ইমামূত তরিকত হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ)
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) বোখারার সন্নিকটে কাসরে আরেফান নামক স্থানে ৭১৮হিজরী সনের মহররম মাসে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল হযরত জালানুদ্দীন (রঃ)। হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ)এর জন্মের বহু পূবেই সেই যামানার প্রখ্যাত বুজুগ কুতুব-ই-বেলায়েত হযরত
খাজা মোহাম্মদ বাব সামমাসী (রঃ)ভবিষ্যত বাণী করছিলেন যে, কাসরে আরেফানে এমন একজন বিশিষ্ট বুজুগ জন্ম গ্রহন করবেন যিনি শরীয়ত ও তরীকতের একজন প্রখ্যাত ইমাম হবেন। হযরত শেখ
বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ)এর পিতাকে হযরত খাজা সামমাসী(রঃ) একদিন বললেন, তোমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করবে এবং বাতেনী দিক দিয়ে সে আমারই ফরজন্দ বা আওলাদ হবে। ইহা ছাড়াও সে আমার সিলসিলা উজ্জল করবে। তার এ বাণী যে সত্রে পরিণত হয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। হযরত থেখ তবাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) এর জন্মের তৃতীয় দিনে তার পিতা তাকে কোলে
নিয়ে হযরত সামমাসী (রঃ) এর দরবারে হাজির হলেন। তিনি শিশুটিকে দেখেই নিজের ন্তান
হিসাবে কোলে নিলেন এবং তার মুরীদ ও খলিফা হযরত আমীর কালালকে বললেন, হে আমীর কালাল এ শিশু পুত্র সম্পকে তোমার প্রতি আমার হুকুম হল তুমি তার আধ্যাত্নিক শিক্ষা দীক্ষার ভার গ্রহণ করবে। তার তালীম ও তরবিয়াতের ব্যবস্থা তনেবে এবং তাকে বেলায়েতের শীষস্থানে পৌছে দিবে।
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) শৈশব কাল হতেই হযরতবাবা মোহাম্মদ সামমাসী(রঃ) এর সাহচজে ও সংশ্রবে আসেন। সে সময় একদিন এক বুজুগ ব্যক্তির সাথে তার দেখা হয়। তিনি তাকে দেখেই বললেন তোমাকেত একজন সালেক বলে মনে হচ্ছে। উত্তরে হযরত শেখ বাহাউদ্দিন
মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ০ বললেন,পনাদের মত আল্লাহ ওয়ালাদের নেক নজরের উছিলায় যাতে মাওলাকে পেতে পারি সে দোয়াই কামনা করছি। তখন ঐ বুজুগ ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
তোমার খাওয়া-পরার ব্যবস্থা কি?উত্তরে তিনি বললেন, পেলে খাইঅণ্যথায় সবর ও শোকের করি। ইহা শুনে সে বুজুগ ব্যক্তি মুছকি হেসে বললেন,ইহাত খুবই সহজ কাজ। আসল কাজ হল নিজের নফসকে সদা সবদা মাকামে তৌবায় নিয়ন্ত্রিত রাখা, যাতে অনাহারে খাকলেও সে তোমাকে কখনও বিপথগামী বা প্রতারিত করতে না পারে।
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) এর বয়স যখন ১৮ বতসর তখন তার আব্বাজান একদিন হযরত সামমাসীর খেদমতে হাজির হলেন এবং পুত্রের বিবাহের অনুমতি প্রাথনা করলেন। হযরত শেখ মোহাম্মদ নকশবন্দ(রঃ) দরবারে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনা সম্পকে তিনি স্বয়ং ইরমাদ করেন,
সে
