♦ইবনে জুরাইর তার
ভ্রমন কাহিনীতে ইসমাঈল (আঃ) ও তাঁর মাতা হাজারের কবরের বর্ণনা দিয়েছেন ঃ
হিজর প্রাঙ্গনে নাভেদানের নাচে বাইতুল্লাহিল হারামের দেয়ালের পাশে হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর কবর। ঐ আলামত হলো সবুজ, মারবেল খচিত এবং মেহরাবের মত আয়াতাকার পাথর যে অন্য একটি মারবেল পাথর এর চার কিনারায় এসে সংযুক্ত হয়েছে। উভয় পাথরই বিষ্ময়কর ভাবে দর্শনীয়। ঐগুলোতে এমন ডোরা ও বিন্দু দাস আছে যে কিছুটা হলুদাভ যেন সেলাই করা ফাঁটন। এবং স্বর্ণ গলানোর পাত্রে অবশিষ্ট থাকা অুু সদৃশ। এর পার্শ্বে ইরাকীদের রোকনের নিকট তাঁর মাতা হাজেরার কবর। এর আলামত ও দেড় গজ মাপের একটি সবুজ পাথর। মানুষ হিজরের এ দু’টি স্থানে নামায আদায় করে বরকত কামনা করে এবং এটা তাদের জন্যে ন্যায়সঙ্গত। কারণ, ঐ দু’টি কবর ছিল ‘বাইতে আতিচ’ থেকে এবং দুটি পবিত্র ও সম্মানিত দেহকে ধারণ করেছে ।
★ যে সমস্ত কবরকে মহান আল্লাহ নূরানী করেছেন অগুলোর বরকতে ঐ স্থানে নামায আদায়কারী ও দোয়াকারীগনকে তিনি লাভবান করেন।
এ দু’টি পবিত্র কবরের দূরত্ব সাত গজ।
Reference :-
♦[ইবনে জুবাইর, মোহাম্মদ ইবনে যুবাইর কেনানী আন্দালোসী —৫৪০ বা ৫৩৯ হিজরীর ১০ রবিউল আউয়্যাল শুক্রবার দিবাগত রাতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬২৬ হিজরীর ২৭ বা ২৯ শা’বান মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করেন।]
♦আব্দুর রহমান ইবনে জাওযী (মৃঃ৫৯৭হিঃ) নিজ কিতাব [‘মাসিরুল গারাম আলসাকিম ইলা আশরাফিল আমাকেন’ দারুল রায়িয়াত লিলনাশর, রিয়াদ, ১৪১৫হিঃ পৃঃ২১৮]
Proof 16:- ♦ আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে ইসহাক আলফাকেহী (মৃত্যু ২৭২হিঃ) নিজ কিতাবে [‘মিন আখাবারি মাক্কাহ ফি কাদিমিল দাহর ওয়া হাদীসা’ বৈরুত থেকে প্রকাশিত ১৪১৪ হিজরী আখবারি],
★””ইসমাঈল (আঃ)-এর কন্যাদের কবরসমূহের পরিচিতি’”” নামক অধ্যায়ে লিখেন ঃ বর্ণিত হয়েছে যে,
Proof 17:- ♦ইবনে যুবাইর বলেনঃ এই অর্ধবৃত্ত যা শ্যামের রোকনে সংযুক্ত হয়েছে সেখানে ইসমাঈল (আঃ)-এর কন্যাদের কবর। এ আবি ওমর নিজের হাদীসে বলেন, রাবি, সুফিয়ান থেকে জানতে চেয়েছিলঃ এ স্থানটি কোনটি ? তিনি নিজ হাত দিয়ে পশ্চিমের রোকনের সামনাসামনি যা ইয়েমেনী রোকন ‘দারুল আজালা’র প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন।
Reference :-
এ বিষয়টি [মাক্কাহ পৃঃ১২৩ অনুসারে] ‘আব্দুর রাজ্জাকও তার মোসান্নাফে (খঃ৫ পৃঃ১২০) এবং ‘আযরাক্বী’ (খঃ২পৃঃ৬৬) নিজ কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
