বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি চট্টগ্রামের বিখ্যাত দরবেশ হযরত শাহ মোহসেন আউলিয়া (র)হযরত মোহসেন বাবার মাজার চট্টগ্রামের আনোয়ারার বটতলি গ্রামে অবস্থিত।বাংলাদে শে ১০০০ বছর পূর্বে যে ১২ জন আউলিয়া ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন,তাদের মধ্যে মোহসেন আউলিয়া অন্যতম।তিনি হযরত শাহ্ বদর (র) এর সমকালীন ছিলেন। কথিত আছে যে হযরত শাহ্ বদর আউলিয়া এবং মোহসেন আউলিয়া সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে ছিলেন।আল্লাহ্র হুকুমে মোহসেন আউলিয়া যখন নদী পথে রওনা হন,তখন ভাগ্নে মোহসেন আউলিয়া তাহার মামাকে নিজের নৌকায় নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।কিন্তু শাহ বদর আউলিয়া মোহসেন আউলিয়াকে তুচ্ছ জ্ঞান করে সাথে না নিয়ে একলাই সমুদ্র পথে রওনা হয়ে গেলেন।মোহসেন আউলিয়া মামার এই অবিচার দেখে সমুদ্র পারি হওয়ার কিছু না পেয়ে অবশেষে সমুদ্রের তীরে একটা পাথর পেয়ে সেই পাথরকে বিসমিল্লাহ বলে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন।এরপর আল্লাহ্র অসীম কুদরতে সেই পাথর এতই গতিশীল হয়েছিল যে তা শাহ্ বদর আউলিয়ার নৌকার আগে চলে যায়।যখন শাহ্ বদর আউলিয়া দেখলেন যে তার ভাগ্নে পাথরে চরে তার আগে চলে যাচ্ছে,তখন শাহ্ বদর আউলিয়া হিংসার বশবর্তী হয়ে তাহার ভাগ্নের ওপর ধারালো ছুরি নিক্ষেপ করেন।তখন মোহসেন আউলিয়া নিজের বাম হাত দিয়ে ছুরী ধরে ফেলে সামুদ্রিক মাছে পরিনত করে সাগরে ছেড়ে দেন।সেই হইতে চট্টগ্রামের ঐ সাগরে ছুরী মাছ নামক একধরনের সামুদ্রিক মাছের আবির্ভাব দেখা যায়। শাহ্ বদর যখন দেখলেন যে তাহার ভাগ্নে তাহার চেয়ে কম কামেল নন।তখন তিনি মোহসেন আউলিয়াকে অভিশাপ দেন যে "তোর মাজার শরীফ সবসময় ভাঙ্গা থাকবে"।উত্তরে মোহসেন আউলিয়া বললেন" বাংলাদেশে আমার ১৩ টা মাজার হবে,আর কোন মাজারে আমি অবস্থান করবো তা কেউ না টের পাবে। । আমার মাজার যদি তোমার অভিশাপে ভাঙ্গা হয়,তাহলে জেনে রেখো মামা আমার ১৩ টা মাজারের মধ্যে শেষ মাজারে যেদিন ফাটল ধরবে সেদিনই এই দুনিয়ায় কিয়ামত ঘটবে"।উক্ত অভিশাপের কারনে মহসেন বাবার রওজার ছাদ যখনই পাকা করার চেষ্টা করা হয়,তখনই তা ধসে পরে যায়।এজন্য মাজারের ওপর পাঁটের ছাউনি দেয়া হয়।মহসেন বাবার ১৩ টি মাজারের কথার কারনে চট্টগ্রামে এখনও জাগায় জাগায় অনেক গায়েবি মাজারের উৎপত্তি লক্ষ করা যায়.
মোহসেন আউলিয়ার দরগার কেরামতঃ-
বাবা মহসেন যে পাথরে চরে বাংলায় আসেন,সেই পাথর এখনও তাহার মাজারের পাশে রক্ষিত আছেন।সেই পাথর হইতে ঘাম আকারে পানি বাহির হইতে দেখা যায়।দেখিয়া মনে হয় এটা একটা জীবন্ত পাথর।। বাবার মাজারে ছানি দেওয়ার আগে সেই গ্রামে এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয় না। ঝিয়রি গ্রামের সাত বাড়ির হিন্দু ছাড়া বাবার মাজারে কেউ ছানি দিতে পারে না,যদি কেউ জোর করে দিতেও যায় তাহলে সাথে সাথে তা দসে পড়ে যায়।
বাবার মাজারে অনেকে বাতি জ্বালায় মানত করে,কেউই বাবার দরগা হতে নিরাশ ফিরে না।তবে তেলের পরিমান আধ-পোয়ার কম হলে বাতি হাজার চেষ্টা করেও কেউ জ্বালাতে পারে না। যদি কেউ কু- উদ্দেশ্যে বাতি জ্বালায় তাহলে টানা দুই-তিন দিন বাতি জ্বলতে থাকে আগুন নিভে না।
No comments:
Post a Comment