Tuesday, June 28, 2016

ঈমান-আক্বিদা নষ্ট তাদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা।

১) যাদের ঈমান-আক্বিদা নষ্ট তাদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা। 
যেমন – কাদিয়ানী,বাতিল ৭২ ফিরকা । যে সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে “ শীঘ্রই আমার উম্মত ৭৩ ভাগ হবে। যার ৭২ ভাগ জাহান্নামী, ১ ভাগ নাযাত প্রাপ্ত দল অর্থাৎ জান্নাতী।“ নাযাত প্রাপ্ত দলই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত বাকি ৭২ ভাগই বাতিল ফিরকা। কাদিয়ানীদের আমল আখলাক ,চেহারা –সুরত অন্যান্য মুসলমান উনাদের মতই । এমনকি তাদের অনেক আমল অনেক সাধারন মুসলমান হতেও বেশি । কিন্তু এরা কাট্রা কাফির । কারন কাদিয়ানীরা সব মানলেও পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একটি মাত্র শব্দ “খতমে নবুওয়্যত” অর্থাৎ নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শেষ নবী ও রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না মেনে কাদিয়ানীরা অপব্যাখ্যা করে যে নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে আরো নবী আসবে (নাউযুবিল্লাহ)। যার কারনে কাদিয়ানীর ফিরকার অনুসারীরা কাট্রা কাফির মির্জা গোলাম কাদিয়ানীকে নবী মানে(নাউযুবিল্লাহ)।তার মানে কাদিয়ানীরা সম্মানিত ইসলাম হতে খারিজ ও কাট্রা কাফির । এদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা।
আবার কওমী-দেওবন্দী,হেক্বারতে ইসলাম সিলসিলাভুক্ত যারা রয়েছে তারা নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজের মত মানুষ মনে করে,মাটির তৈরি মনে করে, তিনি নুর মুবারকের তৈরি স্বীকার করেনা, হাযির নাযির মানেনা, ইলমে গইব জানেন মানেনা, হায়াতুন নবি মানেনা,মিলাদ শরীফ মানেনা, পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানেনা তাদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা ।
এই কওমী-দেওবন্দী,হেক্বারতে ইসলাম তারা তাদের বইয়ের নাম দিয়েছে ‘হিফযুল ঈমান’ অর্থাৎ ঈমান হিফাযতকারী কিন্তু এই বইতেই তারা নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইলমে গইব সম্পর্কে লিখেছে যে উনার ইলমে গইব হল” বাচপান,হাইওয়ান,মজনু অর্থাৎ শিশু ,পশু ও পাগলের মত (নাউযুবিল্লাহ) এবং এই লিখা তারা জেনেশুনে লিখেছে ও প্রকাশ করেছে। এই বই তারা আজো পড়িয়ে থাকে! নাউযুবিল্লাহ অনন্তকালের লানত এদের উপর । এখন একজন সন্তান এর পিতা যত অশিক্ষিত, মুর্খ আর অজ্ঞই হোক সে সন্তান কি কখনো বলবে যে আমার বাবার জ্ঞান পাগলের মত ? শিশুর মত? পশুর মত ? তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন,খতামুন নাবিয়্যিন নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম উনার শান -মান সম্পর্কে কি করে তারা এমন কথা বলতে পারে? এদের অন্তরে নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ আছে বলেই সব জেনেও তারাও লিখেছে ।একমাত্র কাট্রা কাফিরের পক্ষেই এমন কথা বলা সম্ভব ।
