Monday, December 7, 2015

শুধু রূহ মোবারক নয়,কোরান বলছে যে রাসুল(দঃ)ই সর্বত্র বিরাজমান।


শুধু রূহ মোবারক নয়,কোরান বলছে যে রাসুল(দঃ)ই সর্বত্র বিরাজমান

(১) "জেনে রাখো তোমাদের মধ্যে রাসুল (দঃ)বিরাজমান।"

----সুরা হুজুরাত আয়াত ৭

(২) " নবী মুমীনদের কাছে তাদের প্রানের চেয়েও নিকটে।"

---সুরা আহজাব আয়াত ৬

( ৩) "আমার রহমত সমস্ত কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছে।"

---সুরা আরাফ আয়াত ১৫৬-

(৪) " হাবীব আমি আপনাকে সমস্ত জগত সমূহের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করিয়াছি।"

-- সুরা আম্বিয়া আয়াত ১০৭

 কুরআন শরীফের এই আয়াত গুলির অনুবাদ,ব্যখ্যা, তাফসীর পড়লে আপনি বুঝতে পারবেনএছাড়াও হাদীসেরও অনেক ব্যখ্যা আছে

হজরত খাজা ওয়ায়েছে করণী (রহঃ) ছিলেন সম্পূর্ণ গোপন রত্ন ভান্ডারে যেমন রত্ন গোপন থাকে ঠিক তেমনি তিনিও গোপন ছিলেন মানুষের কাছে থেকে হজরত খাজা ওয়ায়েছে করণী (রহঃ) কে বলা হয় প্রেমে রাসুল বা রাসুলের ফুটন্ত গোলাপ বা রাসুলের বক্ষ শীতল করার বাতাস
স্রষ্টার সৃষ্টি আদিকাল থেকে বিভিন্ন মনীষীরা বা নবীরা ভবিষৎ বাণী যেমন দিয়েছিলেন সর্ব শেষ মহানবী (সা:) কে নিয়ে আগমনের বার্তা ঠিক তেমনি তাও বলেছেন মহানবী জন্মের পূর্বেই এমন একজন ব্যাক্তি জন্ম নেবেন যিনি তার চেয়ে বেশি আর কেহ মহানবীকে ভালবাসবে না এবং তার প্রেমের গবিরতা কেহ নির্ণয় করার সক্ষম হবে না
কিন্তু দুঃখের বিষয় তাকে কেহ চিনবে না এবং লোক সমাজেও তার নাম প্রচার হবে না তিনি শেষ নবীর প্রেমের ধারক, বাহক এবং রক্ষক হিসাবে তিনিই থাকবেন গুপ্ত ভাবে
হযরত মুহম্মদ (সা:)’ অত্যন্ত প্রিয় পাত্র, আধ্যাত্মিক জ্ঞান সমৃদ্ধ, নজিরবিহীন রাসূল প্রেমিক, রাসূলে মুহব্বতে নিজের সব দন্ত উৎপাটনকারী, রাসুলের প্রেমে নিজ জীবন উৎসর্গকারী, মা-বাবার খেদমতে পার্থিব সুখ- শান্তি বর্জনকারী, আল্লাহর প্রেমে সার্বক্ষণিক মশগুল উদাসীন হযরত খাজা ওয়ায়েছে করণী (রহঃ) রাসুল (সা:) প্রায় সময় বুকের কাপড় সরিয়ে দক্ষিন দিকে দাড়িয়ে থাকতেন এবং দক্ষিনা বাতাস রাসুলের গায়ে লাগাতেন সাহাবীরা প্রশ্ন করলে তার জবাব দিতেন -- ইয়ামেনের রাজ্যের করান শহরে আমার একজন প্রেমিক আছে যার গায়ের সুগন্ধি বাতাসের মাধ্যমে বেশে এসে যখন আমার বক্ষে স্পর্শ করে তখন আমার বক্ষ শীতল হয় এবং আমি শান্তি লাভ করি
হিজরী সনের ৭ই শাওয়াল (জানুয়ারী ৬২৫) ওহুদের যুদ্ধে রাসূলের দাঁত মুবারক শহীদের সংবাদে হজরত খাজা ওয়ায়েছে করণী (রহঃ) বিচলিত হয়ে পড়েন এবং কতনা দুঃখ, কতনা ব্যাথা আল্লাহর রাসূল পেয়েছেন মনে করে ভাবাবেগে উম্মত্ত হয়ে একটি একটি করে সবগুলি দাঁতই ভাংগিয়া ফেলেন তিনি রাসূলের আর্দশে অনুপ্রাণিত, রাসূলের ভাবে ভাবান্নিত , রাসূলের জ্ঞানে জ্ঞানী এবং আল্লাহর একত্বে অটল বিশ্বাসী ছিলেন আল্লাহর রাসূল হজরত খাজা ওয়ায়েছে করণী (রহঃ) এই জ্ঞান মহত্ব মহব্বতের এবং প্রেমে ভরা হৃদয় আর কারো ছিলনা রাসুলের খির্কা মুবারকের যোগ্যতা একমাত্র হজরত খাজা ওয়ায়েছে করনী ছাড়া আর কোন ব্যাক্তি যোগ্যতা লাভ করতে পারেননি
