Friday, July 1, 2016

এজিদপক্ষীয় মোল্লাদের দ্বারা সমাজপরিচালিত

এজিদপক্ষীয় মোল্লাদের দ্বারা সমাজপরিচালিত হয়ে ক্ষয়িষ্ণু মুসলিম জাতি অন্যান্য সমস্ত জাতির পিছনে পড়ে গেছে ।
নুরনবী (সাঃ) কেসাধারন মানুষ বানিয়েছে । একদিকে তাঁর বাণীর অমর্যাদা ও অশ্রদ্ধা করাহয়েছে, অন্যদিকে তাদেরমুখে রয়েছে রসূলের নামে প্রাণপাত করার শ্লোগান । হাদিস মোতাবেক বৈষয়িক ওআধ্মাত্নিক জগতে সেই উচ্চতম মর্যাদায় আমাদের উত্থান কোথায় ? গোমরাহিতে নিমজ্জিত সমাজে জ্ঞানীগণ নির্ভয়েনিঃশঙ্কচিত্তে কথা বলতে পারে না । যদি কেউ কিছু বলেন বা প্রকাশ করেন বাইরেরকাঠামো অনুসরণকারীরা, তা বুঝতে পারে না, ধর্ম গেল, ধর্ম গেল বলে মোল্লারা হৈ চৈ শুরু করেন। এই মুসলিম সমাজকে কাজী নজরুল ইসলাম ধমক দিয়ে লিখেছেন," কিয়ামতে তারা ফলপাবে গিয়ে ? ঝুড়ি ঝুড়ি পাবে হুর পরী ? পরীর ভোগের শরীরই ওদের দেখি শুনি আরহেসে 'মরি' তারা যদি মরে বেহেশতে যায় সেই বেহেশত মজারঠাই ; এই সব পশু রহিবে যথা সে চিড়িয়াখানার তুলনা নাই । আসিল বেহেশতইনচার্জ ছুটে বলে পরীদের, 'করিলে কি ? ও যে বেহেস্তি ? পরীর দল বলে ঐ জংলীটা, ছি, ছি, ছি । এখনই উহারে পাঠাও আবার পৃথিবীতে, সেথা সভ্য হোক তারপর যেন ফিরে আসে এইহুর পরীদের স্বর্গলোকে' হাসিছ বন্ধু ? হাস, হাস, আরও বেশী হাসি আছে, যখন দেখিবে বেহেশত বলে ওদের কোথায় আনিয়াছ । " কবিআরো বলেছেন- " বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখনও বসে-
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি ফেকা ওহাদিস চষে ; গুণতিতে মোরা বাড়িয়ে চলেছি গরু ছাগলের মতো-রীশ- ই বুলন্দ, শেরওয়ানী, চোগা, তসবী টুপি ছাড়া- পড়ে নাক কিছু মুসলিম গাছধরে দাও নাড়া । " অন্যত্র কবি বলেছেন, " ইসলাম তুমি দিয়ে কবর- মুসলিম বলে করফখর- মোনাফেক তুমি সেরা বে-দ্বীন নামাজ রোযার শুধু ভড়ং- ইয়া উয়া পড়েসেজেছ সং জাব্বা, জোব্বা দিয়ে ধোঁকা দিবি আল্লাহ্‌রে ওরে বোকা মনের পশুরেকর জবাই, পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই । " আবার কবি বলেছেন- " গোঁড়ামি ধর্মনয়- এই গোঁড়াদের সর্বশাস্ত্রে শয়তানী চেলা কয়- গাধার মতন বইছে ইহারাশাস্ত্রে কোরান বেদ নাই, পরমত- সহিষ্ণুতা সে কভু নাহি ধার্মিক । " তারপর আরওবলা হয়েছে, যার হৃদয়ে আল্লাহর নূর স্থান লাভ করেছে তার মন বহু বিষয়ের মধ্যেদৌড়াদৌড়ি করবে না । পাগড়ি আর পোশাকের মধ্যে কখনোই পাওয়া যাবে না যদি নাহৃদয়ের মধ্যে সেই নূর মজুত থাকে । ফেকা, জুববা আর পাগড়ি পরিধানেই ধর্মেরবিষয়টির পরিচয় লাভ হয় না, যদি না অন্তরে আল্লাহর নুরের জ্যোতির বিকাশ লাভ করে ।