মানব দেহ কি ? নকশা মডেল ও সিমুলেটন ঃ -
উপরের মডেল ও সিমুলেটন বিসয়ক আলোচনা থেকে বুজতে অসুভিধা হয় না যে মডেল হল একটা বস্তু কে তৈরি করা হয়েছে বা বিবেচনা করা হয়েছে যাহা নাকি অন্য একটা ব্রিহত বা সুক্ষ্য বসতুর আনুক্রিতি বা কপি। এই মডেল দ্বারাই ঐ সুক্ষ্য বা ব্রিহত বস্তুকে জানা হয় বা মূল্যায়ন কার হয়। আবার আমরা ইহাও দেখি যে এই ভ্রমান্ডে বা সমাজে অনেক চক্র বা সিস্টেম কাজ করে যেমন মানব দেহে শ্বাস চক্র, রক্ত চলাচল চক্র, পরিপাক চক্র, আবার সমাজে যদি দেখি তাহলে দেখা যায়, রোড ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম, ইলেকট্রিক সিস্টেম ইত্যাদি। এখন এই সিস্টেম বা চক্র কে সাধারন ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে যখন কতগুলি বস্তু বা অবজেক্ট মিলিত ভাবে কোন এক বা একাধিক কারজ্য স্মপাদন করে তখন সেটা কে সিস্টেম বা চক্র বলে। এখন এই সিস্টেম বা চক্র কে মূল্যায়ন করতে বা বুজতে বা জানতে, উন্নত বিশবে , নকশা ও মডেলের সাহাজ্য সিমুলেটর তৈরি করে উহাতে ইনপুট দিয়ে উহার আউটপুট সহ সিস্টেমের আচরন দেখা হয়। এ ভাবে কোন সিস্টেম বা চক্র কে জানা বুজা ও উন্নয়ন করা হয়। তাহলে দেখাগেল কোন সুক্ষ্য বস্তুকে বা ব্রিহত বস্তুকে বা সিস্টেম বা চক্র কে বুজতে জানতে বা উন্ন্যন করতে এমন কি মানুষকে ঐ বিসয়ে শিক্ষ্য দিতে “নকশা” “মডেল” ও “সিমুলেশন” ব্যাবহার অপরিহারজ্য। ঠিক আল্লাহ ও তাই আল্লাহর জাত কে, ভ্রমান্ড কে এবং আরও অতি সুক্ষ্য বিসয় কে শিখানর জন্য, জানারন জন্য মানব দেহ কে “নকশা” হিসবে ব্যাবহার করেছেন, এমকি মানব দেহ কে “মডেল” হিসবে ব্যাবহার করেছেন, এমন কি একি মানব দেহ দিয়ে “সিমুলেশন” ও করিয়েছেন। এই জন্য আমরা ইহা কে “দেহ তত্ত্ব” বলি। দেহের তত্ত্ব গিয়ানের মাধ্যমে সৃষ্টি রহস্য, ভ্রমান্ড ও স্রষ্টা কে চিনা। এখন প্রস্ন হতে পারে আল্লাহ কেন মানব দেহ কে বেছে নিয়েছেন “মডেল” হিসাবে। ইহাত খুব গভীর বিসয়, টার পর ও খুব সাধারন ভাবে বলতেগেলে বলতে হয়
১। মানব্দেহ বা মানব স্রেসট সৃষ্টি, তাই মডেল হিসাবে স্রেসট সৃষ্টি মানব দেহ কে নিরবাচন করাটাই সাভাবিক।
২। মানুষ কে আল্লাহ টার নিজের অবয়বে সৃষ্টি করেছেন, তাতে এই দারাইল যে মানুসের মধ্যে আল্লাহ তার নিজের অনেক সিফাত দিয়ে দিয়েছেন, কাজেই আল্লাহর সিফাত সহ এই মানব দেহটাই মডেল হিসাবে গৃহীত হওয়া সাভাবিক।
