Friday, November 27, 2015

ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা -ঈমান আল সুরেশ্বরী।

আল্লাহ পাক পবিত্র কোরানুল করিমে ঘোষনা করেছেন-
”ফা কালা রাব্বুকুম উদউনি আস্তা জেবালাকুম।”-- সুরা মোমিন ,আয়াত-৬০।
অর্থ্যাৎÑ একা ডাক, ডাকের জবাব সঙ্গে সঙ্গে পাবে।
আসুন বন্ধুগন কেন আমরা একা নয় ,কারা আছে আমাদের সাথে উত্তপরিত ভাবে জড়িয়ে।
আল্লাহ পাক জিন ও মানুষের নফ্সের সঙ্গে শয়তানকে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। শয়তানের একমাত্র আবাস স্থল জিন ও মানুষের নফ্সের ভিতরে
সৃষ্টিকুলের আর কোথাও ঢুকার অনুমতি দেননি আল্লাহ পাক।
হাকিকি শয়তান তথা আসল শয়তান যদিও একটি কিন্তু রুপ ও গুনের প্রশ্নে চারটি যথা-
১. শয়তান। ২. ইবলিশ। ৩. মরদুদ এবং ৪. খান্ন্াস।
১. ” আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তোয়ানুর রাজিম।”
অর্থ্যাৎ- আল্লাহর আশ্রয় চাই সেই শয়তান হতে যে শয়তান প্রতিনিয়ত পাথরের আঘাত খেয়ে চলছে।
২. ”ফাসাজাদু ইল্লা ইবলিশ।”
অর্থ্যাৎ- সবাই সেজদা করল একমাত্র ইবলিশ ছাড়া।
৩. ”আত তালেবুদ দুনিয়া মরদুদ।
অর্থ্যাৎ- যারা কেবলই দুণিযা চাই তারা মরদুদ।
৪. ” মিন শাররিল ওয়াসি ওয়াসিল খান্নাস।”
অর্থ্যাৎ- খান্নাস হইতে তথা কুমন্ত্রনা দাতা হইতে সংশয় সৃষ্টিকারীর অপকারিতা হইতে।

