খাজা বাবা মইনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) এর ধ্যান জীবনঃ
খাজা বাবা যখন প্রথম ভারতবর্ষে আসেন তখন পাঞ্জাব হয়ে লাহোরে প্রবেশ করেন। কথিত আছে-
আল্লাহর কুদরতি এক পাথরে চরে তিনি নদী পার হন। পাথরে দাঁড়ান ভাসমান পানির উপরে খাজা বাবা বললেন, “ হে পাথর, আমার আগে এমনি করে তুমি আর কতো জনকে পার করেছো?” পাথর জবাব দিলেন, “হুজুর, আপনার আগে আরও দুই জনকে পার করেছি। এখন আপনাকে নিয়ে আড়াই জন হল।” খাজা বাবা বললেন, “হে পাথর, আমি যদি তাদের তুলনায় অর্ধেক হই, তবে আমার পূর্ণতা কিভাবে সম্ভব?” পাথর জবাব দিলেন, “ হে খাজা, আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি গঞ্জে বখশর দরবারে। সেখানে আপনার জন্য একটি চিল্লা ঘর সজ্জায়িত আছে। ঐ খানে আপনি ৪০ দিন ধ্যান করবেন। আপনার ” ৪০ দিন ধ্যান সাধনার পর আপনি পূর্ণ হবেন। চিল্লা ঘর থেকে ধ্যান সাধনা করে খাজা বাবা ৪০ দিন পর বের হলেন। এবার খাজা বাবা কে দেখতে পূর্ণিমার চাদের মতো লাগছে। যে রুমে তিনি ধ্যান করেছেন, ঐ
রুমের দরোজায় আজো লেখা আছে, “ হুজুরায়ে এহতেকাফে খাজা মইনুদ্দিন চিশতী।” খাজা বাবা এবার লাহোর ত্যাগ
করে দিল্লীতে চলে আসলেন। সেখানে তিনি একটি গুহায় রাতের পর রাত ধ্যান করতেন। ইতিহাসে আছে খাজা বাবা যখন ধ্যান করে দরোজায় দাঁড়াতেন, তিনি কারো দিকে তাকাতেন না। দরোজায় রাখা একটি পাথর ছিল, খাজা বাবা বের হয়ে সর্ব প্রথম পাথরের দিকে তাকাতেন। দেখা যেত তাঁর দৃষ্টি পরার পর পাথরটি ঘামতে থাকতো আর
পানি পরতো।
No comments:
Post a Comment