আবার কিছু বাতিল ফিরকার(গাট্রিওয়ালা তাবলীগ) লোকেরা বলে থাকে হযরত আদম আলাইহিস সালাম ভুল করেছেন(নাউযুবিল্লাহ),হযরত নুহ ও হযরত যাকারিয়া আলাইহিমাস সালাম উনারা দাওয়াতের কাজ না করায় গযবে পতিত হয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ),সমস্ত নবী রসুল আলাইহিমুস ভুল করেছেন একমাত্র নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ভুল করেননি (নাউযুবিল্লাহ)। এখন প্রশ্ন হল হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং ওহী প্রেরন করতেন। উনারা ওহী ব্যতিত কোন কাজ করেননি । তাহলে উনারা ভুল করেছেন এই কথা কাকে ভুল প্রমানিত করেন ?(নাউযুবিল্লাহ)। এই কথা চিন্তা করাও কুফরী । তাহলে যারা এই আক্বিদা পোষন করে তাদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে কি ? কস্মিনকালেও আদায় হবেনা।
অন্য আর এক বাতিল ফিরকার(মউদুদী জামায়াত) লোকেরা বলে থাকে যে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন সত্যের মাপকাঠি নন (নাউযুবিল্লাহ), উনারা সম্পদের জন্য হানাহানি করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)।অথচ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন” মহান আল্লাহ পাক উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট,উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার উপর সন্তুষ্ট” । নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন “ আমার প্রত্যেক ছাহাবী আকাশের তারকার ন্যায়,যে কেউ যে কোন বিষয়ে উনাদের অনুসরন করবে সে অবশ্যই হিদায়েতপ্রাপ্ত হবে” । যেখানে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক ও নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন উনাদের বিষয়ে সত্যায়িত করেছেন সেখানে যারা উনাদের সম্পর্কে বদ আক্বিদা পোষন করে তাদের ঈমান থাকবে কি ? এদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে কি ? কস্মিনকালেও আদায় হবেনা ।
২) যারা সম্মানিত ইসলাম উনার নাম ভাংগিয়ে অনৈসলামিক কাজ করে তাদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা ।
ক) মউদুদীবাদী জামায়াত ও হেক্বারতে ইসলামঃ
এরা মুখে ইসলামের কথা বলে কিন্তু কাফির প্রবর্তিত তন্ত্র-মন্ত্র করে ,হরতাল করে,অবরোধ করে, লংমার্চ করে তাদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা। কারন এসবের সাথে ইসলাম উনার কোন সম্পর্ক নাই । তন্ত্র-মন্ত্র জারী করেছিল কে ? কাট্রা কাফির আব্রাহাম লিংকন। যার মা ছিল ইহুদী এবং অবৈধ,বাপ ছিল খৃষ্টান । হরতাল জারী করেছিল মালউন পাপাত্বা গান্ধা গান্ধী । লং মার্চ চালু করেছিল কাট্রা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক মাও সে তুং। অবরোধ করেছিল কাট্রা কাফির আবু জাহিল ।অথচ এসকল বাতিল ফিরকার লোকেরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে অবলীলায় কাফির প্রবর্তিত এসকল হারাম কাজ করে যাচ্ছে । তারা জিহাদ ফি সাবিলিল্লার নাম দিয়ে হরতাল ,অবরোধ ,লং মার্চ দিয়ে জনগনের মাল সম্পদ নষ্ট করছে, ব্যবসা বানিজ্য নষ্ট করছে , গাড়ি পোড়াচ্ছে,ভাঙ্গচুর করছে, পেট্রল বোমা মেরে নিরীহ সাধারন জনগনের জান নিচ্ছে, রাস্তা ঘাট উপড়িয়ে দিচ্ছে ।