এই চারটি রুপে শয়তান একমাত্র দুইটি জায়াগার বাস করতে পেির, একটি হলো জিনের নফ্সে আর অন্যটি হলো মানুষের নফ্সে ।
একমাত্র জিন ও মানুষের মধ্যেই রুহু ফুৎকার করে দেওয়া হয়েছে। তথা আল্লাহ স্বয়ং রুহু রুপে প্রতিটি মানুষের সঙ্গে বর্তমান।এই রুহু আল্লাহর সমগ্র
সৃষ্টিরাজ্যে আর কাহাকেও দেওয়া হয়নি বলেই মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব।কোরান এই আরোও পরিষ্কার করার জন্য বলেছে যে - ” নাহনু আকরাবু ইলাইহে মিন হাবলিল ওয়ারিদ।”
তথা আমরা তোমাদের শাহারগের নিকটেই আছি।এই একটি মাত্র কথা সৃষ্টিজগতে আর কোন জীবকে লক্ষ করে বলা হয়নি ,একমাত্র জিন এবং মানুষ ছাড়া।
বাতেনি শয়তানের চারটি রুপ খালি চোখে ধরা যায় না, এমনকি হৃদয় থাকা সত্ত্বেও ধরা যায় না। কী  বিজ্ঞানময় সৃষ্টির কৌশল দিয়েছেন মহান কৌশলদাতা আল্লাহ পাক।
বাতেনি শয়তানের থাকার একমাত্র স্থানটি হলো মানুষের অন্তর এবং জিনের অন্তর। বাতেনি শয়তানের চারটি বিকশিত রুপও থাকে একমাত্র অন্তরে।সৃষ্টিজগতের আর কোথাও নয়। বাতেনি শয়তানের উনিশটি ধোকা দেবার হাতিয়ার
থাকে একমাত্র অন্তরে। জাহেরী শয়তান তিনটি যা শরিয়তি শয়তান বলে , বাস করে মক্কা মিনাতে। জাহেরী শয়তান চোখে দেখা যায় জাহেরী শয়তান তিনটিকে ছোট ছোট তিনটি পাথরের টুকরা ছুড়ে মারতে হয়। জাহেরী শয়তানকে
জাহেরী পাথর ছুড়ে মারার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে, কেমন করে অন্তরে বাসকরা চার বাতেনি শয়তানকে বাতেনি পাথর ছুড়ে মারতে হবে।এই বাতেনি পাথর ছুড়ে মারার জন্যই জাহেরী পাথর মরা প্রয়োজন।একটি পাথর দেখা যায় ,
 কিন্তু  অপর পাথরটি দেখা যায় না । একটি মূর্ত অন্যটি বিমূর্ত। একটির আকার আছে অপরটির আকার নাই।
আর যখনই মানুষের নফ্সের শয়তান মারতে পারেন ঠিক তখনই মানুষের নফ্সটি আল্লাহর নূরে সম্পূর্নরুপে গ্রাস করে ফেলে তখনই সে নফ্সটি বলে ফেলে---
১.” আনাল হক।”
২. ” লাইসা কি জুব্বাতি সেওয়া আল্লাহ তায়ালা।”
৩. ”আনা সুবহানি মা আজামুলশ্শানি”।
৪. ’ইমানাম ইয়ারাম কে আন্দর নুরে হক ফানি সুদান, খাহে কে আনাল্লাহে বগু খাহে কে হু আল্লাহ।’
৫. ”সোহহম সোহমি।”
৬. ”তুই মুই,মুই তুই। ”  ইত্যাদি ইত্যাদি.....
মানুষের অন্তরের ভিতরেই শয়তান অবস্থান করে, অতচ কী নির্মম র্দূভাগ্য যে , সেই হাকিকি শয়তানকে বাহিরে খোজে । মানুষমনে করতে চাইনা যে ,শয়তান তার অন্তরেই অবস্থান করে।তাইত মানুষ এই কথাটি বলতে ভালবাসে ,
খুব পছন্দ করে ” ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায়।” কিন্তু যখনই বলা হয় ” ভবের নাট্যশালাই নিজকে চেনা দায়।” তখনই মুখমন্ডল বির্বন রুপ ধারন করে। কী বিচিত্র লীলাখেলা ! কী রহস্যময় প্রশ্ন আর জিজ্ঞাসা!
কখনো উত্তর পাই, কখনো আহত পাখির মত ছটফট করি।তাই ত আল্লাহ পাক বলেছেন , ’ তোমরা যত চালাকিই কর না কেন, জেনে রাখ, আমিই(আল্লাহ) সবচাইতে বড় চালাক।’
বর্ণমালা নেই ,শব্দচয়ন নেই,বাক্য গঠনের  শৈলী নাই,ছবিতে সিংহ - বাঘ নাই: অথচ প্রকৃতির মাঝে বর্ণমালা আছে ,শব্দচয়ন আছে,বাক্য গঠনের  শৈলী আছে,ছবিতে সিংহ - বাঘ আছে। তাই তো মওলা আলি বলেছেন যে,
 ’ ভাষায় লিখিত কোরানটি বোবা কোরান,আর আমি আলি জীবন্ত কোরান।’ একটি মেজাজি, অপরটি হাকিকি। এই কথাটি বুঝতে হলেও প্রয়োজন হয় তকদির।
   পরিশেষে বলিতে চাই ইসলাম ধর্ম সাংঘাতিকভাবে পরধর্মের উপর সহনশীল ধর্ম। তাই বলতে ইচ্ছা করছে যে , পৃথিবীতে যদি কোন বড় পাপ থাকে সেই পাপটার নাম হলো ’ আমি সব কিছু বুঝে গেছি, সবকিছু জেনে গেছি’।
    তাই নয় কি?
  
জয়গুরু
সংগ্রহ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা -ঈমান আল  সুরেশ্বরী।

No comments:

Post a Comment