Friday, December 4, 2015

কুরআন এবং আমাদের কর্মজীবনঃ

**কুরআন এবং আমাদের কর্মজীবনঃ
ইসলামের আবির্ভাব,ভূতপূর্ব বঙ্গদেশে তথা বর্তমান বাংলাদেশে কখন কীভাবে হয়েছিল,তৎসম্পর্কে ইতিহাসবেত্তাদের মধ্রে কিচুটা মতভেদ থাকলেও একথা প্রমাণিত সত্য যে,ইখতিয়ারউদ্দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজী এসে দ্বাদশ শতাব্দীতে বঙ্গীয় মুসলমাানদেরকে ব্রাহ্মণণ্যবাদী নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার প্রায় ৪শত বছর পূর্বেই এদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল। আর্যদের আগমনের পূর্ব থেকেই ইসলামের আবির্ভঅব আমাদের কৃষ্টি ও সভ্যতাকে সুবিন্যসত্ম ও পরিপাটি করে গড়ে তুলেছে। তাই আজকে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি বাংলাদেশে আত্মিক চৈতন্য,কৃষ্টি,সামাজিক মূর‌্যবোধ,রীতি প্রথা,আচার ব্যবহার,বস’নিষ্ঠতা ও সৃজনশীলতার বিকাশের ক্ষেত্রে কোরআন ও হাদীস শরীফ ভিত্তিক ধর্ময়ি বিশ্বাস তথা ইসলামী কৃষ্টির অনুপ্রেরনা মূখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বস’তঃ প্রাকৃতিক এই জগৎসংসারে সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলতে গিয়ে,অসীম অননত্ম এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহকে বরণ করে তার সাথে আত্মার নিবিড় সংযোগ স’াপন করতে হলে,আল্লাহ তায়ালা তার প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ মুসত্মফা (দঃ) এর মাধ্যমে মানুষের জন্য হেদাযেত ও সুপস্পষ্ট পথ নিদেৃশ আর ন্যায় অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী হিসেবে যে পবিত্র কোরআন মজিদ প্রেরণ করেছেন,তা গভীর যত্নের সঙ্গে াধ্যয়ন,অনুধাবন ও হৃদয়ঙ্গম করে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। তবে সেই মহতি অর্জনের লক্ষ্যে ব্যক্তিগত অধ্যয়নের চেয়েও বেশি ফলপ্রসু পদক্ষেপ নিশ্চয় সমষ্টিগত দরসুল কোরআন এর মত প্রশংসনীর উদ্রেঅগ। হুজুর নবী করিম (দঃ) যে কোরআন মজিদের হেদায়েতের আলো দ্বারা মিথ্যঅর উপর সত্যের,বাতিলের উপর হকের অক্যালণের উপর কল্যানের বৈষম্যের উপর সাম্যের,বর্বরতার উপর সভ্যথার,পাশবিকতার উপর মানবিকতার,অমার্যার উপর মর্যাদার,স্বেচ্ছাচারী নিগড়ের উপর আইনের শাসনের বিজয় প্রতিষ্ঠা করে মানবজাতিকে দুর্গতি,বিপর্যয় ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন,আমরাও সেই আলোক ধারাতে আমাদের জাতীয জীবনে একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারি। বস’তঃ কোরআন মজিদ এমন এক আলোকবর্তিকা,এক আসমানী নূর হিসেবে আলআহ সোবহানাহু তায়ালার পক্ষ থেকে নাজিল করা হয়েছে-যার দ্বারা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে অর্থাৎ গোমরাহি থেকে হেদায়েতের দিকে নিয়ে আসা যায়। সূরা ইব্রাহিম এর প্রথম আয়অতে করীমায় এরশাদ হচ্চেন-“আমি এমন এক কিতাব আপনাকে দিয়েছি,যা দ্বারা আপনি মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে আনতে পারবেন।ঃ আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতায়ালা এরশাদ ফরমাচ্ছেন ক্বাদ যা আকুম মিনাল্লাহে নূরুও ওয়া কিতাবুম মুবিন- অর্থাৎ নিশ্চই তোমাদের নিকট তশরীফ আনয়ন করেছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে এক সমুজ্জ্বল নূর (জ্যোতি) এবং সুস্পষ্ট কিতাব। কাফের ও মুশরিকরা তথা ইসলাম বিরোধী শক্তি আল্লাহর এই জ্যোতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়,কিন’তা তারা পারবে না। আল্লাহ্‌ পাক কোরআন মজিদের সুরা আচছফ এর অষ্টম ও নবম আয়াতে করীমায় এরশাদ ফরামাচ্ছেন “তারা মুখের ফুৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তার আলোকে পূর্ণরুপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। তিনি আল্লাহ তার রসূরকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম দিয়ে প্রেরণ করেছেন। যাতে একে ইসলামকে সব ধর্মের উপর প্রবল করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করেঃ। এই সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব কোরআন মজিদ সত্য সত্যই আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতায়ালার পক্ষ থেকে এক সুস্পষ্ট ঐশীগ্রন’এবং এই সমুজ্জ্বল কিতাব আর যার উপর নাজিল হয়েছে তিনি হচ্ছেন-সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম,সুন্দরতম,মহোতত্ত্বম,মাহবুবে খোদা,রাহমাতুলি।