মউদুদীবাদী জামায়াত ইসলাম কায়েমের কথা বলে ইসলাম ধ্বংসকারী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই মউদুদীবাদী জামায়াতের নেতারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলছে অথচ তাদের সাড়ে তিন হাত শরিরে ইসলামের কোন নিশানা নাই। তারা খৃষ্টানদের কোর্ট টাই পরছে, দাড়ি রাখেনা । তারা তন্ত্র-মন্ত্র করছে, হরহামেশা নারী নেত্রীর পায়ের নিচে বসে থাকছে, ছবি তুলছে,গান বাজনা করছে,খেলাধুলা করছে। নাস্তিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে এসে গাছ উপড়িয়ে ফেলেছে । অথচ জিহাদে অকারনে গাছের পাতা নষ্ট করাও নিষেধ । একজন সাধারন মুসলমান যেখানে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একটি অক্ষর ও যদি অবহেলায় পড়তে দেখে তাহলে পরম যত্নে তা সংরক্ষন করে অথচ এই হেক্বারতে ইসলাম টাকা খেয়ে নাস্তিকবিরোধি আন্দোলনের নাম দিয়ে ১৬০০০ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীস শরীফের বই পুড়িয়েছে !(নাউযুবিল্লাহ)। একজন মুসলমানের পক্ষে কি ইহা সম্ভব ? কাট্রা কাফিরের পক্ষেই সম্ভব ।
খ) কোয়ান্টাম মেথডঃ
বর্তমান সমাজে কোয়ান্টাম আর এক কুফরী মতবাদ। কেউ কোথাও দেখাতে পারবে কি কোয়ান্টাম নামে কোন শব্দ পবিত্র কুরআন –পবিত্র হাদীস শরীফে আছে ? অথচ এই হারামে পরিপুর্ন কোয়ান্টাম আজ ইসলাম উনার নাম ভাংগিয়ে ফায়দা হাসিল করছে। এই কোয়ান্টামের যে প্রধান তাকে তারা গুরুজি (গরুজি) বলে ডাকে । গুরুজি শব্দ হিন্দু ,বোদ্ধরা ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ তার নাম দিয়েই বুঝা যায় সে কিসের অনুসারী । এই গরুর সারা শরিরে সুন্নতের লেশমাত্র নাই । তারে দেখলে মনে হয়না মুসলমান। মেডিটেশনের নাম দিয়ে হরহামেশা বেপর্দা হয়, নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে (নাউযুবিল্লাহ)। তারা নাকি মেডিটেশনের নামে শান্তি খুজে (নাউযুবিল্লাহ)? অথচ আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন” সাবধান! নিশ্চয় যিকিরের মাধ্যমে অন্তর প্রশান্তি লাভ করে” । তাহলে এরা যিকির না করে কিসের শান্তি তালাশ করে ? এরা ইবলিশি শান্তি তালাশ করে। এই কোয়ান্টাম হক্ক্বুল ইবাদের নাম দিয়ে লক্ষ লক্ষ মাটির ব্যাংক সারা দেশে ছড়িয়ে রেখেছে । তারা ইয়াতীমদের সাহায্যের নাম দিয়ে কোটি কোটি টাকা যাকাত আদায় করছে । অথচ যাকাতের ৮ টি খাতের মধ্যে কোন খাতেই আওতায় এরা আসেনা। কোয়ান্টাম ফ্রি রক্ত সংগ্রহ করে অধিক দামে বিক্রি করছে। প্রশ্ন আসতে পারে এ টাকা তারা করে কি ? তারা মুসলমানের টাকা উঠিয়ে এ টাকা পাহাড়ে সন্ত্রাসী বোদ্ধদের পিছনে খরছ করছে ,ইসলাম ধ্বংসের কাজে খরছ করছে, বাকি টাকা আত্বসাত করে মউজ-মাস্তি করছে। এই কাট্রা কাফির এজেন্টকে যারা মাটির ব্যাংক নিজের কাছে রাখবে কিম্বা যাকাত দিবে তাদের যাকাত আদায় তো হবেইনা ,উলটা নানা আযাব গযবে নিপতিত হবে ।
গ) জাকির নালায়েকঃ