Proof 18:- ♦সিরাতে ইবনে হিশাম (মৃত্যু ঃ ২১৮হিঃ ), তারিখে তাবারী (মৃত্যু ঃ ৩১০হিঃ), তারিখে ইবনে আছির (মৃত্যুর ৬৩০হিঃ) এবং ইবনে কাছিরে (মৃত্যুঃ৭৭৪হিঃ) একটি রেওয়ায়েত আছে যে বলেন ঃ
“ইসমাঈল (আঃ) তাঁর মা হাজার (রা) এর সাথে ‘হিজরে’ শায়িত আছেন।”
“ইসমাঈল (আঃ) ওয়াসিয়াত করেছিলেন যাতে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে হিজরে’ তাঁর মায়ের কবরের পাশে সমাধিস্থ করা হয়।”
Proof 19:- ♦ইবনে সা’দ তায় ‘তাবাকাতে’ বলেন ঃ ইসমাঈল (আঃ)-এর বিশ বছর বয়সে তাঁর ‘হাজার’ নব্বই বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
★ ইসমাঈল (আঃ)ও পিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর পর মৃত্যুবরণ করেন এবং মাতা হাজারের পাশে কা’বার দক্ষিণে সমাহিত হন।
অন্য এক রেওয়ায়েতে বলা হয় ঃ ইসমাঈলের (আঃ) কবর নাভেদানের নীচে রোকন ও বাইতুল্লাহর মাঝে অবস্থিত।
Reference :-
[তাবাকতে ইবনে সা’দ (ইউরোপ থেকে প্রকাশিত ) খঃ১, পৃঃ২৫, সংক্ষেপে তা বর্ণনা করা হলো।]
Proof 20:- ♦ কালায়ীর ‘আল-ইকতিফা’ কিতাবে বর্ণিত হয়েছে যে (সংক্ষেপে)ঃ
“হাজেরা , ইসমাঈল এবং তদীয় পুত্র নাবাত হিজরে সমাহিত হয়েছে।”
Reference :-
[‘আল ইকতিফা ফি মাগাযিল মোস্তফা ওয়াল সালাসাতুল খোলাফা, পৃঃ১১৯, তাসহীহ (হোনারী মাসা), মুদ্রনে (ঘুল কারিয়ূনান) আলজ্জাযায়ির ১৯৩১ খ্রীঃ]
Proof 21:-♦
★ বোযর্গানে দ্বীনের বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায়, হযরত ইসমাঈল (আ:) ও তাঁর মাতা সাহেবানী হযরত হাজার (রা:) উভয়-ই (মক্কার) হারাম শরীফের অন্তর্গত আল-হিজর নামের স্থানে সমাহিত হন।
Reference :-
এই তথ্য আস্থাভাজন ইতিহাসবিদগণ উল্লেখ করেছেন এবং তা প্রসিদ্ধ ইসলামী ইতিহাসবেত্তাবৃন্দ কর্তৃক সমর্থিত হয়েছে; এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইবনে এসহাক নিজ ‘সীরাহ’ গ্রন্থে, ইবনে জারির তাবারী তাঁর ‘তারিখ’ পুস্তকে, আস্ সোহায়লী স্বরচিত ‘আল-রওদ আল-উনুফ’ কেতাবে, ইবনুল জাওযী নিজ ‘মুনতাযেম’ বইয়ে, ইবনুল আসির তাঁর ‘আল-কামেল’ পুস্তকে, আয্ যাহাবী স্বরচিত ‘তারিখ আল-ইসলাম’ গ্রন্থে এবং ইবনে কাসীর নিজ ’আল-বেদায়া ওয়ান্ নেহায়া’ কেতাবে। হুযূর পাক (দ:) আল-খায়ফ মসজিদে আম্বিয়া (আ:)-এর মাযার-রওযা এবং আল-হিজর স্থানে ইসমাঈল (আ:) ও তাঁর মায়ের দাফন হবার দুটি খবরেরই সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, অথচ সে সব মাযার-রওযা সরিয়ে