লল আলামীণ,সরকারে ক্বায়েনাত হুজুর হযরত মুহাম্মদ মোসত্মফা ছা্‌লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বস’তঃ আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা এমন পলিপূর্ণ ও সর্বগনের আকার হিসেবে আপন হাবীব (দঃ) কে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন,যার সমকক্ষ হয়ে অতীতে কেউ দুনিয়াতে আগমন করেনি এবং ভবিষ্যতেও আসবেন না। আল্লাহ পাক আপন প্রিয়তম শখা মুহাম্মদ মোসত্মফা (দঃ) এর মধ্যে দিয়েই সৃজন ব্যগ্রতার প্রথমস্ফুরন ঘটিয়েছেন,নিজ নামের সাথে প্রিয়তম শখার নাম সংযোজন করে তাকে নিজ প্রেমাস্পদের মহিমায় মহিমান্বিত করেছেন,তার,স্মরণকে সমুন্নত করে আকাশে বাতাসে তার গুনগান ছড়িয়ে দিয়েছেন,আররশে আজীমে মন্ত্রণ করে নিযৈ গিয়ে দীদার দানে তাকে ধন্য করেছেন,মক্বামে মাহমুদরে সর্বোচ্চ মক্বামে উন্নীত করেছেন,রওজা পাকে চিরঞ্জীব রেয়েছেন,ময়দানে হাশরে শাফায়াতের চাবিকাঠি অর্পণ করেছেন এবং হাউজে কাওসার দ্বারা পুরস্কৃত করেছেন। খাতেমুন্নাবিয়্যিন,সাইয়্যেদুল মুরসালীন,শফিউল মুজনিবীন হযরত মুহাম্মদ মুসত্মফা ছাল্লাল্লঅহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্বন্ধে শুধু মসিলিম গবেষক নয়,অমুসলিম গবেষকরাও গবেষণা কর্মের মাধ্যমে এই সি’র সিদ্ধানেত্ম উপনিত হতে পারছেন যে তিনিই বিশ্বের সকল নবীদের নবী ও শ্রেষ্ঠ রাসুল এবং তিনিই সমগ্র পৃথিবীল জন্র শ্রেষ্ঠ ধর্ম প্রচারক। যেমন আমেরিকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ও গবেষক মাইক্যাল হার্ট (গরপযধষ ঐধৎঃ) তাঁর বিখ্যঅত বই ঞযব গড়ংঃ ওহভষঁবহঃরধষ চবৎংড়হ রহ ঐরংঃড়ৎুচ এর মদ্যে ইসলাম ধর্মের প্রবর্ত্তক সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসুল হযরত মুহাম্মদ মোসত্মফা আহমদ মুজতবা (দঃ) কে সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে উল্লেখ করতে বাধ্য হয়েছেন। লেখক মাইক্যাল হার্ট নিজে খ্রিষ্টান হয়েও হযরত ঈসা রুহুল্লা (আঃ) কে শ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ না করে মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (দঃ) কে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করলেন,যে বিষয়ৈ তিনি লিখেছেন ”অ ঝঃৎরশরহম বীধসঢ়ষব ড়ভ ঃযরং রং সু ৎধহশরহম গড়যধসসধবফ যরমযবৎ ঃযধহ ঔবংঁং,রহ ষবধৎমব ঢ়ধৎঃ,নবপধঁংব ড়ভ সু নবষরবাব ঃযধঃ গড়যধসসবফ যধফ ধ সঁপয মৎবধঃবৎ ঢ়বৎংড়হধষ রহভষঁবহপব ড়হ ঃযব ভড়ৎসঁষধঃরড়হ ড়ভ ঃযব গঁংষরস ৎবষরমরড়হ ঃযধহ ঔবংঁং যধফ ড়হ ঃযব ভড়ৎসঁষধঃরড়হ ড়ভ ঃযব ঈযৎরংঃরহরঃু. আসলে এই পৃথিবীতে যত নবী রাসুল তথা মহা মনীষী পরগম্বর আলাইহিমুসসালামগন এসেছেন,তাদের সবার উপরে মাহবুবে খোদা রাহমাতুল্লিল আলামিন মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়অসাল্লামকে স’ান দিয়ে সেই প্রখ্যাত আমেরিকান সাংবাদিক ও গবেষক মাইক্যাল হার্ট প্রমাণ করলেন,যে,বর্তমান বিশ্বে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম বা দ্বীন হচ্ছে ইসলাম এবং সর্ব উৎকৃষ্ট আদর্শ তথা খুলুকুন আজীম হচ্ছে হুজুর মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লঅহ্‌ আলাইহে ওয়াসাল্লাম। তাই একথা সুষ্পষ্টভাবে ঘোষনা করা হয়েছে যে,মহান আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার মনোনীত একমাত্র জীবন বিধান বা দ্বীন হচ্ছে আল ইসলাম (ইন্নাদ্দীনা এন্দাল্লাহিল ইসলাম) এবং বিশ্ব স্রষ্টা রাব্বুল আলামীন প্রিয়তম শখা হযরত মুহাম্মদ (দঃ) কে বিশ্ব জগতের সম্মুখে উপস’াপন করেছেন খুলুকুন আজিম হিসেবে। এরশাদ হয়েছে ইন্নাকা লা আলা খুলুকুন আজীম অর্থাৎ হে রাসুল আপনি তো চারিত্রিক মাধুর্যে সর্বশ্রেষ্ট। আরো এরাশাদ হয়েছে-ওয়অমা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতুল্লিল আলামীন আমি আপনাকে সময় জগতের জন্য রহমত তথা কল্যাণের মুর্ত প্রতীকরুপে প্রেরণ করেছি। তদুপরি পরওয়ার দেগারে আলম আপন বান্দার উদ্দেশ্যে এরশাদ ফরমাচ্ছেন লাক্কাদ কানা লাকুম ফি রাসুলিল্লাহে উসআতুন হাসানহ অর্থাৎ আমার পেয়ার। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামা তো তোমাদের জন্য উসওয়ায়ে হাসানা বা সর্বত্তোম আদর্শ। যার কথাকে স্বয়ং আল্লাহ পাকের বানী বলে আল্লাহ জাল্লাশানুহু কোরআন মাজিদে সুরা নাজমে ঘোষনা করেছেন। এরশাদ হয়েছেঃ “ওয়ামা ইয়ানুতিকু আনিল হাওয়া,ইন-হুয়া ওয়াহইউ ইউহা-অর্থাৎ তিনি নিজ থেকে কিছু বলেন না,যা কিছু বলেন তাতো তার উপর প্রত্যাদেশ হওয়া ওহীঃ। আল্লামা জাল্লালুদ্দীন রুমী আলাইহের রাহমাহ বলেন-গোফতায়ে উ গোফতায়ে আল্লাহ বাওয়াদ/গারচে আজ হুলকুমে আবদুল্লাহ বাওয়াছ তার কথা আল্লাহর কথা,যদিও আল্লাহর মাহবুব বান্দার মুখ থেকে তা নিঃসৃত হয়। মুখ নবীর কিন’কথা আল্লাহর। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা বলেন-হুওয়াল আউআলু ওয়াল আখেরু ওয়াজ্জাহেরু ওয়াল বাতেন,ওয়াহুয়া বিকুল্লে শাইইন আলীমা অর্থাৎ তিনি আদি তিনি অনত্ম,তিনি প্রকাশ্য তিনি অপ্রকাশ্য আর তিনি সর্বজ্ঞানের আধার। কিন’আল্লাহ পাকতো নিরাকার তাই তিনি তার পেয়ারা রাসুল (দঃ) কেও এই পাচটি গুনে গুনান্বিত করেছেন। আল্লঅহ্‌ হাকীকাতান আওয়াল অঅর তার রাসুল (দঃ) সৃষ্টিতে আওযাল,আল্লাহ্‌ আখের আর নবী প্রেরনের দিকে থেকে অঅখের,আল্লাহ যাহের বা প্রকাশ্য অর্থাৎ আল্লাহকে সৃষ্টির সকলইৈ চিনে এবং জানে,একইভাবে আল্লাহর রাসুল (দঃ) কেও সকল সৃষ্টিই চিনে এবং জানে। তনুবা তার আঙ্গুলীর ইশারায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হতোনা,সূর্য্য অসত্মমিত হয়ে আবার আসর ওয়াক্ত হয়ে উদিত হতোনা,পাথরগুলো নবুয়ত রেসালাতের স্বাক্ষী দিয়ে কলেমা পাঠ করতোনা। তাইতো নবীয়ে পাকের পবিত্র হাতে হাত দেয়অ মানে আল্লাহর কুদরতী হাতে হাত রাখা। এরশাদ হয়েছেঃ ইয়া দুল্লাহি ফঅওকা আইদিহিম। হুজুর আকরাম (দঃ) এর নিক্ষেপন স্বয়ং আল্লাহর নিক্ষেপন। এরশাদ হয়েছেঃ ওয়ামা রামাইতা ইজ রামাইতা অলাকিন্নাল্লাহা রামা অর্থাৎ ময়দানে বদরে শত্রু সৈন্যদের চোখে মুখে আপনি যখন এক মুষ্টি বালি কংকর নিক্ষেপ করেছিলেন,প্রকৃত পক্ষে তাতো আপনি নিক্ষেপ করেননি,আপনার হাতের মাধ্যমে স্বয়ং আল্লাহ নিক্ষেপ করেছেন। মুমীন মুসলমানদের আপন সত্তার চেয়ে,আত্মার চেয়েও নবী অীধক নিকটবর্তী,অধিকপ্রিয়। এরশাদ হয়েছেঃ ওয়ামা রামাইতা ইজ রামাইতা অলাকিন্নালাহ রামা অর্থাৎ ময়দানে বদরে শত্রু সৈন্যদের চোখে মুখে আপনি যখন এক মুষ্টি বালি কংকর নিক্ষেপ করেছিলেন,প্রকৃত পক্ষে তাতো আপনি নিক্ষেপ করেননি,আপনার হাতের মাধ্যমে স্বয়ং আল্লাহ্‌ নিক্ষেপ করেছেন। মুমীন মুসলমানদের আপন সত্তার চেয়ে,আত্মার চেয়েও নবী অধিক নিকটবর্তী,অধিকপ্রিয়। এরাশাদ হয়েছে ঃ আন্নবীউ আওলা বিল মুমিনিনা মিন আনফুসিহিম। হাদীসে কুদসীর রেওয়ায়েতে আল্লাহর রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার জিকির বা স্মরণকে আল্লাহরই স্মরণ বলা হয়েছে এরশাদ হয়েছেঃ “হাবীবী জিকরুকা। ঃ আল্লাহ্‌ পাক কোরআনে মজিদে এরশাদ ফরমান কুল ইন কুনতুম তুহিব্বুনাল্লাহা ফাত্তাবিউনী ইউহবিব কুমূল্লাহ অর্থাৎ হে রাসুল! আপনি বরে দিন,তোমরা যদি আল্লাকে ভালবাসতে চাও,তবে আমি নবীর অনুসরন/অনুকরন কর,তবে আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্‌ মাফ করে দেবেন। আল্লাহপাক