রাত্রিতে আমি মসজেদে এস দু’রাকাত নামাজ পড়ে সিজদায় গিয়ে দোয়া করলাম, হে আল্লাহ তুমি আমাকে এ গুরুভার বহন করার মক্তিন কর। পরদিন সকালে যখন হযরত কাজা সামমাসীর দরবারে হাজির হলাম তখন তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আমার মাওলা এ গুনাহগার বান্দাকে তোমার মজির উপর কায়েম থাকার তৌফিক দান কর। এ নসহিতের ফলে হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ
নকশবন্দ (রঃ) হযরত সামমাসীর জীভদ্দশায় আর বিবাহ করেন নাই। হযরত বাবা সামমাসীর ইন্তেকালের পর তিনি প্রথমে সমরকন্দ গমন করেন। সেখানে তিনি বুজুগানে দ্বীন ও আওলিয়া কেরামের সাহচজে থেকে ফয়েজ ও বরকত হাসিল করেন। পরে তিনি বোখারায় চলে আসেন এবং আল্লাহ পাকের ইবাদত বন্দেগীতে গভীরভাবে আত্ননিয়োগ করেন। এ সময় তিনি ফয়েজ ও বরকতের আশায় বোখারার মাজার সমূহ জিয়ারত করতে থাকেন। তিনি যে মাজার শরীফেই যেতেন দেখতেন মাজার শরীফের বাতি নিবু নিবু অবস্থায় রয়েছে এবং তিনি হাত দিয়ে ছোঁয়া মাত্রই তাহা পূণভাবে উজ্জল হয়ে জ্বলে উঠে। এক পযায়ে তিনি হযরত খাজা মোহাম্মদ ওয়ায়েস (রঃ) এর মাজার হতে নিদেশ পান হযরত খাজা মোহাম্মদ আজকার নওবী (রঃ) এর মাজার শরীফ যেয়ারত করতে। সেখানে এক নূরানী চেহারার বুজুগ ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাত হয়। সে বুজুগ ব্যক্তি তার কোমরে দুখানা তলোয়ার বেধে দিয়ে তাকে একটি ঘোড়ায় সাওয়ার করারেন। অতঃপর তিনি ঘোড়াটিকে শামুসল আওলিয়া হযরত খাজা মজদে আখন্দ (রঃ) এর মাজার শরীফের দিকে ধাবিত করে দিলেন। রাত্রির শেষ দিকে হযরত শেখ
বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ)হযরত খাজা মজদে আখন্দ (রঃ) এর মাজার শরীফে উপস্থি হন এবং সেখানেও মাজার পাকের বাতিগুলি নিবু নিবু অবস্থায় দেখতে পান। বাতিগুলিকে তিনি স্পশ করা মাত্রই সেগুলি পূণভাবে উজ্জল হয়ে জ্বলতে থাকে। এর পর তিনি ফাতেহা আদায় করে মোরাকাবায় বসেন। মোরাকাবা অবস্থায় তিনি দেখতে পান এক মহান আরিফ বিল্লাহ উচ্চ আসনে বসে আছেন এবং তার সম্মুখে বহু ওলী-ই-কামেল ও বুজুগানে দ্বীন উপস্থিত আছেন। তম্মধ্যে তিনি কেবল হযরত মোহাম্মদ
সামমাসীকে চিনতে পারলেন। এ অবস্থায় অন্যসকলের পরিচয় জানার তার মনে প্রবল ইচ্ছা হওয়া মাত্র
একজন বুজুগ দাড়িঁয়ে তাকে বললেন,
উচ্চআসনে উপবিষ্ট আছেন আরিফ বিল্লাহ মাহবুবে সামদানী হযরত আব্দুল খালেক গাজদাওয়ানী (রঃ) এবং অন্য সকলে হলেন তোমার পীরান সিলসিলার
পীরান-ই-কেরাম। বোখারায় অবস্থানকালে তার শঅদী মোবারক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান হতে
তিনি স্বীয় জন্মস্থান কাসরে আরেফানে চলে আসেন। সুলতানুল আরেফীন হযরত আমীর কালাল (রঃ)
কিছুকাল পরে সেখানে তাশরীফ আনিলে হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ)তার নিকট বায়ত হন।
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) স্বীয় মুশিদ কেবলা হযরত আমীর কালাল এর নিকট তরীকতের বিভন্ন শিক্ষা দীক্ষা সমাপ্ত করেন। একদিন হযরত আমীর কালালতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে বাহাউদ্দিন,আমি আমার পীর ও মুশিদ হযরত মোহাম্মদ সামমাসীর হুকুম অনুযায়ী তোমার শিক্ষা-দীক্ষা, তা’লীম ও তারবীয়ত সবকিছু সঠিকভাবে শেষ করেছি। কিন্তু তরীকত বা সুলোক সম্বন্ধে যে দুনিবার আকাঙ্খা, দুদমনীয় আবেগ ও নিভিকচিন্তা এখনও তোমার মাঝে পরিলক্ষিত হচ্চে সে প্রেক্ষিতে