হিজর প্রাঙ্গনে নাভেদানের নাচে বাইতুল্লাহিল হারামের দেয়ালের পাশে হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর কবর। ঐ আলামত হলো সবুজ, মারবেল খচিত এবং মেহরাবের মত আয়াতাকার পাথর যে অন্য একটি মারবেল পাথর এর চার কিনারায় এসে সংযুক্ত হয়েছে। উভয় পাথরই বিষ্ময়কর ভাবে দর্শনীয়। ঐগুলোতে এমন ডোরা ও বিন্দু দাস আছে যে কিছুটা হলুদাভ যেন সেলাই করা ফাঁটন। এবং স্বর্ণ গলানোর পাত্রে অবশিষ্ট থাকা অুু সদৃশ। এর পার্শ্বে ইরাকীদের রোকনের নিকট তাঁর মাতা হাজেরার কবর। এর আলামত ও দেড় গজ মাপের একটি সবুজ পাথর। মানুষ হিজরের এ দু’টি স্থানে নামায আদায় করে বরকত কামনা করে এবং এটা তাদের জন্যে ন্যায়সঙ্গত। কারণ, ঐ দু’টি কবর ছিল ‘বাইতে আতিচ’ থেকে এবং দুটি পবিত্র ও সম্মানিত দেহকে ধারণ করেছে ।
★ যে সমস্ত কবরকে মহান আল্লাহ নূরানী করেছেন অগুলোর বরকতে ঐ স্থানে নামায আদায়কারী ও দোয়াকারীগনকে তিনি লাভবান করেন।
এ দু’টি পবিত্র কবরের দূরত্ব সাত গজ।
Reference :-
♦[ইবনে জুবাইর, মোহাম্মদ ইবনে যুবাইর কেনানী আন্দালোসী —৫৪০ বা ৫৩৯ হিজরীর ১০ রবিউল আউয়্যাল শুক্রবার দিবাগত রাতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬২৬ হিজরীর ২৭ বা ২৯ শা’বান মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করেন।]
♦আব্দুর রহমান ইবনে জাওযী (মৃঃ৫৯৭হিঃ) নিজ কিতাব [‘মাসিরুল গারাম আলসাকিম ইলা আশরাফিল আমাকেন’ দারুল রায়িয়াত লিলনাশর, রিয়াদ, ১৪১৫হিঃ পৃঃ২১৮]
Proof 16:- ♦ আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে ইসহাক আলফাকেহী (মৃত্যু ২৭২হিঃ) নিজ কিতাবে [‘মিন আখাবারি মাক্কাহ ফি কাদিমিল দাহর ওয়া হাদীসা’ বৈরুত থেকে প্রকাশিত ১৪১৪ হিজরী আখবারি],
★””ইসমাঈল (আঃ)-এর কন্যাদের কবরসমূহের পরিচিতি’”” নামক অধ্যায়ে লিখেন ঃ বর্ণিত হয়েছে যে,
Proof 17:- ♦ইবনে যুবাইর বলেনঃ এই অর্ধবৃত্ত যা শ্যামের রোকনে সংযুক্ত হয়েছে সেখানে ইসমাঈল (আঃ)-এর কন্যাদের কবর। এ আবি ওমর নিজের হাদীসে বলেন, রাবি, সুফিয়ান থেকে জানতে চেয়েছিলঃ এ স্থানটি কোনটি ? তিনি নিজ হাত দিয়ে পশ্চিমের রোকনের সামনাসামনি যা ইয়েমেনী রোকন ‘দারুল আজালা’র প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন।
Reference :-
এ বিষয়টি [মাক্কাহ পৃঃ১২৩ অনুসারে] ‘আব্দুর রাজ্জাকও তার মোসান্নাফে (খঃ৫ পৃঃ১২০) এবং ‘আযরাক্বী’ (খঃ২পৃঃ৬৬) নিজ কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