রাসুল (সা:) এক হাদিসে বলেছেন আমার সমকক্ষে মাওলা আলী ছাড়া আর কেহ নাই যদি এই হয় তাহলে রাসুলের খির্কা বা খেলাফত মাওলা আলী পায় তাহলে হজরত ওয়ায়েছে করনী কেন পেল এবং কেন রাসুল (সা:) বলেছেন রাসুলের উম্মতের জন্য যেন তিনি দোয়া করেন(তাজকেরাতুল আউলিযা..148 পৃ ) তোমরা তাহার (ওয়ায়েছের ) পায়ের চিহ্নে পা রাখিয়া চলতাবেঈন শ্রেষ্ঠ বা অনুসারী/ অনুগত্যদের শ্রেষ্ঠ হযরত খাজা ওয়ায়েছে করণী (রহঃ) আল্লাহ রাসূলের অনুসারী যারা ছিলেন বা আছেন তাদের মধ্যে সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ অনুসারী হচ্ছেন হযরত খাজা ওয়ায়েছে করণী (রহঃ) তাঁর মাতৃভক্তি বিশ্বের মানুষের আদর্শ; তাঁর রাসূলের প্রতি ভালবাসা নজীরবিহীন ..মূলত রাসুলই নিজেই ছিলেন হজরত খাজা ওয়ায়েছে করনী(রহঃ) একই আয়নায় দুই ছবি যার কারণে কেহ কারো সাথে পার্থিব জীবনে সাক্ষাত হয়নি হজরত খাজা ওয়ায়েছে করণী (রহঃ ) কে নিয়ে তেমন কোন হাদিস রচিত হয়নিতিনি সব সময় চাইতেন তার মালিক ছাড়া আর কেহ যেন তাকে নাচিনে বা না জানে এবং রাসুল (সা:) এটিই চাইতেন হজরত ওয়ায়েছে করণী (রহঃ) যেন গোপন থাকেন তাই এত সাহাবা থাকতে মাত্র দুই জন মাওলা শেরে খোদা আলী এবং ওমর ( রা:) সাক্ষাত হয় রাসুলের খির্কা প্রধান করার সময় মহান আল্লাহ রাসুল (সা:) কে এই ওয়াদা করেছেন যে হাশরের ময়দানেও হজরত ওয়ায়েছে করনী (রহঃ) গুপ্ত ভাবে রাখবেন ৭০ হাজার ফেরেস্তা কে হজরত খাজা ওয়ায়েছে করনী (রহঃ) অনুরূপ করে রাখবেন যেন তাকে কেহ চিনতে না পারেন
() নবীকুলের শ্রেষ্ঠ হযরত মুহাম্মদ (সা:)
() অলীকুল শিরোমনি শ্রেষ্ঠ বেয়ায়েতের বাদশাহ হযরত আলী মর্তুজা (আঃ)
() অনুগত্যের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ, সর্ব প্রথম (আদী পীর) প্রেমে রাসূল খাজা হযরত ওয়ায়েছে করনী বারগাহে রাসূল উষ্টের যুদ্বের পূর্বে কুফার নিকট যিকর নামক স্থানে প্রকাশ্যে হযরত আলী (আঃ) এর নিকট তরীকতী
বাইয়াত গ্রহণ করেন তরীকা প্রচারে যাহেরী খিলাফত লাভ করেন এবং তিনি হজরত মুহাম্মদ (সা:) এবং মাওলা শেরে খোদা আলী (:) দুজনের কাছে থেকে খেলাফত লাভ করেন রাসুল হতে বাতেনি ভাবে এবং আলী হতে প্রকাশএবং ওয়ায়েছিয়া তরিকা নামে তাহা চালু হয়বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে হাদীছে ছরাছরি তাই হাদীছে সব কথা উঠে না আসলে আমাদের বিশ্বাস করতে অনেক কষ্ট হয় কিন্তু একটু সুক্ষ ভাবে চিন্তা করলে অনেক গোপন তত্ত্ব সাধকের সামনে এসে ধরা দেয়

No comments:

Post a Comment