হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা ইয়ামেনী (রহ)এর মাজার ও মসজিদঃ
মাজার ও মসজিদের নির্মানকাল ও নির্মাতাঃ
চতুর্দশ শতাব্দীর কোন এক সময় এই প্রাচীনতম মসজিদ নির্মান করেন ধর্ম প্রচারার্থে ইয়ামেনের শাসনকর্তা
মুয়াজ ইবলে জিবল এর বংশের হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা ইয়ামেনী (রহ)বাংলায় আগমন করে এই মসজিদ
নির্মান করেন ।
স্থ্যাপত্য রীতিঃ ১৫৭৬ খিঃ পর্যন্ত নির্মিত
ইমারত সমূহকে সুলতানী স্থ্যাপত্য রীতি ও ৫৭৬খিঃ এর পর থেকে ১৭৫৭খিঃ এর মধ্যে নির্মিত
ইমারত সমূহকে মোঘল রীতির আওতাভুক্ত করা হয় । এই মসজিদটি সুলতানী আমলের উতক্রিষ্ট ও সবচেয়ে অধিক পরিচয়বাহী
একটি ইমারত । নামকরন ও সংখিপ্ত ইতিহাসঃ
হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা ইয়ামেনী (রহ) এর নাম অনুসারে এই এলাকার নামকরন করা হয় শাহজাদপুর
। ১১৯২-৯৬ সালের মধ্যে
কোন এক সময় হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা ইয়ামেনী (রহ) ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু
করেন এবং যাত্রা পথে বোখারা শরীফে আগমন করেন সেখানে শাহ জালাল উদ্দিন বোখারী (রহঃ)এর
সাথে কিছুক্ষন সময় অতিবাহিত করে বাংলার পথে যাত্রা শুরু করেন ও এই অঞ্চলে আগমন করেন
,শাহ জালাল উদ্দিন বোখারী(রহঃ)তাকে এক জোড়া কবুতর
উপহার দেন যাহা জালালী কবুতর নামে পরিচিত ।আজও বাবার মাজারে এই কবুতর দেখতে পাওয়া যায় । হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা
ইয়ামেনী(রহঃ) ইসলাম প্রচার শুরু করলে ততকালীন সুব-বিহারের অমুসলিম অধিপতি “রাজা বিক্রম কেশরী”
বাবা হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা
ইয়ামেনী(রহ)এর আগমনের খবর শুনে বাবা মখদুম শাহদ্দৌলা ইয়ামেনী(রহঃ)কে ইসলাম প্রচারে বাধাপ্রদানের
উদ্দেশ্যে যুদ্ধের জন্য তার সেনাবাহিনী প্রেরন করে কিন্তু তার সৈন্যবাহিনী পরাজিত হয়ে
ফিরে যেতে বাধ্য হয় , পর পর তিনবার রাজার সেনাবাহিনী পরাজিত হয়ে ফিরে যায় । পরবর্তীতে পূর্ববর্তী যুদ্ধ্যে পরাজিত রাজার একজন সৈনিক গুপ্তচর
হিসেবে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন ও শেষ যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আসরের নামাজ আদায়ের সময় সেজদারত
অবস্থায় হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা ইয়ামেনী (রহ)এর ছিরচ্ছেদ করা হয় ও মস্তক মোবারক সুব-বিহারের
রাজধানী মঙ্গলকোটে রাজার নিকটে উপস্থিত করা হয় । মস্তক মোবারক রাজার সন্মুখে হাজির করার সাথে সাথে অলৌকিকভাবে
হযরত মখদুম শাহদ্দৌলা ইয়ামেনী (রহ) এর উষ্ঠাধর হতে “সুবহানা রাব্বল আলা”উচ্চারিত হতে থাকে
, এতে রাজা ভয় পেয়ে যায়
ও রাজার প্রধান সেনাপতি ইসলাম ধর্ম কবুল করেন এবং রাজা স্থানীয় মুসলমানদের ডেকে বাবার
মস্তক মোবারক সমাহিত করার নির্দেশ দেয় । যে স্থানে মস্তক মোবারক সমাহিত করা হয় সেই স্থান আজও “ছের মোকাম”
নামে পরিচিত । অন্যদিকে দেহ মোবারক
কফিনে করে মসজিদের দশরশি মোকামে সমাধীস্থ করা হয় । পরবর্তীতে কফিনটি সরিয়ে বর্তমান স্থানে সমাহিত করা হয় ।।
(সংখেপিত)
No comments:
Post a Comment