Proof 18:- ♦সিরাতে ইবনে হিশাম (মৃত্যু ঃ ২১৮হিঃ ), তারিখে তাবারী (মৃত্যু ঃ ৩১০হিঃ), তারিখে ইবনে আছির (মৃত্যুর ৬৩০হিঃ) এবং ইবনে কাছিরে (মৃত্যুঃ৭৭৪হিঃ) একটি রেওয়ায়েত আছে যে বলেন ঃ
“ইসমাঈল (আঃ) তাঁর মা হাজার (রা) এর সাথে ‘হিজরে’ শায়িত আছেন।”
“ইসমাঈল (আঃ) ওয়াসিয়াত করেছিলেন যাতে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে হিজরে’ তাঁর মায়ের কবরের পাশে সমাধিস্থ করা হয়।”
Proof 19:- ♦ইবনে সা’দ তায় ‘তাবাকাতে’ বলেন ঃ ইসমাঈল (আঃ)-এর বিশ বছর বয়সে তাঁর ‘হাজার’ নব্বই বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
★ ইসমাঈল (আঃ)ও পিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর পর মৃত্যুবরণ করেন এবং মাতা হাজারের পাশে কা’বার দক্ষিণে সমাহিত হন।
অন্য এক রেওয়ায়েতে বলা হয় ঃ ইসমাঈলের (আঃ) কবর নাভেদানের নীচে রোকন ও বাইতুল্লাহর মাঝে অবস্থিত।
Reference :-
[তাবাকতে ইবনে সা’দ (ইউরোপ থেকে প্রকাশিত ) খঃ১, পৃঃ২৫, সংক্ষেপে তা বর্ণনা করা হলো।]
Proof 20:- ♦ কালায়ীর ‘আল-ইকতিফা’ কিতাবে বর্ণিত হয়েছে যে (সংক্ষেপে)ঃ
“হাজেরা , ইসমাঈল এবং তদীয় পুত্র নাবাত হিজরে সমাহিত হয়েছে।”
Reference :-
[‘আল ইকতিফা ফি মাগাযিল মোস্তফা ওয়াল সালাসাতুল খোলাফা, পৃঃ১১৯, তাসহীহ (হোনারী মাসা), মুদ্রনে (ঘুল কারিয়ূনান) আলজ্জাযায়ির ১৯৩১ খ্রীঃ]
Proof 21:-♦
★ বোযর্গানে দ্বীনের বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায়, হযরত ইসমাঈল (আ:) ও তাঁর মাতা সাহেবানী হযরত হাজার (রা:) উভয়-ই (মক্কার) হারাম শরীফের অন্তর্গত আল-হিজর নামের স্থানে সমাহিত হন।
Reference :-
এই তথ্য আস্থাভাজন ইতিহাসবিদগণ উল্লেখ করেছেন এবং তা প্রসিদ্ধ ইসলামী ইতিহাসবেত্তাবৃন্দ কর্তৃক সমর্থিত হয়েছে; এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইবনে এসহাক নিজ ‘সীরাহ’ গ্রন্থে, ইবনে জারির তাবারী তাঁর ‘তারিখ’ পুস্তকে, আস্ সোহায়লী স্বরচিত ‘আল-রওদ আল-উনুফ’ কেতাবে, ইবনুল জাওযী নিজ ‘মুনতাযেম’ বইয়ে, ইবনুল আসির তাঁর ‘আল-কামেল’ পুস্তকে, আয্ যাহাবী স্বরচিত ‘তারিখ আল-ইসলাম’ গ্রন্থে এবং ইবনে কাসীর নিজ ’আল-বেদায়া ওয়ান্ নেহায়া’ কেতাবে। হুযূর পাক (দ:) আল-খায়ফ মসজিদে আম্বিয়া (আ:)-এর মাযার-রওযা এবং আল-হিজর স্থানে ইসমাঈল (আ:) ও তাঁর মায়ের দাফন হবার দুটি খবরেরই সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, অথচ সে সব মাযার-রওযা সরিয়ে
No comments:
Post a Comment