Sunday, November 29, 2015

বাবা হযরত গোলাপ শাহ আউলিয়াঃ-


গুলিস্থানের গোলাপ-ফুল আল্লাহর কুতুব

 বাবা হযরত গোলাপ শাহ আউলিয়াঃ-

জন্মঃ- পাক-মহাভারত

মাজারঃ- গুলিস্থান জামে মসজিদের বিপরীত পাশে

সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ- হযরত সেকান্দার শাহ্ ইয়ামেনি (র) ২০০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করার উদ্দেশ্যে আগমন করেন এবং তাহার ইন্তেকালের পর তাকে সসম্মানে নিম গাছ তলি নামক স্থানে সমাহিত করা হয়তখন এই মাজার নিম গাছ তলীর মাজার নামে লোক মুখে পরিচিত হয়ে উঠেএর কয়েক দশেক পর হজরত গোলাপ শাহ্ (র) নামে এক কামেল সূফী ভারত উপমহাদেশ থেকে আগমন করেন এবং সারা জীবন সেকান্দার শাহ্ বাবার খিদমতে কাটিয়ে দেনপরবর্তিতে তাকে সেকান্দার শাহ্ বাবার ডান পাশে সমাহিত করা হলে, তখন থেকে এই মাজারের নাম হয়ে যায় গোলাপ শাহ্ বাবার মাজার

 কারামাতঃ-

 আজ পর্যন্ত গোলাপ শাহ্ মাজারের পাশে একবারের জন্যও কোন গাড়ি দুর্ঘটনা হয় নি, অথচ প্রতিদিন সে গোলাপ শাহ্ মাজারের পাশ দিয়ে লক্ষ লক্ষ গাড়িযাওয়া-আসা করছে

 গোলাপ শাহ্ বাবার মাজার চারিদিক দিয়ে লোহার তৈরি ছিদ্র যুক্ত বেড়া দিয়ে ঘেরাগোলাপ শাহ্ বাবার দরগাহে হিন্দু, বুদ্ধ, খ্রিস্টান,মুসলমান সকল জাতির মানুষ তাদের

 মানত পূরণের জন্য বাবার দরগাহে বাইরে থেকে টাকা পয়সা ফেলে মানত করে থাকেনতাদের সেই মানত আশ্চর্য জনকভাবে পূরণ হয়ে যায়

 গোলাপ শাহ্ বাবার মাজার চৌরাস্তার মাঝখানে হওয়ায়,এবং যানবাহন চলাচলে মাজারকে প্রতিবন্ধক মনে করে হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদের শাসন আমলে বুল-ডোজার দিয়ে ভাঙ্গার প্রচেষ্টা করা হলে, বুল-ডোজারটি আপনা-আপনি নিস্ক্রিয় হয়ে যায় এবং তাতে আপনা আপনি আগুন ধরে যায় পরে সপ্নে এই নির্দেশ হয় যে এই আওলিয়ার মাজার শরিফ ভাঙলেকেউ

জীবিত থাকবে নাপরে তা আর কেউ ভাঙ্গতে পারে নি

 প্রতি ৫০ দিন পর পর মাজারে ভক্ত আশেকানদের ফেলা টাকা মাজারের ভিতর থেকে বাহির করে "বাংলাদেশ ইসলামিক ব্যাংক" এ জমা করা হয় প্রতি মাসে আনুমানিক ৩-৪ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে জমা হয়

 প্রতিদিন শত শত লোক মাজার জিয়ারত ও দোয়া প্রার্থনা করতে আসেন,বৃহস্পতি ও শুক্র বার এর সংখ্যা ১০ গুন বেড়ে যায়

 বাবা গোলাপ শাহ্র মাজারের চার পাশে জান্নাতি খুশ বু তে ভরপুর থাকে ২৪ ঘণ্টা , সেখানে ৫ মিনিট দাঁড়ালেই আপনার মনে হবে যে আল্লাহর ফেরেশতারা যেন আকাশ থেকে আতর ঢেলে দিচ্ছে

 বাবা গোলাপ শাহ্র মাজার শরিফের গায়ে একটি রহমতের শিকল রয়েছে ,সেটা ধরে যদি কোন দুঃখী মানুষ আল্লাহর দরবারে কোন ফরিয়াদ জানায়,তাহলে তার ফরিয়াদ কখনও খালি ফিরে না এই মহান আওলিয়ার মাজার শরিফে গত ৫ মে সন্ধায় হেফাজত ইসলামী হামলা করে গোলাপ শাহ্ বাবার মাজারের গিলাপ ছিনিয়ে নিয়ে গেছেযদি বাবা সত্যি-কারের আল্লাহর আওলিয়া হয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন ভবিষ্যতে খোঁদার গজবে বাংলার মাটিতে হেফাজতের নাম ও নিশানও খুজে পাওয়া যাবে না

4 comments:

  1. হায়রে ভন্ডের দল!!! বাবার এখন আর কিছুই করার শক্তি নাই কোরআন হাদীস অনুসারে।।
    টাকা কামানোর একটা ধান্দার জন্য অতি রঞ্জিত করে লেখা হয়েছে।।হায়রে বাবার আশেকান!! এটা যারা লিখছে সবগুলায় মারফতি( ভন্ডামি)লাইনের।বেনামাজি।।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভালো লাইনের কি আমাকে একটু বলবেন?
      ওলীরা ইন্তেকালের পর কোনো শক্তি নেই এটা কোন জায়গায় লেখা আছে দেখাতে পারবে?
      বরং ওলীদের ইন্তেকালের পর তাদের শক্তি বেড়ে যায় এটা আছে
      হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভীর
      মা সাবাতা বিস সুন্নাহ
      পড়ো

      Delete
  2. Love you... ❤️❤️❤️
    গোলাপ শাহ বাবা

    ReplyDelete
  3. 😒😒😒😒😒😒

    ReplyDelete