বর্তমানে সবছেয়ে বড় ফিতনা জোকার নালায়েক । গন্ডমুর্খ মানবেরা আজ তাকে অনেক বড় কিছু মনে করে । ইহুদিদের শিখানো বুলি দিয়ে সে তোতা পাখির মত মুখস্ত বিদ্যা জাহির করে মুসলমানদের ধোকা দিচ্ছে । এই জোকার নালায়েক নাকি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আয়াতের রেফারেন্স সহ তথ্য উপস্থাপন করে ।সে প্রতি অনুষ্ঠানে মহিলাদের সাথে বেপর্দা হয়ে লেকচার দেয়। অথচ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র সুরা নুর শরীফ,পবিত্র সুরা নিসা শরীফ,পবিত্র সুরা মুনতাহিনা শরীফ, পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ উনাতে পর্দা ফরজে আইন করে দিয়েছেন । তাহলে সে কি করে বেপর্দা হইয়ে ইসলাম উনার কথা বলে ? সে কি পবিত্র কুরআন শরীফ উনাতে পর্দার আয়াত শরীফসমুহ জানেনা ? ভালোভাবেই জানে এবং জেনেশুনেই সে এ কাজ করছে। যাতে মুসলমান এ মনে করে যে বেপর্দা হয়ে ইসলাম প্রচার করা যাবে। ফলে মুসলমান ঈমানহারা হয়ে ইন্তেকাল করে জাহান্নামি হয়। আবার সে ছবি তোলে যা সুস্পষ্ট হারাম । ছিহাহ ছিত্তাহ সহ সকল হাদিস শরীফে ছবি হারাম এর হাদিস শরিফ রয়েছে। হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে “ প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা-তোলানেওয়ালা জাহান্নামী “। একজন সাধারন মুসলমান শরিয়ত সম্পর্কে না জেনে কোন শরিয়ত খিলাপ কাজ করতে পারে যা তার জন্যও ক্ষতির কারন । কিন্তু একজন ব্যক্তি যে নিজেকে হাদি মনে করে,ইসলাম প্রচারক মনে করে, ইসলাম নিয়ে অনেক কিছু জানে মনে করে সে কি করে জেনেশুনে হারাম কাজ করতে পারে ? সে ছিহাহ ছিত্তাহ ছাড়া হাদিস শরীফ উনার রেফারেন্স দেয়না কিন্তু ছবি নিয়ে হাদীস শরিফ সে কি জানেনা ? সে কি জানেনা টিভিতে ছবি তুলে ,বেপর্দা হয়ে ইসলাম প্রচার হারাম ? সে বুঝেশুনেই হারাম কাজগুলো করছে । সে নাকি অমুসলিমদের মুসলমান করছে ! সত্যিই কি তাই? সে আসলে তার মত গোমরাহ, পথভ্রষ্ট, বাতিল নালায়েক তৈরি করছে। সে কোর্ট টাই পরে থাকে যা খৃষ্টানদের শেয়ার । অথচ মুসলমান উনাদের জন্য মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত সুন্নতি পোষাক বিদ্যমান যা নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিধান করেছেন। কিন্তু সে কেন তা পরেনা ? এই জোকার নালায়েক এর নাকি অনেক জ্ঞান ! কিন্তু জোকার নালায়েক এর কি শয়তান হতেও বেশি জ্ঞান আছে ? ইবলিশের তো অনেক আমল ছিল কিন্তু ইবলিশ তার জ্ঞান দিয়ে কি করতে পেরেছে ? একটিমাত্র আদেশ খিলাপ কাজ করার কারনে মালউন হয়ে গেছে। তাহলে জোকার নালায়েক যে আল্লাহ পাক ও নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অসংখ্য আদেশ-নিষেধ মুবারক খিলাপ কাজ করছে তার কি হবে ? বর্তমানে এই জোকার নালায়েক সাধারন মুসলমানদের ধোকা দিয়ে তার হারামেপুর্ন পিস টিভিতে যাকাত দেওয়ার কথা প্রচার করছে।অথচ যাকাতের ৮ খাতের কোন খাতের মধ্যেই যাকাতের আওতায় আসেনা।যারা জোকার নালায়েককে যাকাত দিবে তাদের যাকাত তো আদায় হবেইনা উল্টা আযাব গযবে নিপতিত হবে।