৩। সহজল্ভ্যতা, যার যার দেহ তার তার নিকট অতি প্রিয় এবং অতি নিকটে, অপরদিলে মানুষ কে তার নিজের ভালাই এর জন্য নিজ দেহের গিয়ান অরজন এমনিতেই করতে হচ্ছে, পঞ্চইন্দ্রিএর গিয়ান অরজন করতে হচ্ছে কারন তার দ্বারা সে সৃষ্টি ও সরিসটার গিয়ান অরজন করবে, আর তারপর তাসাউফি গিয়ানের জন্য যদি এই মানব দেহ কেই মডেল হিসাবে বেছে নেওয়া হয়, তাহলেত সকল বিসয় কেন্দ্রিভুত হওয়ায়, ব্যাপারটা সহজল্ভ্য হয়ে যায়। যাক এ ভাবে অনেক পয়েন্ট ই খুজে পাওয়া যাবে, কিন্তু অনেকের যদি ইহা মনপুত না হয়, তাহলে এ ভাবে ভাবুন যেমন আমরা যখন কাহাকেও কোন শিখ্যা দিতে যাই, তখন নিজেই একটা মডেল তৈরি করে তাদ দবারা শিখ্যারথিদের কে শিক্ষ্যা দিয়ে থাকি, ঠিক আল্লাহ মহা শক্তিমান, মানুষ কে তার রাজ শিক্ষ্যা দিতে যেয়ে যদি মানব দেহ কে মডেল হিসাবে গ্রহন করেন, তবে তাতে কার কি বলার আছে।
দেহ তত্ত্ব আলোচনা ঃ -
এখন তাহলে প্রস্ন হতে পারে “দেহ তত্ত্ব” কি কোরান সমর্থন করে, উত্তর হবে টা অবশ্যই করে, এমন কি কোরানের অতি সুক্ষ্য বিসয় যেমন সৃষ্টি তত্ত্ব, স্রষ্টা সহ আরও অনেক সুক্ষ্য বিসয় স্মবলিত আয়াত “দেহ তত্ত্ব” এর বিশ্লেষণ ছাড়া আনুধাবন করা সম্ভব নয়। কোরানে অনেক আয়াত আছে যাহা “দেহ তত্ত্ব” এর মাদ্যমেই বর্ণনা করা হয়েছে। এমন কি অনেক আদি মনিষীরা “নিজেকে জান” তবে সৃষ্টি ও স্রস্টার সকল রাজ উম্মচিত হবে বলে উক্তি করেছেন, এমন কি সক্রেটিস ও বলেছেন “নও দাই সেলফ”। আর বনী/রাসুল ও অয়ালিয়াল্লাহ রা ট বলেন ই। এমন কি সকল তরিকতে ই “দেহ তত্ত্ব” শিখ্যার ব্যাপার রয়েছে। আবার হাদিস ও আছে মহানবি বলেছেন, মান আরাফা নাফসাহু ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু তথা, যে কেহ নিজের নফ্স্কে চিনতে পেরেছে, আর কোনো সন্দেহ নাই সে তার রবকে চিনতে পেরেছে।
আসেন দেখি ওঅয়ালিআল্লাহ রা কি বলেন “দেহ তত্ত্ব” বিসয়ে।
শাহ আব্দ্যল কাদের অয়াইসি সাহেব তিনার মস্তানিবচন কিতাবে লিখেছেন এ ভাব ঃ
এস্কের মাঝাব মেরা এস্কবাজি কাম । এস্কের নেশাতে আছি মজিয়া মদাম ।। মস্তান মাতাল বলে কর না খেয়াল । হেদায়েত মান, হবে আরেফ কামাল ।। কামেল আরেফ গন দেহ বিচারিয়া । করেন বন্দেগী খাছ দেহ কে চিনিয়া ।। নামাজ ও রোজা হজ জাকাত তামাম । দেহ চিনে করে সব আউলিয়া কেরাম ।। দেহ ছাড়া প্রেম কাজ না সয় সাধন । সেই জন্য দেহ তত্ত্ব উচিৎ জানন ।। প্রেমের বন্দেগী চলে দেহের সহিত । প্রেমের রূপেতে আল্লা আলমে মোহিত ।। মহিমার অন্ত কিছু নাহি বিধাতার । নিরাকার ছিল, আছে রবে নিরাকার ।। ---- ---------------------------- । -------------------------------- ।।
হজরত শাহ আব্দ্যর রাহিম অয়াইসি (রঃ) লিখেছেন ঃ -
