**ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (দঃ) মিল্লাতে ইসলামীয়ার চেতনার উৎস = আলহাজ্ব শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ আল হাসানী
কোন বিষয়ের গুরুত্ব ও মর্যাদা উপলব্দি করতে হলে উক্ত বিষয় সম্পর্কে চেতনা থাকা বাঞ্চনীয়। চেতনা বিহীন কোন বিষয় অন-ঃসারশূণ্য। যেমন ধরা যাক আমাদের দেশের স্বাধীনতা বিষয় সম্পর্কে চেতনা। স্বাধীনতার মর্যাদা,গুরুত্ব ও স্বাধীনতা অর্জণ করতে যে অমানবিক কষ্ট এবং নির্যাতন আমাদেরকে সহ্য করতে হয়েছে সে সম্পর্কে চেতনা না থাকলে স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও প্রেরণা জাগবেনা। আর এর উৎস সম্পর্কে সু-স্পষ্ট ধারণা থাকলে চেতনা হবে অত্যন- প্রখর। আল্লাহপাক এরশাদ ফরমানঃ আল্লাহর নিকট একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস’া হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম ধর্মের অনুসারীগন হচ্ছেন মুসলমান। এই মুসলিম মিল্লাতের চেতনা হবে তত প্রখর ধর্ম-সম্পর্কে চেতনা হবে যত সুস্পষ্ট। প্রকৃতপক্ষে ইসলামের বাস-ব ও জীবন- রূপ হচ্ছেন আমাদের প্রিয়নবী মোহাম্মদুর রাসুল্লাহ (দঃ)। ধর্ম তথা কোরআন-হাদীস,নামাজ,রোযা,ধর্মের যাবতীয় বিধি-বিধান ইত্যাদির মূল হচ্ছেন আমাদের প্রিয়নবী মোহাদুধুর রাসুলুল্লাহ (দঃ)। তিনি যদি ধরা ধামে না আসতেন,তাহলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কোন রূপ চিনত্মা চেতনার কল্পনাও করা যেতনা। নবিজীর আগমন সম্পর্কে আল্লাহ পাক হাদীসে কুদসীতে ফরমানঃ “লাওলাকা লামা খালাকতুল আফলাক”। অর্থাৎ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনাকে সৃষ্টি না করলে আমি কিছুই সৃষ্টি করতাম না।
সমগ্র জাহান এবং বিশেষ করে আরব জাহান ছিল ঘোর তমাসাচ্ছন্ন। জাহেরা ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে ধরাধামে নবীজীর (দঃ) আগমনের পূর্বে সমগ্র পৃথিবীতে এক নৈরাজ্যকর অবস’া বিরাজ করছিল। ঐতিহাসিক আমীর আলী যথার্থই বলেছেনঃ পৃথিবীর ইতিহাসে পরিত্রানকারীর আর্বিভাবের এমন উপযুক্ত ও পরিপক্ক সময় আর কখনও অনুভূত হয়নি। অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের মানুষ একজন পরিত্রানকারীর আবির্ভাবের জন্য হাহাকার ও আর্তনাদ করছিল। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নূরে মোহাম্মদীকে (দঃ) মানব ছুরতে ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিত্রানকারী রুপে প্রেরণ করেন। তাই ইসলামের প্রতিটি খুটি-নাটি বিষয় তথা প্রতিটি বিধান সম্পর্কে চেতনা পাওয়ার একমাত্র উৎস হচ্ছেন হুজুর পাক (দঃ) আল্লাহ পাক বলেনঃ আল্লাহ মুসলিম মিল্লাতের উপর বড়ই মেহেরবানী করেছেন যে তাদের কাছে স্বীয় নবী মোহাম্মদুর রাসুরুল্লাহ (দঃ) কে পাঠিয়েছেন। ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আনন্দ। আর ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী শব্দের অর্থ নবী পাক (দঃ) এর বেলাদত উপলক্ষে আনন্দ। আমরা অনেকেই তাহকিক করিনা যে মুসলিম মিল্লাত কোন ঈদ বা আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পেতেন না,যদি নবীজিকে (সঃ) আল্লাহ পাক দুনিয়াতে না প্রেরণ করতেন। তাই ঈদ-ই-মিলাদুবীই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ট ঈদ। এই ঈদ ই মিল্লাদুন্নবী থেকেই আমরা সকল উৎসবের চেতনা খুজে পাই। আমরা নামাজ পড়ি আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ মোতাবেক। বলতে গেলে নামাজ বা সালাতের খুটি নাটি প্রতিটি বিষয়ই হুজুর পুরনুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসৃত সুন্নাত বা আদর্শের অনুসরন মাত্র। কাজেই নামাজের মূল প্রেরণা বা চেতনার উৎস হচ্চেন আমাদের প্রিয় নবীজি (দঃ)। এমনিভাবে রোজা,হজ্জ,যাকাত,শরীয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারেফাত তথা পরিপূর্ণ ইসলামের সামগ্রিক চেতনার একমাত্র উৎস হচ্ছেন হযরত আহমদ মুজতবা মোহাম্মদ মোসত্মফা (দঃ)। নবীজির তিরোধানের পর যারা পৃথিবীতে স্মরনীয় বরনীয় হয়েছেন মুসলামানদের মধ্যে,তারা তাদের রিয়াজত ও ইবাতের চেতনা পেয়েছেন নবীজির (দঃ) বাসত্মব জীবন থেকে। শুধু তাই নয়,সমগ্র বিশ্বে আল্লাহ্ পাক যাদেরকে নবী রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন তারাও আমাদের প্রিয় নবীর জন্ম বা আবির্ভাব সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছেন নিজ নিজ উম্মতের কাছে। হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের বাণী পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত হয়েছে। আমি এমন রাসুলের শুভ সংবাদদাতা,যিনি আমার পর তাশরীফ আনয়ন করবেন,যাঁরা পবিত্র নাম “আহমদ”। শিশুর জন্মের পর নাম রাখা হয়। কিন’নবীজী পৃথিবীতে আবির্ভূত হওয়ার লক্ষ লক্ষ বছর আগে স্বয়ং আল্লাহ্ প্রিয় নবীর নাম রেখে দিয়েছেন। সুতরাং আমরা শুধু মিল্লাতে ইসলামীয়া ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়ালকে কেন্দ্র করে ঈদ ই মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন করি। কিন’হাকিকতে লক্ষ লখ্ষ বছর আগ থেকে সকল নবী রাসুলগন আমাদের প্রিয়নবীর জন্মের আনন্দ করেছেন। এই কারণে আমরা বলতে পারি যে,মিলাদুন্নবী (দঃ) নবী রাসুলদের সুন্নাত। এক শ্রেণীর নামধারী আলেম এহেন মোবারক কাজকে বেদআত বলে আখ্যায়িত করতে একটু লজ্জা বোধ করে না। আল্লঅহ পাক ঘোষনা দিয়েছেন ঃ যাদেরকে আমি কিতাব দান করেছি তারা এই নবীকে (হুজুর পাকা দঃ) এমমনিভাবে চিনে,যেমনিভাবে মানুষ তার পুত্র-সনত্মানদের চিনে। এই আয়াত দ্বারা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে,ঈদের আনন্দের ন্যায় নবীজির আগমান তথা জন্মের সুসংবাদ সারা বিশ্বের আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে ছিল। তাই এই দৃষ্টিকোন থেকে আমরা বলতৈ পারি ঈদ ই মিলাদুন্নবী সমগ্র আলমের চেতনার উৎস। এহেন আনন্দ উৎসবের দিনে যাদের ভাল লাগেনা,তারা মিল্লাতে ইসলামীয়ার অনত্মর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হতে পারে না। নবী পাক সাল।