প্রিয় রাসুল (দঃ) কে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন,কালামেপাকে এরশাদ হয়েছেঃ এয়া আইয়্যুহান নাবীউ ইন্না আরসালনাকা শাহিদাও ওয়ামুবাশশিরাও ওয়ানজিরা ওয়াদায়ীআন ইল্লাল্লাহী বিইজনিহী ওয়া সিরাজাম মুনিরা অর্থাৎ হে নবী আমি আপনাকে প্রেরন করেছি সাক্ষীরুপে,সুসংবাদ দাতারুপে সতর্ককারীরুপে আর আল্লাহর দিকে আহবানকারী আলোক বিকিরনকারী উজ্জ্বল প্রদীপ বা সূর্যারুপে। সুতরাং পেয়ারা নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ্‌ আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিভাবক,তার চেয়ে অধিক দরদী এই জগৎ সংসার আর নাই। সূরা তাওবাহ্‌ এর মধ্যে এরশাদ হয়েছেঃ নিশ্চই তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের নিকট একজন মহান রাসুল এসেছেন। তোমাদের দুঃখ কষ্ট/বিপদ আপদ তিনি সহ্য করতে পারেন না। তিনি তোমাদের সকলের হিতাকাঙ্খী মোমীনদের প্রতি পরম স্নেহশীল ও দয়াময় (বিল মুমিনিনা রাউফড়্গ রহিম)। বস’তঃ কুফর শিরক,অজ্ঞতা,অজ্ঞানতা,কুসংস্কার অশ্লীলতা ও চরিত্রহীনতার আকণ্ঠ নিমজ্জিত একটি জনগোষ্ঠিকে তৌহিদ ও রেসালতের শক্তিতে বলীয়ান করে,জ্ঞানের আলোকধারায় উদ্ভাসিত করে শৃঙ্খলাবদ্ধ বিস্ময়কর একটি বিম্বজয়ী জাতিতে পরিণত করেছেন যে মহামানব,তার চেয়ে বড় সংগঠক,বড় সংস্কারক,বড় সমরা নায়ক,বড় রাষ্ট্রনায়ক ও রাজনৈতিক তেনৃতত্ব তথা সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ অনুকরনীয় আদর্শ আল্লাহর পেয়ারা রাসুল হযরত মুহাম্মদ মোসত্মফা (দঃ) ছাড়া আর কেই বা হতে পারবে? রাসুলুল্লাহ্‌ (দঃ) এর প্রদর্শিত কর্ম পদ্ধতি,রাজণিিত,রণনীীত ও কৌশল মুসলমানদেরকে গভীর যত্নসহকারে অধ্যযন করতে হবে,অনুধাবন করতে হবে। সৃষ্টিকে ভালবাসা,সৃষ্টির সেবা করা,আশরাফুল মাখলুক্বাত তথা সৃষ্টির সেরা মানুষকে সৎপথে,আদর্শের পথে পরিচালিত করা রাসুলুল্লাহ্‌ (দঃ) ওতার সাহাবাদের জীবনের সর্বাপেক্ষঅ বড় ব্রত ছিল। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মুজাহিদ,শ্রেষ্ঠতম আদিল বা ন্যায় বিচারক ও সৎসাহসী হিসেবে আল্লাহর প্রিয় হাবীব ও তার সাহাবাগণ অকুতোভরে আজীবন সমাজের সর্বপ্রকারের পাপারচার ও অন্যায়ের বিরুদ্দে নিষ্ঠার সাথে জেহাদ করে বৈষম্যমুক্ত একটি সমুন্নত ও ন্যায়ানুগ সমপ্রীতির সমাজ গঠন করেছিলেন। ডঃ আল্লামা ইকবাল আলাইহির রাহমাহ্‌ তার তুলুয়ে ইসলাম্ব বা ইসলামের অভূদ্যয় নামক কাব্যে লিখেছেনঃ সবক পড় ফের ছদাবতা আদালতকা,সুজা আত্‌কা,লিা জায়েগা তুজছে কামে দুনিয়াকী ইমামত্‌কা। এহি মকছুদে ফিতরাত হ্যায়,এহি রমজে মুসলমানি,ইখওয়াতকি জাহাগিরী,মহবত কি ফিদাবাণী। অর্থাৎ আবার প েসবক সত্য নিষ্ঠার,সুবিচাররের সাহসিকতার। এসব তোমাদেরকে নিয়ে যাবে দুনিয়ার কাজের নেতৃত্বে। এটাই সৃষ্টির উদ্দেশ্য। এটাই মুসলমানের চিহ্ন,এটাই হলো ভ্রাতৃত্ব বলয়ের গিদ্বিজয এবং এটাই হরেঅ প্রেমভক্তি। সত্য নিষ্ঠা,ন্যায় নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সেই অনুপ্রেরনার পত চলার যে আহ্বান মহান সাধক কবি জানিয়েছেন তা াাজকে বিশ্ব মুসলিমের বিপর্যস’পরিসি’তি পূণঃ জাগরনের পূর্বশর্ত বলেই মনে হয়। বস’তঃ কোরআন মজিদ হলো মানুষের জন্য সর্ব্বোত্তম দিক নির্দেশনা ও সর্বোৎকৃষ্ট কিতাব এবং আল্লাহর প্রিয় হাবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর জীবন বিশ্ব মানবতার জন্য এক সর্বেঅত্তম আদর্শ। যতদিন বিশ্বের মুসলমান আল্লাহর রাসুল (দঃ) কে সর্বোত্তম আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে অঅকড়ে ধরে থাকবে,ততদিনি সৎপথের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে,হেদায়েত পেতে থাকবে আর যখন এই মহাশক্তিকে ছেড়ে দিবে তখন থেকে পতন শুরু হবে এবং ধ্বংসের দ্বারপ্রানেত্ম পৌছতে থাকবে। আল্লাহ্‌ পাককালামে এরশাদ করেছেন-এই কুরআন এমন পথ প্রদর্শন করবে যা সর্বঅধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ন মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে,তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার (১৭ঃ ৯)। মহান রাব্বুল ালামীনের বাণী সম্ভার কোরআনুল করীম যা সৃষ্টির সূচনা থেকেই লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে,কিয়ামতের দিন পর্যনত্মঅনাগত বিশ্বমানরের হেদায়েত ও জীবন বিধানরুপে আল্লাহতায়ালা এই ঐশীগ্রন’কে মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ করেছেন এবং বান্দার প্রতি নিদের্শ দিয়েছেন যেন তার বিধি বিধান অক্ষরে অক্ষরে মান্য করা হয়। অন্যথায় শাসিত্মর ভয় প্রর্দন করে মহান আল্লাহ্‌ এরশাদ করেচেনঃ আফাতুম্ব মেনু বিবায়ুদিল কিতাবে ওয়াতাকুফুরুনা বিবায়দিন। ফামা জায়াউ মাই ইয়াফআল যালিকা মিনকুম,ইল্লা খিজইউন,ফিল হায়াতুদদুনীয়া ওয়াল আখেরা,ইন্নাকা লঅতুখলিফুল মিয়াদ- অর্থঅৎ যদি তোমরা কোরআনুল করীমের কিচু অংশ গ্রহণ করে কিছু অংশ বাদদিয়ে থাক,তবে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের বসবাসের স’ানকে অশানিত্মর করে দেব এবং আখেরাতে উপযুক্ত শাসিত্মর দিকে নিক্ষেপ করব। আজকে কোরআনুল করীমের শিক্ষা বর্জণ করার কারনে আমাদের সামাজিক বিপর্যয় ও অশানিত্মর সৃষ্টি হয়েছে,তার কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে আমাদেরকে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসের দিকে সৃষ্টি নিক্ষেপ করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (দঃ) বলেনঃ যখন (১) রাষ্টীয় সম্পদ ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করা হবে। (২) আমানতের মাল (গচ্ছিত ধন-সম্পদ) গনীমত হিসেবে গন্য করা হবে। (৩) যাকাতকে জরিমানা বিবেচনা করা হবে। (৪) ইলম হাসিল (শিক্ষা গ্রহণ) করা হবে পার্থিব সম্পদ অর্জনের লক্ষ্যে (৫) স্বামী হবে স্ত্রীর আজ্ঞবহ (৬) সনত্মান হবে মাতার অবাধ্য (৭) পিতাকে করা হবে অবজ্ঞা (৮) বুদ্ধদের টেনে নেয়া হবে কাছে (৯) মসজিদে হৈ চৈ হট্টগোল সৃষ্টি করা হবে। (১০) পাপাচারীরা হবে সমপ্রদায়ের মোড়ল মাতব্বর। (১১) দূর্বৃত্ত দুরাচাররা হবে দেশের দণ্ডমুন্ডের নেতা। (১২) লেঅকেরা তাদের সম্মান দেভাবে কেবল নিজেদের মান উজ্জত হারানোর আশঙ্কায় (১৩) গান বাদ্রেল বিসত্মার ঘটবে। (১৪) মাদকাসক্তি ঘটবে। (১৫) জাতির উত্তরপুরুষরা পূর্ব পুরুষদের গালাগাল করবে। এই সময়ে অগ্নিবায়ু প্রবাহিত হবে,ভূমিকম্প হতে থাকবে,ভূমিধ্বস ঘটবে,মানবাকৃতির বিকৃতি ঘটবে,পাথর বৃষ্টি হবে এবং একের পর এক দৈবদুর্বিপাকে বিপর্যয় ঘটতে থাকবে। যেমন সুতো ছিড়ে গেলে তছবিহের দানা ঝরে পড়তে থাকে একের পর এক। সেই হাদীস শরীফটিকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গ্রাম,শহর,বন্দর,নগর-মহানগরসহ সমগ্র দেশের দিকে তাকিয়ে উক্ত হাদীস শরীফে বর্ণিত লক্ষণগুলো মিলায়ে আমাদের অফিস আদালত,শিল্প,ব্যবসা বাণিজ্য,শিক্ষা ও সংস্কৃতির অং্‌গনে বিরাজমান াবস’া পর্যালোচনা করলে দেশ জাতি রাষ্ট্রের হাল অবস’া পর্যালোচনা করলে মনে হবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) বাংলাদেশে এসে নিচ চোখে দেখেই বিরাজমান পরিসি’তির আলোকে এই হাদীসখানা এরশাদ করেছেন। আজকে দেশের সর্বত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলো খুনের নেশায় মতে েউঠেছে। ক্রমবর্ধমান বোমাবাজী,সনত্মাস,ছিনতাই চাঁদাবাজী,এসিড নিক্ষেপ,চোরাকারবারী হিরোইন সেবীদের দিৗরানেত্ম আর বিভিন্ন দেশী বিদেশী চ্যানেলে রাত্রি দিন প্রচারিত ব্লুফ্লিম,যৌন উত্তেজক অশ্লীল উলঙ্গ নাচ গান,ছায়াচবি,পর্ণোপুসিত্মকা ইত্যাদির কারণে আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে খোদায়ী গজব নাজিল হওয়ার পরিসি’তি সৃষ্টি হয়েছে। মনে রাখতে হবে,খোদায়ী গজব বড়ই ভয়াবহ,পালানোর কোন পথ অবশিষ্ট থাকে না। আল্লাহ্‌ পাক কোরআনুল করীমে সুরা আনফালে ২৯তম আয়াতে এরশাদ করেন;হে