সালাম সালাম অহে আদম অজুদ..। তুমিত নায়েবে খোদা তমাতে মাবুদ..।। যত কিছু নাজ লিলা সক্লি তোমার..। তামাম অসার দেহ তুমি বটে সার..।। করিয়া তোমাকে পয়দা জাহানে খোদায়..। বেহেতের ছুরাত তেরা কোরানে ফরমায়..।। সহিত আয়েত হেথা দিলাম লিখিয়া.। খেয়াল করিয়া তন দেখ বিচারিয়া..।। -------------------------------.।
আরেক স্থানে শা সাহেব লিখেছে এ ভাবে ঃ শুন হে অজুদ তুঝে ফের কহি বাত..। দিয়াছে তোমাকে আল্লাহ বেবাহা দউলাত..।। কি খুব ছুরাত নকশা গঠন তোমার..। খোশাল তোমাকে দেখে তামাম সংসার..।। আরেফ আল্লাহর যত বেবাহা খোশাল.। ---------------------------------.।
তবে আমি এখানে “দেহ তত্ত্ব” নিয়ে তার প্রত্যেকটা মুকাম বা বিসয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব না। এখন আপনি প্রস্ন করতে পারেন। মারেফাতে যে “দেহ তত্ত্ব” আছে তাত সকলেই জানে, তবে আপনি কেন এই “দেহ তত্ত্ব” এর কথা তুললেন। তার উত্তর আমি নিম্নে পয়েন্টে পয়েন্টে আলোচনা করছি।
১। প্রথমেই বলতে হয় “দেহ তত্ত্ব” টা আসলে কি ? এ ব্যাপার সকলের স্পষ্ট ধারনা নাই। আবার ইহা কে অনেকে ঘ্রিনা ও করে। আবার অনেকে ভাবে এই দেহটাই রিয়াল বা “পরম সত্য” কারন “দেহ তত্ত্ব” অনুজাই সকল কিছুইত এখানে বা দেহে, তাই এটাই “পরমসত্য” এটাই “আল্লাহ”। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা টা নয়, আসলে দেহ টা আল্লাহর সৃষ্টি এবং এই দেহ কে “নকশা/মডেল/সিমুলেটর” হিসাবে ব্যাবহার করে আল্লাহ আমাদের কে সৃষ্টি ও স্রস্টার রহস্য কে শিক্ষ্যা দিয়েছেন, আল্লাহ কে চিনাইয়াছেন। এবং এই দেহ মডেলের সাহাজ্যে ই আশেক মাশুকের ইশক বাজি চলে। এখানে আর কেটা বিসয় আছে টা হল নিজের দেহ ছাড়া অন্যের দেহ কে “দেহ তত্ত্ব” এর আওতায় আনা যায় না, মানে নিজের “দেহ তত্ত্ব” সাধনাই মারেফা, কিন্তু অনেকে ইহা বুজেন না, তাই মুরশেদের দেহ কে “পরমসত্য” ভেবে পথ হারা হন, আবার অনেকে নিজের দেহ কে ই “পরমসত্য” ভেবে ও পথ হারা হন। -- এখানে ব্যাপার টা বুজতে হবে যে “দেহ তত্ত্ব” ছাড়া স্রষ্টা কে জানা বা পাওয়া একেবারে সম্ভব নয়, তা ঠিক! এবং এই “দেহ তত্ত্ব” শিক্ষ্যা টা মুরশেদ ছাড়া পাওয়া ও সম্ভব নয়। কিন্তু এটা ও স্পষ্ট বুজতে হবে যে দেহ, দেহ তত্ত্ব ও গুরু কেহ ই হক তালা নয়, ইহা কেবল “নকশা” / “মডেল” / “সিমুলেটর” মাত্র, ইহার সাহাজ্যে “স্রষ্টা” কে পাইতে হয়।