রঅল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম উপলক্ষে যে যারা বিশ্বে আনন্দের জোয়ার নেমেছিল,সে সম্পর্কে নিম্নে কিছু উদ্ধুতি প্রদান করছি। হযরত ঈসা (আঃ) বলেনঃ বা সত্যেল চেতনা বলাহয়েছে আমাদের প্রিয়নবীকে। ঈসা (আঃ) বলেনঃ যখন সেই সত্যের চেতনা আসবেন তখন তিনি তোমাদেরকে সকল সত্যের দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। . শ্রদ্ধার সাথে শ্রমন কর শুভ সংবাদ নরশংসা (মোহাম্মদ (দঃ)) প্রশংসিত হবেন। মুসা (আঃ) বলেনঃ. অর্থাৎ মোহাম্মদ (দঃ) যাবালে নূরের হেরা গুহায় কোরআন প্রাপ্ত হবেন মক্কায় এবং তিনি দশ হাজার সাধু উম্মত (ছাহাবী) নিয়ে মক্কা জয় করবেন। মন্ত্র নামক প্রাচীণ ধর্ম গ্রনে’উল্লেখিত রয়েছে ঃ . অর্থাৎ ঃ তিনিই হবেন মানবাজাতির শ্রেষ্ঠ এবং সমগ্র মানবকুলের হেদায়াত দানকারী এবং তিনিই সারা বিশ্বে শানিত্ম ছড়িয়ে দিবেন। শিখ ধর্মের প্রবর্তক শুরু নানক বলেনঃ অর্থাৎঃ হে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ! তোমার আল্লঅহর কালেমা তথা ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পাঠ কর এবং উহার সাথে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম যুক্ত কর। তিনি আর ও বলেনঃ অর্থাৎঃ- মুসলামনরা নবীজিকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করার দরুন কষ্ট ভোগ করে আসছে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বৌদ্ধের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তাঁর একনিষ্ঠ শিষ্য ও অনুরুক্ত আনন্দ কান্নায় ভেংগে পড়েন। তখন গৌতম বৌদ্ধ তাঁকে শানত্মনা প্রদান করেন এবং মহানবীর (দঃ) শুভাগমনের সুসংবাদ প্রদান করেন। তখন আনন্দ আবেদন জানান,হে গুরু! আমি সেই মহা মানবকে কি করে চিনব? গৌতম বৌদ্ধ উত্তর দেনঃ অর্থাৎঃ হে আনন্দ! আমিই একমাত্র এবং শেষ বুদ্ধ নই যিনি পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন। যথা সময়ে আর একজন বুদ্ধ পৃথিবীতে আগমন করবেন যার নাম হবে মৈত্র। মৈত্র মানে সমগ্র জাতির প্রতি দয়া স্বরূপ। কোরআন শরীফেও অনুরূপ বানী এসেছেঃ অর্থাৎঃ হে নবী (দঃ)! আমি সমগ্র আলমের জন্য আপনাকে রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি। তাই নিঃসন্দেহে সমগ্র আলমের জন্য ঈদ ই মিলাদুন্নবী (দঃ) চেতনার উৎস;মুসলিম মিল্লাতের জন্য তো বটেই। তাই আসুন! ঈদ-ই-মিল্লাদুন্নবীর খুশির দিনে আমরা সবাই কোরআনে পাকের আদেশ তথা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের অঅদেশ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর হাবিবের আগমনের জন্য আনন্দ ও শুকরিয়াহ্ আদায় করে দুনিয়া ও আখেরাতে সরফরাজী লঅভ করি। আল্লঅহ পাকের আদেশঃ অর্থাৎ হে নবী আপনি বলে দিন! তারা যেন আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্ত হয়ে বেশি করে আনন্দ করে। আল্লাহর হাবিবকে আমাদের নবী হিসেবে প্রাপ্তির চেয়ে বেশি অনুগ্রহ ও রহমত আর কি হতে পারে? যারা এ ব্যাপারে অজ্ঞ ও যাদের এ ব্যাপারে চেতনার উদয় হয় না তাদেরকে আল্লাহ্ পাক জ্ঞান লাভ করার তৌফিক দান করুন।