মুসলমান ! যদি তোমরা আলআহকে ভয় কর,তাহলে পৃথিবীর বুকে তিনি তোমাদের সবচাইতে সম্মানিত ও উন্নত জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করবেন। তদুপরি তোমাদের সবঅপরাধ মার্জনা করবেন এবং তোমাদের থেকে সব বিপদ আপদ দূরে রাখবেন। ইসলাম শুধু কতিপয় বিধি নিষেধ ও নীতিবাক্যের সমষ্টি মাত্র নয়,আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে একমাত্র ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) বিশ্ব ইতিহাসে সর্বপ্রথম অসাধারন ভূমিকা পালন রেছিলেন। আল্লাহর রাসুল (দঃ) মদিনায় ষষ্ঠ শতাব্দীতে “নিজে বাচ এবং অপরকে বাচতে দাওঃ এই নীতির ভিত্তিতে মদিনার সনদপত্র নামেখ্যাত সনদটি রচনার মাধ্যমে যে অপূর্ব ন্যায় নিষ্ঠা,উদারতা,পরমত সহিষ্ণুতার আদর্শিক বীজ বপন করে আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র ও মানবিক সমাজের সূচনা করেছিলেন তা এক বিস্ময়কর অধ্যায় হিসেবে মানব ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে। ইতিপূর্বে কোন দেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মধ্যে সদ্ভাব ও সমনাগরিকতা অীচনত্মনীয় চিল। হুজুর নবী করীম (দঃ) মনিদার সকল সমপ্রদায়ের নেতৃস’ানীয় ব্যক্তিবর্গকে ডেকে সভা করে আনত্মঃ সামপ্রদায়িক ঐক্য ও সমপ্রীতির প্রয়োজনয়িতা বুঝিয়ে দিয়ে একটি সনদ বা আনত্মর্জাতিক সন্ধিপত্র প্রস’ত করেন যাতে পরস্পরে দায়িত্ব ও কর্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়। তিনি বৃহত্তর মানব কল্যাণের লক্ষ্যে এমন আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র রচনায় উদ্যোগী হলেণ,যেখানে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ ধর্ম,ঐতিহ্য ও কৃষ্টি বজায় রেখে একই দেশে পাশাপামি বাস করতে পারে। বস’তঃ ইসলামী রাষ্ট্র শরীয়তের কঠোরতা সম্ভব। মদিনার সনদের প্রথম বাক্যই ছিল মদিনার ইহুদী,পৌত্তলিক ও মুসলমান সকলেই এক দেশবাসী এবং সকলের নাগরিক অধিকার সমান। প্রত্যেক সমপ্রদায় সকলেই নিজ নিজ ধর্ম পালন করিবে,কেহ কারো ধর্মে হসত্মক্ষেপ করতে পারবেনা। যহরত মুহাম্মদ (দঃ) এর পূর্বে এমন মানবিক রাষ্ট্রের কথা কেহ কল্পনাই করেনি। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ উবপষধৎধঃরড়হ ড়ভ ঐঁসধহ জরমযঃং অর্থাৎ মানবাধিকারের ঘোষনা নামীয় সনদে যে কথা বলা হয়েছে তা আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ (দঃ) সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষনা করে বলেছিলেন বিশ্বের সমসত্ম মানব সনত্মান স্বাধীন ও মুক্ত াবস’ায় নিষ্পাপ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। আজকের আধুনিক বিশ্বে মানুষের মৌলিক অধিকার তথা মানবাধিকারের প্রায় সকল শর্ত ও গণতান্ত্রিক আদর্শিক শর্তাবলী বিশ্বনবীর চিনত্মা চেতনার ফসল। আসলে ইসলামও গণতন্ত্র-পরস্পরের বিরোধী নয়। পার্থক্য শুধু এইটুকু যে,অমুসলিম সমপ্রদায়ের রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়করা যে উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস’ার কথা বলে,মুসলিম বা ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস’া থাকবে,সেই সলামী গণতন্ত্র আল্লাহর আইনের অধীন হবে। সাধারন জনমতের ভিত্তিতে সরকার গঠন সরকার পরিচালনা ও পরিবর্তণ করাকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস’া বুঝালে,সেই গণতন্ত্রের সাথে ইসলামী শাসন ব্যবস’ার কোন পর্যায়ে নেই। কিন’পাশ্চাত্য গণতন্ত্র থেকে ইসলামী গণতান্ত্রিক ব্যবস’া একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় একটু ভিন্নতা রয়েছে,তা হচ্ছে জনগনের রায়ের মাধ্যমে ইসলামের মৌলনীতির পরিবর্তন করা যাবে না। কোরআন হাদীস তথা ইসলামের সীমানার বাইরে গিয়ে কোন সিদ্ধানত্ম নেয়া যাবে না। যেমন ভোটের মাধ্যমে কোন হালাল বস’কে হারাম ও কোন হারাম বস’কে হালাল করা যাবে না। ইসলামী