২। অনেকে ভাবেন বা বলে “দেহ তত্ত্ব” কোরানে/হাদিসে নাই তবে মানব কেন। আসলে “দেহ তত্ত্ব” কি বুজেন না বলেই এমন কথা বলে থাকেন। তাহলে আসেন বুজতে চেষ্টা করি, প্রথমে আসা যাক কোরান টা কি? খুব সাধারন ভাবে বললে বলতে হয় কোরান আল্লাহ থেকে আসা গিয়ান ও ব্যাখ্যা। অপর দিলে আল্লাহ আদম কে সৃষ্টি করেছেন তার নিজের হাতে এবং আল্লাহর ফিতত্রাতে। এবং এই কোরান টা মানব দেহেই আসে বা থাকে। অপরদিলে দেখুন একাটা “নকশ” এরম মধ্যে অনেক তথ্য থাকে যেমন “লিযেন্ড” তার পর আরও অনেক তথ্য ও চিহ্ন থাকে যায়গায় জায়গায়। ঐ তথ্য ছাড়া ঙ্কশার কোন মুল্য নাই আবার ঐ “নকশা” ছাড়া তথ্য বেকার। দুইতার সমন্বয় ঘটলে তখন সেই নকশা বা মডেল দ্বারা অনেক কিছু বুজা যায় ও উপকার সাধিত হয়। ঠিক তেমন ই মানব দেহ মডেল ধবারা কোরানের তথ্য সমেত “দেহ তত্ত্ব” অর্থাৎ মডিউলার এক্সপ্রেশনের সাহাজ্য ভ্রমান্ড বা কস্মস এর সৃষ্টি ও স্রস্টার রহস্য শিক্ষ্যাদান করা হয়েছে। কাজেই কোরান ছাড়া “দেহ তত্ত্ব” কিছুই না। এই জন্যই “দেহ তত্ত্ব” অবশ্যই কোরান মুয়াকেফ হতে হবে। তারপর আল্লাহ/রাসুল ও আহ্লেবায়েত এর ধারায় যদি “দেহ তত্ত্ব” না থাকে তবে উহা ইস্লামের “দেহ তত্ত্ব” বা নকশা হল না, অন্য ধর্মের “দেহ তত্ত্ব” বা নকশা হয়ে গেল। এই ধরনের “নকশা” দিয়ে কতটা সফল হওয়া যাবে টা একটু খিয়াল রাখা দরকার।
৩। অনেক মানুষ ই “দেহ তত্ত্ব” বিসয় কে ঘ্রিনা করে। কেন ঘ্রিনাকরে এবং কেন করা উচিয়াত নয়, টা নিয়ে আমি একটু আলোচনা করব। আম্রাত জানি মানুষ নিজের উন্নতি কল্পে, নিজের সমস্যা সমাধানে, মানুষ নিজ দেহ নিয়ে অনেক পরিক্ষ্যা অ গবেষণা করেছে, যার ফলে সবাস্থ বিগ্যান, এনাটমি, সিকলজি, চক্ষ্যু বিগ্যান ইত্যাদি জাতিও অনেক বিগ্যানের শাখা সৃষ্টি হয়েছে। সবাস্থ বিগ্যানে মানুষ তার দেহের অনেক চক্র (সিস্টেম) এর নকশা তৈরি করেছে, যেমন পরিপাক চক্র, শ্বাস চক্র, রক্ত চলাচল চক্র, স্নায়ু চক্র ইত্যাদি এবং এই সকল চক্রের “নকশা” ও তইরি করেছে, এমন কি “মডেল” ও তৈরি করেছে। একটা ব্যাপার ল্কখ্য করতে হবে যে এই নক্সা গুলি কিন্তু ধর্মের “দেহ তত্ত্ব” এর নকশা নয়, কারন দুইটার উৎদেস্য ভিন্ন, সবাস্ত্য চক্রের নকশার উদ্যস্য হচ্ছে মানব দেহের উন্নটি ও রোগ মুক্তি, অপর দিকে “দেহ তত্ত্ব” এর নকশার উদ্যস্য হচ্ছে স্রষ্টা কে জানা। কিন্তু কোন কারনে যখন দেখা যায় এই দেহ স্বাস্থ্য এর নকশা গুলি, মারেফার “দেহ তত্ত্ব” এর নকশার মধ্যে ডুকে যায় বা মিশে যায়, তখন ই বিভিন্ন রকম বিপত্তি দেখা দেয়। আসল উদ্যস্য সাধন হয় না, কোরানের সাথে মিলে না, মানুষ ঘ্রিনা ও পাইতে থাকে। এই জন্য সবাস্থ বিগ্যানের নকশা থেকে “দেহ তত্ত্ব” প্রিথক রেখেই শিক্ষ্যা গ্রহন করা উচিৎ। ঠিক একি ভাবে আদি জুগে ও