কোন বিষয়ের গুরুত্ব ও মর্যাদা উপলব্দি করতে হলে উক্ত বিষয় সম্পর্কে চেতনা থাকা বাঞ্চনীয়। চেতনা বিহীন কোন বিষয় অন-ঃসারশূণ্য। যেমন ধরা যাক আমাদের দেশের স্বাধীনতা বিষয় সম্পর্কে চেতনা। স্বাধীনতার মর্যাদা,গুরুত্ব ও স্বাধীনতা অর্জণ করতে যে অমানবিক কষ্ট এবং নির্যাতন আমাদেরকে সহ্য করতে হয়েছে সে সম্পর্কে চেতনা না থাকলে স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও প্রেরণা জাগবেনা। আর এর উৎস সম্পর্কে সু-স্পষ্ট ধারণা থাকলে চেতনা হবে অত্যন- প্রখর। আল্লাহপাক এরশাদ ফরমানঃ আল্লাহর নিকট একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস’া হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম ধর্মের অনুসারীগন হচ্ছেন মুসলমান। এই মুসলিম মিল্লাতের চেতনা হবে তত প্রখর ধর্ম-সম্পর্কে চেতনা হবে যত সুস্পষ্ট। প্রকৃতপক্ষে ইসলামের বাস-ব ও জীবন- রূপ হচ্ছেন আমাদের প্রিয়নবী মোহাম্মদুর রাসুল্লাহ (দঃ)। ধর্ম তথা কোরআন-হাদীস,নামাজ,রোযা,ধর্মের যাবতীয় বিধি-বিধান ইত্যাদির মূল হচ্ছেন আমাদের প্রিয়নবী মোহাদুধুর রাসুলুল্লাহ (দঃ)। তিনি যদি ধরা ধামে না আসতেন,তাহলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কোন রূপ চিনত্মা চেতনার কল্পনাও করা যেতনা। নবিজীর আগমন সম্পর্কে আল্লাহ পাক হাদীসে কুদসীতে ফরমানঃ “লাওলাকা লামা খালাকতুল আফলাক”। অর্থাৎ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনাকে সৃষ্টি না করলে আমি কিছুই সৃষ্টি করতাম না।
সমগ্র জাহান এবং বিশেষ করে আরব জাহান ছিল ঘোর তমাসাচ্ছন্ন। জাহেরা ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে ধরাধামে নবীজীর (দঃ) আগমনের পূর্বে সমগ্র পৃথিবীতে এক নৈরাজ্যকর অবস’া বিরাজ করছিল। ঐতিহাসিক আমীর আলী যথার্থই বলেছেনঃ পৃথিবীর ইতিহাসে পরিত্রানকারীর আর্বিভাবের এমন উপযুক্ত ও পরিপক্ক সময় আর কখনও অনুভূত হয়নি। অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের মানুষ একজন পরিত্রানকারীর আবির্ভাবের জন্য হাহাকার ও আর্তনাদ করছিল। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নূরে মোহাম্মদীকে (দঃ) মানব ছুরতে ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিত্রানকারী রুপে প্রেরণ করেন। তাই ইসলামের প্রতিটি খুটি-নাটি বিষয় তথা প্রতিটি বিধান সম্পর্কে চেতনা পাওয়ার একমাত্র উৎস হচ্ছেন হুজুর পাক (দঃ) আল্লাহ পাক বলেনঃ আল্লাহ মুসলিম মিল্লাতের উপর বড়ই মেহেরবানী করেছেন যে তাদের কাছে স্বীয় নবী মোহাম্মদুর রাসুরুল্লাহ (দঃ) কে পাঠিয়েছেন। ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আনন্দ। আর ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী শব্দের অর্থ নবী পাক (দঃ) এর বেলাদত উপলক্ষে আনন্দ। আমরা অনেকেই তাহকিক করিনা যে মুসলিম মিল্লাত কোন ঈদ বা আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পেতেন না,যদি নবীজিকে (সঃ) আল্লাহ পাক দুনিয়াতে না প্রেরণ করতেন। তাই ঈদ-ই-মিলাদুবীই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ট ঈদ। এই ঈদ ই মিল্লাদুন্নবী থেকেই আমরা সকল উৎসবের চেতনা খুজে পাই। আমরা নামাজ পড়ি আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ মোতাবেক। বলতে গেলে নামাজ বা সালাতের খুটি নাটি প্রতিটি বিষয়ই হুজুর পুরনুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসৃত সুন্নাত বা আদর্শের অনুসরন মাত্র। কাজেই নামাজের মূল প্রেরণা বা চেতনার উৎস হচ্চেন আমাদের প্রিয় নবীজি (দঃ)। এমনিভাবে রোজা,হজ্জ,যাকাত,শরীয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারেফাত তথা পরিপূর্ণ ইসলামের সামগ্রিক চেতনার একমাত্র উৎস হচ্ছেন হযরত আহমদ মুজতবা মোহাম্মদ মোসত্মফা (দঃ)। নবীজির তিরোধানের পর যারা পৃথিবীতে স্মরনীয় বরনীয় হয়েছেন মুসলামানদের মধ্যে,তারা তাদের রিয়াজত ও ইবাতের চেতনা পেয়েছেন নবীজির (দঃ) বাসত্মব জীবন থেকে। শুধু তাই নয়,সমগ্র বিশ্বে আল্লাহ্ পাক যাদেরকে নবী রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন তারাও আমাদের প্রিয় নবীর জন্ম বা আবির্ভাব সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছেন নিজ নিজ উম্মতের কাছে। হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের বাণী পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত হয়েছে। আমি এমন রাসুলের শুভ সংবাদদাতা,যিনি আমার পর তাশরীফ আনয়ন করবেন,যাঁরা পবিত্র নাম “আহমদ”। শিশুর জন্মের পর নাম রাখা হয়। কিন’নবীজী পৃথিবীতে আবির্ভূত হওয়ার লক্ষ লক্ষ বছর আগে স্বয়ং আল্লাহ্ প্রিয় নবীর নাম রেখে দিয়েছেন। সুতরাং আমরা শুধু মিল্লাতে ইসলামীয়া ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়ালকে কেন্দ্র করে ঈদ ই মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন করি। কিন’হাকিকতে লক্ষ লখ্ষ বছর আগ থেকে সকল নবী রাসুলগন আমাদের প্রিয়নবীর জন্মের আনন্দ করেছেন। এই কারণে আমরা বলতে পারি যে,মিলাদুন্নবী (দঃ) নবী রাসুলদের সুন্নাত। এক শ্রেণীর নামধারী আলেম এহেন মোবারক কাজকে বেদআত বলে আখ্যায়িত করতে একটু লজ্জা বোধ করে না। আল্লঅহ পাক ঘোষনা দিয়েছেন ঃ যাদেরকে আমি কিতাব দান করেছি তারা এই নবীকে (হুজুর পাকা দঃ) এমমনিভাবে চিনে,যেমনিভাবে মানুষ তার পুত্র-সনত্মানদের চিনে। এই আয়াত দ্বারা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে,ঈদের আনন্দের ন্যায় নবীজির আগমান তথা জন্মের সুসংবাদ সারা বিশ্বের আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে ছিল। তাই এই দৃষ্টিকোন থেকে আমরা বলতৈ পারি ঈদ ই মিলাদুন্নবী সমগ্র আলমের চেতনার উৎস। এহেন আনন্দ উৎসবের দিনে যাদের ভাল লাগেনা,তারা মিল্লাতে ইসলামীয়ার অনত্মর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হতে পারে না। নবী পাক সাল।