Sunday, November 29, 2015

কবর যিয়ারত


ইবনে আবিদ দুনিয়া তাঁর গ্রন্থে হযরত আয়েশা হতে বর্ণনা করেছেন, মহানবী সাঃ বলেছেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি তার মুমিন ভ্রাতাকে জিয়ারত করে অর্থাৎ তার কবরের নিকটে যায় সেখানে বসে, তবে মৃত ব্যক্তি তার সাহচর্যে আনন্দিত হয় তার সালামের উত্তর দেয়, ততক্ষণ তার সাহচর্য অনুভব করে যতক্ষণ না সে সেখান হতে উঠে চলে যায় (সূত্র: আল কুবুর; প্রাগুপ্ত)

হজ্জ্ব করিতে গেলে, হজ্জ্বের আগে বা পরে মদীনা শরীফে হযরতের (সাঃ) রওযা শরীফ এবং মসজিদে নবীর যিয়ারত করিয়া আসার জন্যও চেষ্টা করিবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন- “যে মুসলমান আমার মৃত্যুর পর আমার যিয়ারত করিবে সে- তদ্রুপই বরকত পাইবে, যেরূপ আমার জীবত অবস্থায় আমার সাথে মুলাকাত পাইতএই হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, রাসূলে আকরাম (সাঃ) এখনো জীবিত (সূত্র: বেহেশ্তী জেওর, ১ম ভলিউম, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা: ৩০৬, হাদীস: , এমদাদিয়া লাইব্রেরী, সন- সেপ্টেম্বার ১৯৯০ ইং)

 

মুহাম্মদ ইবনে হানাফীয়াহ ও কবর যিয়ারত: ইমাম হাসান মুজতবা (আঃ) শাহাদাত বরণের পর মুহাম্মদ ইবনে হানাফীয়া তাঁর কবরের নিকট পৌছলে তাঁর কন্ঠরোধ হয়ে আসলকিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হলে তিনি ইমাম হাসানের আঃ প্রশংসা করতে লাগলেন। (সূত্র: আকদুল ফারিদ, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা: ১৩)



মেরাজের বর্ণনায় নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, আমি মুসা (আঃ) কে তাঁর কবরে নামায পড়তে দেখেছি এবং তার সত্তুর জন বানী ইসরাইলের সাথে তলবিয়া পাঠ করতে দেথেছি। (সূত্র: মাদারেজুন্ নবুওয়াত, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা:৭৩, শায়েখ আবদুল হক মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহঃ), সেরহিন্দ প্রকাশন-ঢাকা)

 

ইবনে আবি মালিক বলেছেন, “একদিন হযরত আয়েশা কবরস্থানে প্রবেশ করলেন আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম, কেন কবরস্থানে প্রবেশ করেছেন? তিনি বললেন, আমার ভাই আবদুর রহমানের কবর যিয়ারত করতে। (সূত্র:মুসতাদরাকে হাকিম, ১মখন্ড, পৃষ্ঠা:৫৩২,হাদীস: ১৩৯২)

হযরত আয়েশা বলেছেন, ‘যে রাতেগুলোতে আমার পালা থাকত এবং রাসূল (সাঃ) আমার ঘরে থাকতেন শেষ রাত্রিতে তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে কবর যিয়ারতে যেতে দেখতাম। (সূত্র: মুসতাদরাক হাকিম, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৫৩৩)

No comments:

Post a Comment