মানুষ মানুসের দেহ নিয়ে চিন্তা করেছে, উন্নতি কল্পে নকশা তৈরি করেছে, আদি কালে ধর্ম ও বিজ্ঞ্যান প্রিথক ছিল না, দেখা যায় সকল গিয়ানের গুরু এক ব্যাক্তি, যেমন বইদিক ও ত্নাত্রিক ধর্মের ধরন টা এমন ছিল যে তাদের মনিষীরা যোগ বিয়ামের মাধ্যমে দেহের সকল স্থানের শক্তি কে কেন্দ্রিভুত করে একটা মহা শক্তি কে পুপান্তরিত করে অসাদ্ধ্য সাধন করা, এবং তারা অসাদ্ধ্য সবাধন করে ও দেখিয়েছেন। সেই আদি কালের ধর্মের ও “দেহ তত্ত্ব” তাদের মত করে ছিল, যেমন ৬ চক্র/সাধন, রতি চক্র/সাধন, পঞ্চ রস চক্র/সাধন, ইত্যাদি ইত্যাদি
ক। ৬ চক্র/সাধন ঃ ইহা বলতে পারেন অনেকটা মানুসের “নারভাস সিস্টেম” কে কেন্দ্র করে তৈরি করা নকশা, ইহার সাধন তারা করতেন যোগ বিয়াম ও ধ্যানের মাধ্যমে। খ। রতি চক্র/সাধন ঃ ইহা অনেকটা সেক্স অরগেন ও সেক্স ক্রিয়ার দ্বারা যোগী যগিনিরা করে থাকতেন, এই সাধনায় তারা মনিকে উরধে গমন করাতেন, ধরে রাখতেন, এমন কি যগিনির মনি পান করে ওঁ থাকতেন ইত্যাদি। গ। পঞ্চ রস চক্র/সাধন ঃ ইহা অনেক টা বলতে পারেন দেহের ফ্লুইড বা রস বা তরল পদার্থ আছে তার একটা চক্র, এই সকল রস নিয় আতদের গবেশন ইত্যাদি সাধন হিসবে এই সকল রস যোগিরা পান করে থাকেন, অনেক সময় একাধিক দেহ রস সংমিশ্রন করে ও তারা পান করে থাকেন। যেমন তারা মুত্র পান করে থাকেন, স্রির যোনি নিস্রির রস ও পান করে থাকেন। ঘ। খ্রিষ্ট ধর্মের এক বিভাগ আছে, সেই বিভাগের লোকরা, তারা তাদের দেহ কে বা নফস কে বা নিজেকে শাস্তি দিতেন চাবুক দিয়ে বা দড়ি দিয়ে আঘাত করে করে , তাকরতেন তাদের আত্মার উন্নতির জন্য। উপরের যো কয়টা উধারন দিলাম এই গুলি সবই মানব দেহ ভিত্তিক আত্মার উন্নরি বা দেহের উন্নতি কল্পে আদি ধর্মে সৃষ্ট “দহ তত্ত্ব”। পরিতাপের বিসয় হচ্ছে এই সকল “আদি দেহ তত্ত্ব” গুলি যে কোন কারনেই হক জেনে না জেন, কিছু কিছু ইসলামের তরিকত গুলিতে ডুকে পড়েছে। এইগুলি ইসলাম সমরথন করে না। নবী(স) ও আহ্লে বায়েত গন কখন ও এমনটা করেন নাই। এই সকল কাজ ইসলাম কেন সমর্থন করে না টা সঙ্কখ্যেপে বলি। ক। ৬ চক্র/সাধন দ্বারা যে ভাবে যে উদ্যাস্যে ধ্যান করা হয়, ইসলাম ধর্মের মুরাকাবা বা ধ্যান এক নয় উদ্যাস্য ও এক নয়। ৬ চক্র/সাধন দ্বারা দেহের সকল শক্তি কে কেন্দ্রুভুত করে মাহা শক্তিতে পরিনত করে অসাধ্য সাধন করা হয় মানে মুজেজা দেখানর জন্য। অপর দিলে ইসলাম ধর্মের মুরাকাবাতে কেবল আল্লাহ কে দেখার প্রচেষ্টা ই করা হয়, ইহা গিয়ায়ন ভিত্তিক ধ্যান, শক্তি ভিত্তিক নয় বরঞ্চ গিয়ান ভিত্তিকই। ইহাতে মুজেজার কোন উদ্যস্য নাই।