শাসন ব্যবস’ার মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রয়েছে,কিন’গণতান্ত্রিক ব্যবস’ার দ্বারা ইসলাম নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি। গণতন্ত্রের মূল বিষয়গুলোর সাথে ইসলামী শাসনপদ্ধতির কোন বিশেষ পার্থক্য নেই। যেমন সকলের মত প্রকাশের অধিকার তথা ভোটাধিকার থাকবে,আইনের শাসন থাকবে,বিচার বিভাগীয় স্বচ্ছতা থাকবে,মৌলিক মানবাধিকার থাকবে ইত্যাদি। ডঃ আল্লামা ইকবাল ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস’াকে রুহানী গণতন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন,তার মতে গণতন্ত্রের বিত্তি যদি রুহানী ও নৈতিক হয়,তবে তা হবে সর্বোৎকৃষ্ট রাজনৈতিক পদ্ধতি আসলে শর্তাধীনে আমরা গণতন্ত্রের কতা বলতৈ পারি। এর ফলে হয়তঃ মুসলিম বিশ্বের রাজা বাদশা ও স্বৈরশাসকগন অনৈসলামিক অন্যায় শাসনের যাতাকল বন্ধ করার চিনত্মাভাবনা করতে পারে। হযরত রাসুলে করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম প্রেরিত হয়েছেন সমগ্র বিশ্বের শিক্ষকরুপে। তিনি এরশাদ করেছেন বুয়িসতু। মোয়ালিড়্গমান অর্থাৎ জগৎবাসীর শিক্ষকরুপেই আমি প্রেরিত হয়েচি। বস’তঃ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য এক অপূর্ব ইনকিলাব রচনা করেছে। একদিন যারা পরস্পর শত্রু ছিল,তারাই হযরতের শিক্ষা গ্রহণ করে আপন ভাইয়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে সর্বত্র রক্তক্ষয়ী সংঘাত,খুন-খারাবীর লেলিহান শিখা দাবাণলের ন্যায় জ্বলে উঠেছিল,সেখানে নারীর শিক্ষার কারনেই সমঝোতা ও শানিত্মর ফুল ফুটেছিল। যেখানে জুলুম অত্যাচার,অন্যায় অবিচার,বর্বরতা ও মুর্খতার অন্ধকারে পুরো সমাজই নিমজ্জিত ছিল,সেখানে মহানবীর শ্‌িকষাই এনেছিল সামাজিক ন্যায় বিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা। সেই নির্ভূল ও পরিপূর্ণ শিক্ষাই অঅজকে আমাদের অন্ধকারে নিমজ্জিত সমাজ ও রাষ্ট্রকে আলোকিক করতে পারে। কারণ আল্লাহ্‌ স্বয়ং তার প্যিয়তম শখা হযরত মুহাম্মদ (দঃ) কে শিক্ষা দিয়া পরিপূর্ণ আদশৃরুপে আমাদের সামনে উপস’াপন করেছেন। কালামে পাকে ৫৩ তম সুরা নজমে এরশাদ হয়েছে ‘অসীম ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ তাকে (মুহাম্মদ (দঃ) কে) শিক্ষা দিয়েছেন। যেহেতু স্বয়ং আল্লাহ হুজুর নবী করিম (দঃ) এর ক্ষিক,সেহেতু তার শিক্ষা পরিপূর্ণ ও নির্ভূল হতে বাধ্য। তাই বিশ্বনবী হযরত রাসুলে করীম (দঃ) সত্য,সুন্দর ও মঙ্গলের মূর্তিমান াাদর্শ শিক্ষকরুপে,পথ প্রদর্শকরুপে গ্রহণ করে আমরা যদি পথ চলতে পারি,তবে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে অবশ্যই সফলতা আসবে। আজকে আমাদের অধঃপতনের কারণ একটাই আল্লাহর রাসুল (দঃ) এর শিক্ষা ও আদর্শ থেকে আমরা বহুদুরে সরে গেছি। আল্লাহর রাসুল (দঃ) প্রদর্শিত আদর্শের পথে প্রত্যাবর্তন ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই,কল্যাণ নেই। সে জন্যই,প্রখ্যাত কবি ও দার্শনিক ডাঃ আল্লামা ইকবাল মহান আল্লাহর ওয়াদা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেনঃ কী মুহাম্মদ চে ওয়াফা তুনে তু হাম তেরে হ্যায় ইয়ে জাহা চিজ হ্রায় কেয়া হ্যায় লওহ কলম তেরে হ্যায়,আল্লাহর রাসুল (দঃ) কে জীবনে বরণ করে নিতে পারলে নভোন্ডলের কর্তৃত্ব ও এসে যাবে তোমার করতলে। মুসলিম বিশ্বের বিরাজমান দুঃখজনক বিপর্যস’পরিসিত্মতির দিকে দৃষ্টিপাতকরলে প্রথমেই মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক এবং ফিলিসত্মান সংকটের কথাই উঠে আসবে। ।