Friday, December 4, 2015

ওলি আরবী শব্দ।

★ ওলি আরবী শব্দ। আরবী ভাষায় “আউলিয়া” শব্দটি “ওলি'র বহুবচন।
ওলি' অর্থ বন্ধু,মিত্র বা অনুসারি, মুরব্বী,  অভিভাবক ।
কখনো শব্দটির অর্থ হয় শাসক, অভিভাবক বা কর্তা।

(তথ্যসূত্রঃ আরবী-বাংলা অভিধান,প্রকাশনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)।

★ প্রসিদ্ধ আরবী-ইংরেজী অভিধান “আল-মাওয়ারিদ” অনুসারে ওলি শব্দের অর্থঃ guardian, patron, friend,companion ইত্যাদী।

★ পবিত্র কোরআনে “ওলি” এবং “আউলিয়া” এ উভয় শব্দটির ব্যবহার হয়েছে অসংখ্য বার।


★★★ ওলীগনের অবস্থা সম্পর্কে বোঝার জন্য কিছু মুল্যবান বানী দেখে নেই :


★ "সুফি তিনিই যার নিকট জাহের ও বাতেন (গায়েব) পরিষ্কার"

- বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী (রা)।।

★ "দরবেশের শান সেটাই যার ঘর থেকে কেউ খালি হাতে ফেরে না"

- সুলতানুল হিন্দ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রা)।।


★ "মানুষ ফকীরী ও দরবেশীর যোগ্য তখনই হয় যখন তার এই অস্থায়ী
জগতের কোন কিছু অবশিষ্ট না থাকে।"

- সুলতানুল হীন্দ খাজা গরিবে নেওয়াজ (রহঃ)

★ একদিন হযরত খাজা গারিবে নেওয়াজ মইনুদ্দিন চিশতী (র) কাবার হেরেম শরীফে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় এলহাম হইলো যে, “হে মইনুদ্দিন! আমি তোমার উপর সন্তোষ্ট আছি এবং আমি তোমাকে ক্ষমা করিলাম। যাহা ইচ্ছা হয় চাও; আমি তোমাকে প্রদান করিব।” খাজা বাবা আরজ করিলেন, “হে এলাহি! মইনুদ্দিনের সাজরা ভুক্ত মুরিদদের ক্ষমা করুন।” আল্লাহ্‌ তায়ালার হুকুম হইলো, “ হে মইনুদ্দিন, তুমি আমার; তোমার মুরিদের মুরিদ কেয়ামত পর্যন্ত, যাহারা তোমার সাজরা ভুক্ত হইবে, আমি ক্ষমা করিব।” অতঃপর হযরত খাজা গারিবে নেওয়াজ মইনুদ্দিন চিশতী (র) অধিকাংশ সময়ই বলতেন, “আমার মুরিদ ও আমার মুরিদগণের মুরিদগণ, যাহারা কেয়ামত পর্যন্ত আমার সাজারা ভুক্ত হইবে, উহাদিগকে বেহেশতে না লইয়া মইনুদ্দিন কখনো বেহেশতে কদম রাখিবে না।”

No comments:

Post a Comment