খ। রতি চক্র/সাধন ত কোন ভাবেই ইসলাম গ্রহন করে না কারন, ইহা সাধারন সবাস্থের পরিপন্থি। আমরা জানি দেহের সকল কোশ বা সেল এমন কি রক্ত, চুল অন্যান্য রস, ইত্যাদি অহরহ তৈরি হচ্ছে এবং ধবংশ হচ্ছে বা মরে যাচ্ছে, রক্ত কনিকা ৩ মাস পর্যন্ত থাকে তারপর মরে যায় আবার নুতন রক্ত তৈরি হয়, এমন ই ভাবে চুল পড়ে আবার উঠে। ঠিক তেমন ভাবে মানব দেহে “মনি” সৃষ্টি হয় এক স্থানে থাকে তারপ সপ্নের মাধ্যমে বা অন্য কোন পন্থায় তার বেড়িয়ে পড়ে, আবার নুতন মনি তৈরি হয়। এই ধড়নের পাক্রিতিক প্রণালিকে, বেহত করে মনি ধরে রাখা বা উরধে গমন করা অবশ্যাই সবাস্তের বা দেহের জন্য ভাল নয়। এই ধরনের কাজ ইসলাম কখন ও স্মরথন করে না। আর এই ধরনের কাজে আল্লাহ কে চিনা বা জানার কোন আলামত নাই।
গ। পঞ্চ রস চক্র/সাধন এর মাধ্যেমে দেহের যে কোন রস পান করাত ইস্লামে অবশ্যাই হারাম, রক্ত পান করা হারাম, মানুসের মাংস বক্ষ্যন করা হারাম আর দেহের অন্য রসত অবশ্যাই। মুত্রত সরিরে লাগান টাই নাপাকি, পান করাত দুরের কথা, ইস্লামে ইহা কখন ই জায়েজ নয়। ইসলামের ফিলসফি অনুজাই স্ত্রি সহবাস করলে যত তারাতারি সম্ভব পাক হয়েজেতে হয়, নাপাক অবস্থায় ইবাদত ই কবুল হয় না, পবিত্রগন ছাড়া উম্মুল কোরান কেহ স্পরশ করতে পারে না, এমতা অবস্থায় স্ত্রির জনিরস পান করাত জঘন্য কাজ, জঘন্য নাপাকি, ইহাত ইস্লামে স্মরথনের প্রস্ন ই আসে না। এই ধরনের আচরন পশুদের আচরন এবং মানব সবাস্থের পরপন্থি ওঁ।
ঘ। ইস্লামে নফস কে চিনার কথা আছে, নফস কে মুত্তাকি হওয়ার কথা আছে, নফস কে ভাল কাজের দিকে ধাবিত করার কথা আছে, নিফস কে ভাল মানুসের দলে যাওয়ার কথা আছে। কিন্তু নফস কে বা নিজের কু পব্রিত্তি কে দমন করার জন্য চাবুক বা দড়ি দিয়ে আঘাত করে ক্ষয়ত বিখ্যত করতে হবে এমন বিধ্যান নাই, নবী(স) ওঁ করে দেখান নাই, আহ্লেবায়েত রা ওঁ করে দেওখান নাই। এই ধরনের আরও অনেক চক্র ও সাধনা আছে ঐ সকল আদি ধরবে। আমার মট কথা হচ্ছে , ইসলামের তাসাউফের বা মারেফার বা তরিকতে “ দেহ তত্ত্ব” এক টা গুরুত্ত পূর্ণ “নকশা” বা “মডেল” জাহার সাহাজ্যে “স্রষ্টা ওঁ সৃষ্টির” রহস্য জানা যায় এবং ইহা আল্লাহকে জানা ওঁ পাওয়ার এক মাত্র হাতিয়ার, কেবল এত টুকু লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ইহার মধ্যে আদি ধর্মের দেহ তত্ত্ব জেন ডুকে না যায় তাহলে আসল উদ্যস্যে পউছা যাবে না। খুব বিচক্ষ্যনার সাথে বিবেচনা করতে হবে এবং শক্ষ্যা গ্রহন করতে হবে। তবে মারেফাতে দেহ তত্ত্ব একটা গুরুত্তপুরন বিসয়।
No comments:
Post a Comment