ইবনে আবিদ দুনিয়া তাঁর গ্রন্থে হযরত আয়েশা হতে বর্ণনা করেছেন, মহানবী সাঃ বলেছেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি তার মুমিন ভ্রাতাকে জিয়ারত করে অর্থাৎ তার কবরের নিকটে যায় ও সেখানে বসে, তবে মৃত ব্যক্তি তার সাহচর্যে আনন্দিত হয় ও তার সালামের উত্তর দেয়, ততক্ষণ তার সাহচর্য অনুভব করে যতক্ষণ না সে সেখান হতে উঠে চলে যায়। (সূত্র: আল কুবুর; প্রাগুপ্ত)।
হজ্জ্ব করিতে গেলে, হজ্জ্বের আগে বা পরে মদীনা শরীফে হযরতের (সাঃ) রওযা শরীফ এবং মসজিদে নবীর যিয়ারত করিয়া আসার জন্যও চেষ্টা করিবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন- “যে মুসলমান আমার মৃত্যুর পর আমার যিয়ারত করিবে সে-ও তদ্রুপই বরকত পাইবে, যেরূপ আমার জীবত অবস্থায় আমার সাথে মুলাকাত পাইত।” এই হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, রাসূলে আকরাম (সাঃ) এখনো জীবিত। (সূত্র: বেহেশ্তী জেওর, ১ম ভলিউম, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা: ৩০৬, হাদীস: ১, এমদাদিয়া লাইব্রেরী, সন- সেপ্টেম্বার ১৯৯০ ইং)।
মুহাম্মদ ইবনে হানাফীয়াহ ও কবর যিয়ারত: ইমাম হাসান মুজতবা (আঃ) শাহাদাত বরণের পর
মুহাম্মদ ইবনে হানাফীয়া তাঁর কবরের নিকট পৌছলে তাঁর কন্ঠরোধ হয়ে আসল। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক
হলে তিনি ইমাম হাসানের আঃ প্রশংসা করতে লাগলেন। (সূত্র: আকদুল ফারিদ, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা: ১৩)।
মেরাজের বর্ণনায় নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, আমি মুসা (আঃ) কে তাঁর কবরে নামায পড়তে দেখেছি
এবং তার সত্তুর জন বানী ইসরাইলের সাথে তলবিয়া পাঠ করতে দেথেছি। (সূত্র: মাদারেজুন্
নবুওয়াত, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা:৭৩, শায়েখ আবদুল হক মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহঃ), সেরহিন্দ প্রকাশন-ঢাকা)।
ইবনে আবি মালিক বলেছেন, “একদিন হযরত আয়েশা কবরস্থানে প্রবেশ করলেন আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম,
কেন কবরস্থানে প্রবেশ
করেছেন? তিনি বললেন, আমার ভাই আবদুর রহমানের কবর যিয়ারত করতে। (সূত্র:মুসতাদরাকে হাকিম, ১মখন্ড, পৃষ্ঠা:৫৩২,হাদীস: ১৩৯২)।
হযরত আয়েশা বলেছেন, ‘যে রাতেগুলোতে আমার পালা থাকত এবং রাসূল (সাঃ) আমার ঘরে থাকতেন
শেষ রাত্রিতে তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে কবর যিয়ারতে যেতে দেখতাম। (সূত্র: মুসতাদরাক হাকিম,
১ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৫৩৩)।
No comments:
Post a Comment