অধিকতর ফয়েজ ও বরকত ইলমে লাদুণী হাসিলে উদ্দেশ্যে যে কোন বুজুগের খেদমতে হাজির হবার এজাজত তোমাকে প্রদান করলাম।
হরযত শেক বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) স্বীয় পীর ও মুশীদ এর নিকট হতে বিদায় নিয়ে সবপ্রথমে প্রখ্যাত বুজুগ হযরত শেখ ফাতাহ এর খেদমতে হাজির হলেন এবং তার নিকট কিছুকাল অবস্থান করে রুহানী ফয়েজ ও বরকত হাসিল করেন। হযরত শেখ পাতাহ বলতেন, হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) এর হৃদয়ে আমি যে ইশক-ই-ইলাহীর প্রেমগ্নি প্রজ্জলিল দেখেছি সেরুপ প্রেমগ্নি সমরকন্দে আর কারও লাভ হয় নাই। হযরত ফাতাহ এর নিকট হতে বিদায়
নিয়ে হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) সুবিখ্যাত ওলী হযরত খলীল আক্কা (রঃ) এর দরবারে হাজির হর। সুদীঘ বার বতসর তার খেদমতে থেকে তিনি ফয়েজ ও বরকত হাসিল করেন। সে সময় তিনি হযরত খলিল আক্কা (রঃ) এর সাথে মক্কা মদীনা জেয়ারত করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হযরত খলিল আক্কা কিছুকালে জন্য মাওয়ারা উননাহার রাজ্যের শাসনকতা ছিলেন। হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) স্বপ্নযোগে রাসুলে পাক(সাঃ) এবং আরীফ বিল্লাহ, মাহবুব-ই-
সামদান ী হযরত খাজা আব্দুল খারেক গাজদাওয়ানী এর নিকট হতে ফয়েজ ও বরকত এবং বেলায়েত এর উচ্চ মযাদা লাভ করেন। হযরত খাজা আব্দুল খালেক গাজদাওয়াণী নকশবন্দীয়া তরীকার পীরান-ই-পীর ছিলেন। হযরত খাজা খিজির (আঃ) এর সাথে তার বিশেষ রুহানী সম্পক ছিল। ৫৭৫ হিজরীতে
খাজা গাজদাওয়ান ইন্তেকাল করেন। গাজদাওয়ানে তার পবিত্র মাজার শরীফ অবস্থিত।
উল্লেখ্য যে, কুতুবুল আকতাব, গাউসুদ দাহার হযরত ইউসুফ হামদানী হযরত খাজা গাজদাওয়ানীর পীর ও মুশিদ ছিলেন। গাউসুল আজম আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) কিছুকাল হযরত ইউসুফ হামদানীর কেদমতে থেকে রুহানী ফয়েজ ও বরকত হাসিল করেছিলেন।
হযরত খাজা ইউসুফ হামদানী ৫৩৫ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। তার পবিত্র মাজার শরীফ হিরাট নগরের সন্নিকটে মাদ নামক স্থানে অবস্থিত। তিনি সামা খুবই পছন্দ করতেন এবং বলতেন সামা আত্নীক শক্তি ও হৃদয়ের জীবতার ধারক বাহক। আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে যে হেজাব বা পদা বিরাজিত বীবতার ধারক বাহক। আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে যে হেজাব বা পদা বিরাজিত সামা তা অপসারন করে। ইহা গুপ্ত রহস্যের দ্বার উদঘাটকও বটে।হযরত শেক বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) সুদীঘকাল ইবাদত
রিয়াজত, মোযাহাদা ও মোরাকাবায় মগ্ন ছিলেন। তিনি দেশে তবিদেশে পাহাড়ে, জঙ্গলে আল্লাহর প্রেমে