সিলামের বহু গৌরবোজ্জল ও সৌর্য বীর্যের স্মৃতিধন্য লীলাভূমি,বিশ্বের সবচেযে প্রাচীন সমৃদ্ধশীল ও বিষ্ময়কর সভ্যতার উত্তরাধিকার ইরাকের উপর বিশ্বের দানবীর অপশক্তি,মানবতার ঘৃন্য শত্রু মার্কিন ব্রিটিশ জোট চক্র আনত্মর্জঅতিক আইন,বিশ্ব জনমত ও নীতি নৈতিকতা সম্পূর্ণ উপক্ষো ও আগ্রাহ্য করে তথাকথিত মিথ্যা নিরস্ত্রীকরণের াজুহাতে বিগত ২০ মার্চ ২০০৩ থেকে যে সাম্রাজ্যেবাদী আগ্রাসন,ধবংশযজ্ঞ ও নিবির্চারে গণহত্যা চারিয়ৈ নির্বঅচিত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করে গায়ের জোরে পূণ্যভূমি দখলদারিত্ব কায়েম করেছে,তার বিরুদ্ধে ইরাকী জনগন প্রতিদিনই রক্তঝরা প্রতিরোধ যুদ্ধ ও অগ্নিঝরা বিক্ষোভের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে নতুন নতুন লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। বস’তঃ রাক্ষুসের ঔরসে,ডাইনীল গর্ভে জন্ম নেয়া বুশ ব্লেয়ার ইঙ্গ-মার্কিন দানবীর অপশক্তি দ্বিতীয় গালফ যুদ্ধের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে বিপর্যস’পরিসি’তি সৃষ্টি করেছে। জর্জ ডব্লিউ বুশ এর আর্শিবাদে অতিক্ষুদ্র ইসরাঈল রাষ্ট্রের অস্ত্রভান্ডার পারমানবিক ও বিপুল অত্যাধুনিক অস্ত্রৈ সমৃদ্ধ হয়েছে। ইসলাইলের অস্ত্রভান্ডার পরমানু অস্ত্রসহ যে বিপুল অত্যাধুনিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে,সমগ্র মধ্যপট্রাচ্যের সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিতভাবে তার এক চতুর্থাংশও নেই। মার্কিন মদদপুষ্ট এই ইসরাইল,প্রতিনিয়ত ফিলিসিত্মনীদের হত্যা করে প্যালেস্টাইন সংগ্রামের মুর্তপ্রতীক বিশ্ববিখ্যাত মোজাহিদ ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্ররোরনাতে ইসরাইল ফিলিসিত্মনকে নিয়ে এক অবোধগম্য নিষ্ঠুর খেলার মেতে উঠেছে। বস’তঃ ইরাক প্যালেষ্টাইনে নৃশংস হত্যা ও ধবংশযজ্ঞ,একইভাবে বসনিয়া হারজেগোভিনার মুসলিম জনগোষ্ঠির উপর সার্ব অপশক্তির নির্যাতন,নিপীড়ন,হত্যাযজ্ঞ। ইরাক,প্যালেস্টাইন,আফগানিসত্মান,কাশ্মীর এর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায় ও অনৈতিক আকাঙ্খা বাসত্মবায়নের জন্য জাতীসংঘের পক্ষপাতদুষ্ট,ন্যাক্কারজনক আচরন বড়ই বেদনাদায়ক। আজকে ইউনাইটেড নেশনস্‌ কঅর্গানাইজেশন (টঘঙ) ইঙ্গ মার্কিন ইসরাইলের মৈত্রী জোটের ইচ্ছা বাসত্মবায়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। অথচা যুদ্ধমুক্ত নিরাপদ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যৈ ক্ষুদ্র বৃহৎ প্রতিটি রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা ও স্বাধীনতার প্রতি মর্যাদা প্রদর্শণ,সকল মানুষের সমান সমঅধিকার ও আত্মবিকাশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ সর্বসত্মরে বর্ণবাদ ফ্যঅসিবাদ ও ধর্মীয় সামপ্রদায়িক,সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক নিপীড়ন ও বৈষম্যমুক্ত মানবিক বিশ্বসমাজ প্রতিষ্টঅর প্রত্যয় ১৯৪৫ সারে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বর্তমান বিম্ব রাজনীতির ধারণা সম্পর্কে আমেরিকা,ব্রিটেন ও ফ্রান্স এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান পর্যনত্ম বলেছেন ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের পূর্বের ও পরের বিশ্ব আর এক নয়,টুইন টাওয়ার ট্রাজেডীর পর সারাবিশ্ব পালটে গেছে। সুতরাং তারা কোন সমস্যাকে আর আগের দৃষ্টিতে বিচার করবেনা,বরং পরিবর্তিত পরিসি’তির বাসত্মবাতার নিরিখেই তারা সমস্যার সমধান খুজবেন। বিশ্ব মুসলিমের বিরুদ্ধে অপরাপর জাতিগোষ্ঠি ও শক্তির গড়ে উঠা ঐক্যমত্য কুরআনুল করীমের সুরা আল ইমরানের ২৮তম আয়াতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এরশাদ হচ্ছে লা ইয়াত্তা খিজিল মুম্বমেনুনাল কাফেরিনা আওলিয়া মিন দুনিল মুমেনিন,ওয়ামাইইয়াফ আল যালিকা ফালাইসা মিনাল্লাহে ফী শাইইন ইল্লা আনতা তাত্তাকু মিনহুম তুকাতাঃ অর্তাৎ মুমনিগণ যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কোন রূপ সম্পর্ক থাকবেনা। তবে অনিষ্টের আশংকা থাকলে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে। আল্লাহ তাদের সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন।

No comments:

Post a Comment