ঘ) আনজুমানে মুফিদুল ইসলামঃ আনজুমানে মুফিদুল ইসলাম এর উত্থান বেওয়ারিশ লাশ বহন করে । যা বর্তমানে ব্যবসায় পরিনত হয়েছে । এরা সরকারী সাহায্য পায়, ডোনেশন আসে । এদের যত গাড়ি তাও এদের ক্রয়কৃত নয় । যাকাতের ৮ খাতের ১ খাতের আওতায়ও এরা আসেনা। অথচ প্রতিবছর এরা কোটি কোটি টাকা যাকাত তোলে। এ টাকা তারা লোক দেখানো নাম করে কিছু খরছ করে বাকি টাকা লোপাট করে । এদেরকেও যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা ।
ঙ) যেসকল ইয়াতিমখানা বা প্রতিষ্ঠান শরিয়তবিরোধী কাজে জড়িত যেমন তন্ত্রমন্ত্র করে,বেপর্দা হয়,ছবি তোলে,খেলাধুলা করে,টিভি দেখে,টিভিতে প্রোগ্রাম করে, হরতাল,লংমার্চ, অবরোধ করে এদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা।
৩) ফাসিক ব্যক্তিকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা ।
ফাসিক কাকে বলে ? যে ফরয ওয়াযিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক করে সে ফাসিক । গরীব কিন্তু ফাসিক অর্থাৎ দরিদ্র কিন্তু নামাজ ,রোজা আদায় করেনা,বেপর্দা হয়,খেলাধুলা,গানবাজনা করে, ছবি তোলে, টিভি দেখে ,বিড়ি সিগারেট খায়,গালিগালাজ করে, পাপ কাজ করে অর্থাৎ হারাম কাজে জড়িত এমন লোক যদি নিজের ভাই ও হয় তাকে যাকাত দেওয়া যাবেনা, তবে দান করা যাবে । গরীব আত্বীয়স্বজন,পাড়াপ্রতিবেশি,কাজের লোকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোয্য । অথচ আজকাল দেখা যায় মানুষ নিজের গরীব আত্বিয়স্বজন ,পাড়া প্রতিবেশি আছে তাদের ও তো যাকাতের হক আছে এই কথা বলে সঠিক জায়াগায় যাকাত দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ফাসিক লোককে দান করলে তার নিজের টাকা খরছ হবে বিধায় যাকাতের টাকা দিয়ে বাহবা কুড়াতে চায় । (নাউযুবিল্লাহ)
অথচ মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন “ তোমরা নেক ও পরহেজগারীতে পরষ্পরকে সাহায্য কর,পাপ ও বদিতে পরষ্পরকে সাহায্য করনা” ।পবিত্র হাদিস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত” নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোন ফাসিকের প্রশংসা করা হয় তখন আল্লাহ পাক ক্রুদ্ধ হন এবং সে কারণে আল্লাহ পাক উনার আরশ কাঁপতে থাকে।“তাহলে ফাসিককে সাহায্য করলে কি হবে ?
৪) রিয়া করে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা ।
আজকাল দেখা যায় দোকানে দোকানে “এখানে যাকাতের সস্তা কাপড় পাওয়া যায়” এই সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখে। যা যাকাতকে ইহানত বা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয় । আবার সমাজের কথিত ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ,রাজনীতিবিদরা এলাকায় নাম কুড়ানোর আশায় সস্তায় এসকল কাপড় কিনে থাকে যা যাকাত উনার শান-মানকে হেয় করা হয় (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ মহান আল্লাহ পাক উৎকৃষ্ট বস্তু দান করার কথা বলেছেন ।
আবার কিছু গর্দভ আছে যারা যাকাত মেলার নাম দিয়ে বেহায়াপনার আয়োজন করে যা স্পষ্টত নিষেধ ।
যারা যাকাতকে ইহানত করবে,অবজ্ঞা করবে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে তাদের যাকাত আদায় তো হবেইনা উলটা কুফরীতে নিমজ্জিত হবে।

No comments:

Post a Comment