রঅল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম উপলক্ষে যে যারা বিশ্বে আনন্দের জোয়ার নেমেছিল,সে সম্পর্কে নিম্নে কিছু উদ্ধুতি প্রদান করছি। হযরত ঈসা (আঃ) বলেনঃ বা সত্যেল চেতনা বলাহয়েছে আমাদের প্রিয়নবীকে। ঈসা (আঃ) বলেনঃ যখন সেই সত্যের চেতনা আসবেন তখন তিনি তোমাদেরকে সকল সত্যের দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। . শ্রদ্ধার সাথে শ্রমন কর শুভ সংবাদ নরশংসা (মোহাম্মদ (দঃ)) প্রশংসিত হবেন। মুসা (আঃ) বলেনঃ. অর্থাৎ মোহাম্মদ (দঃ) যাবালে নূরের হেরা গুহায় কোরআন প্রাপ্ত হবেন মক্কায় এবং তিনি দশ হাজার সাধু উম্মত (ছাহাবী) নিয়ে মক্কা জয় করবেন। মন্ত্র নামক প্রাচীণ ধর্ম গ্রনে’উল্লেখিত রয়েছে ঃ . অর্থাৎ ঃ তিনিই হবেন মানবাজাতির শ্রেষ্ঠ এবং সমগ্র মানবকুলের হেদায়াত দানকারী এবং তিনিই সারা বিশ্বে শানিত্ম ছড়িয়ে দিবেন। শিখ ধর্মের প্রবর্তক শুরু নানক বলেনঃ অর্থাৎঃ হে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ! তোমার আল্লঅহর কালেমা তথা ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পাঠ কর এবং উহার সাথে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম যুক্ত কর। তিনি আর ও বলেনঃ অর্থাৎঃ- মুসলামনরা নবীজিকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করার দরুন কষ্ট ভোগ করে আসছে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বৌদ্ধের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তাঁর একনিষ্ঠ শিষ্য ও অনুরুক্ত আনন্দ কান্নায় ভেংগে পড়েন। তখন গৌতম বৌদ্ধ তাঁকে শানত্মনা প্রদান করেন এবং মহানবীর (দঃ) শুভাগমনের সুসংবাদ প্রদান করেন। তখন আনন্দ আবেদন জানান,হে গুরু! আমি সেই মহা মানবকে কি করে চিনব? গৌতম বৌদ্ধ উত্তর দেনঃ অর্থাৎঃ হে আনন্দ! আমিই একমাত্র এবং শেষ বুদ্ধ নই যিনি পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন। যথা সময়ে আর একজন বুদ্ধ পৃথিবীতে আগমন করবেন যার নাম হবে মৈত্র। মৈত্র মানে সমগ্র জাতির প্রতি দয়া স্বরূপ। কোরআন শরীফেও অনুরূপ বানী এসেছেঃ অর্থাৎঃ হে নবী (দঃ)! আমি সমগ্র আলমের জন্য আপনাকে রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি। তাই নিঃসন্দেহে সমগ্র আলমের জন্য ঈদ ই মিলাদুন্নবী (দঃ) চেতনার উৎস;মুসলিম মিল্লাতের জন্য তো বটেই। তাই আসুন! ঈদ-ই-মিল্লাদুন্নবীর খুশির দিনে আমরা সবাই কোরআনে পাকের আদেশ তথা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের অঅদেশ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর হাবিবের আগমনের জন্য আনন্দ ও শুকরিয়াহ্ আদায় করে দুনিয়া ও আখেরাতে সরফরাজী লঅভ করি। আল্লঅহ পাকের আদেশঃ অর্থাৎ হে নবী আপনি বলে দিন! তারা যেন আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্ত হয়ে বেশি করে আনন্দ করে। আল্লাহর হাবিবকে আমাদের নবী হিসেবে প্রাপ্তির চেয়ে বেশি অনুগ্রহ ও রহমত আর কি হতে পারে? যারা এ ব্যাপারে অজ্ঞ ও যাদের এ ব্যাপারে চেতনার উদয় হয় না তাদেরকে আল্লাহ্ পাক জ্ঞান লাভ করার তৌফিক দান করুন।
No comments:
Post a Comment