৩১শে মার্চ। সারাদেশে কোথায় বৃষ্টি হয়েছে? 😆
ReplyDeleteহালা ৪-৫ লাখ লোক হয় কারণ গাঞ্জুট্টিদের জন্য সেরা জায়গা লেংটার মাজার। আর এত মানুষের মধ্যে চার পাঁচ লাখ মানুষ গাঞ্জুরটি এটা তো অস্বাভাবিক কিছু না।
নিশ্চিতভাবে এই ল্যাংটা বাবা আল্লাহ ও তাঁর নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবাধ্যতা করেছে। অনুসরণ করেছে ইবলিসের। এই ল্যাংটা ইবলিশ থেকে যা কিছু অলৌকিক হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, হয় সেগুলো মিথ্যা গপ্প কাহিনি অথবা শয়তান জিন দিয়ে করানো। যখন কোনো মানুষ শয়তানের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করে, ইবলিশ তখন তাঁর কিছু অনুগত জিন ওই মানুষকে বিভিন্ন ভাবে অলৌকিক কিছু দেখায়। যাতে সাধরণ মানুষ আকর্ষীত হয়। এধরণের মানুষ তাওবা নসিব হয়না। ঈমান হারা হয়ে মারা যায়। চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
ReplyDeleteবাবার অনুসারীদের অবস্থা এমন -
ReplyDeleteবাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা 🤣🤣🤣