মাতোয়ারা হয়ে ঘুরে বেড়াতেন। দুনিয়ার কোন আকষনই তার ছিল না। প্রায়ই তার পরিধেয় বস্ত্র ছিন্ন-বিছ্ছিন্ন হয়ে যেত, নগ্ন পদে কন্টকাকীণ পথ চলিতে চলিতে তার কদম মোবারক ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যেত। কিন্তু সেদিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না। তার এক মাত্র ধ্যান ও সাধনা ছিল কিভাবে মাবুদ মাওলার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করা যায়। সুদীঘকাল এভাবে পাহাড়ে জঙ্গলে কঠিন ইবাদাত-রিয়াজত ও সাধনার মাধ্যমে অতিবাহিত করে একদিন তার পীর ও মুশিদ কেবলা হযরত আমীর কালাল এর সাথে সাক্ষাতে উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথে জনৈক ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাত হয়। তার মুখমন্ডল কাপড়ে
আচ্ছাদিত ছিল। উক্ত ব্যক্তি তার সাথে কথা বলতে চাইলেন। কিন্তু তিনি সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ করলেন না। সোজা স্বীয় পীরের খেদমতে হাজির হলেন। তার পীর তাকে বললেন পথে তোমার সাথে যার সাক্ষাত হল তার সাথে কথা বল নাই কেন? তিনি ছিলেন হযরত খিজির (আঃ) উত্তরে হরযত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ)বললেন, হুজুর আমি আপনার খেদমতে আসছিলাম, এজন্য অন্য কোন দিকে লক্ষ্য
করি নাই। হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) একবার হজ্জে তামরীফ নিয়ে ছিলেন। ঈদউল আযহার দিনে সকল হজ্জ সযাত্রী পশু কোরবানী দিলেন। তিনি কোন পশু কোরবানী না দিয়ে ইরশাদ করলেন, আমি আজা আমার ছোট ছেলেকে আল্লাহর রাস্তায় কোরবানী দিলাম। পরে সকলে জানতে
পারলেন যে, তার এক সাহেবজাদা ঐ ঈদের দিনই ইন্তেকাল করেছিলেন। হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) যে সিলসিলার বয়াত গ্রহণ করতেন তা সিলসিলা-ই-নকশবন্দীয়া নামে খ্যাতি অজন করে।
তিনি ও তার সুযোগ্য খলিফাগন এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ সিলসিলার মাধ্যমে দ্বীন ইসলামের ঝান্ডা
দেশে-বিদেশে প্রচার ও প্রসার লাভ করে। ইতিহাস হতে জানা যায় হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ(রঃ) তার মুরদিদিগকে “আল্লাহ” শব্দেরনকশা লিখে দিতেন যাতে তারা ধ্যান এর মাধ্যমে এ নামপাকের নকশা স্বীয় কলবে প্রতিফলিত করতে পারে। এ প্রতিফলিত হত। হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ)এজন্য নকশবন্দ উপাধিতে সুখ্যাতি অজন করেন।
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নকশবন্দ (রঃ) ৭৯১ হিজরীতে ৭৩ বতসর বয়সে ৩রা রবিউল আউয়াল মাসে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজেউন। তার মাজার শরীফ কাসবে আরেফানে অবস্থিত। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাণী নিম্নে উদ্ধৃত করা হয়ঃ
১। খোদা তালাবী,বালা তালাবী অথাত আল্লাহর পথের পথিককে দুঃখ-কষ্ট, বালা মুসিবতকে বরণ করে নিতে হবে।
২। পীর ও মুশিদ একজন অভিজ্ঞ চিকিতসকতুল্য। তিনি প্রয়োজন অনুযায়ী মুরীদদের রুহানী
চিকিতসার ব্যবস্থা করেন।
৩। মুরীদ এর ইচ্ছাকে পীর এর ইচ্ছার উপর ছেড়ে
দেওয়া উচিত.....
No comments:
Post a Comment