যা বাস্তব, তা সত্য, আর যা সত্য তা ধর্ম কিন্তু এ জাতি বাস্তব সত্য চায় নাঅনুমানে সত্য লাভ করতে চায় । মাদরাসা ভাইদের অনুমানে সত্য লাভ করতেইহবে যে, খোদা সত্য, রসূল সত্য ও কোরান সত্য । যদিও কোরানে অনুমানে এরূপবিশ্বাসীদেরকে নির্বোধ বলা হয়েছে বারবার । আরো বলা হয়েছে, অনুমানে সত্য লাভ হয় না সত্যেরপরিবর্তে অনুমান কখনও কাজে লাগে না । লিও টলস্টয়বলেছেন- " ভগবানকে বিশ্বাস করতে দুঃসাহসের প্রয়োজন । খোদাকে বিশ্বাস করতে শুধুসাহসে কুলাবে না, দুঃসাহস লাগবে । খোদাকে এবং খোদার বাণী বিশ্বাস করতে কিযে কঠিন যারা বিশ্বাস করতে সক্ষম হয়েছে, শুধু তারাই জানেন । " জনৈক উর্দুকবি বলেছেন- লবজে আনাল হক কিসনে কাহা, ফতুয়া ছুলি কিসনে দিয়া, ইয়ে ভেদ উসিকা ও জানে জো দরপে গরদানকাটাই হ্যায় । অনুমানে সকলেই খোদাবিশ্বাসী কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ নয়,অথচ আল্লাহ বলেন, জেনেশুনে যারা বিশ্বাস বা একিন করেতারা মোমিন আর অনুমানে যারা বিশ্বাসী তারা নির্বোধ । ইন্দ্রিয়সমুহেরআত্মপ্রত্যয়জনিত বাস্তব উপলব্ধির নাম একিন বা বিশ্বাস । শুধু বাহ্যিকআচার-অনুষ্ঠান পালন ইসলাম নয় । ইসলাম বাপ-দাদার ধর্ম নয় । ইসলাম অর্থমৃত্যুঞ্জয়, যে মৃত্যুকে জয় করেছে, সায়াতকে জয় করেছে , এই সৃষ্টিতে মৃত্যুর চেয়ে অশান্তি আরকিছুই নয় । এক জীবন ভোগ করে মরে যাওয়া আর যেদিন কেয়ামত হবে এঅনিশ্চিত বিশ্বাস ইসলাম নয় । জীবাত্মার উত্থান-পতনের
পরিবর্তনশীল জগত থেকে মানবাত্মারঅপরিবর্তনীয় অমর চিরজীবন লাভই ইসলাম । আইনস্টাইন বলেছেন, " ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান খোঁড়া বিজ্ঞান, আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ ধর্ম । মোহাম্মদ, ঈসা, মুসা, ইবরাহীম প্রমুখ নবীগণকে, ওলি- আউলিয়াকে কৃষ্ণ, বুদ্ধ, মুনি- ঋষি , সাধু পুরুষকে পৃথক পৃথক চিন্তা করা, তারা পূর্বে ছিলেন এখন নেই, এরূপ মনে করা উচিৎ নয় । তাঁরা পবিত্র আত্মার মানুষ আর এ বিশ্বাস যদি করা হয়, পবিত্র আত্মা মাত্র এক-অখন্ড এ জ্ঞান যদি থাকে, বর্তমানে যারা পবিত্র আত্মার মানুষতারাও তো এক-অখন্ড । এদের মধ্যেই তো মোহাম্মদ, ঈসা, মুসা, ইবরাহীম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ বিদ্যমান পবিত্র আত্মা বিশ্বব্যাপীঅখণ্ড সত্তা । " বিভিন্ন ধর্মের মোল্লারা যার যার নবী ধর্ম প্রবর্তককেআলাদা করে ধর্মের ব্যবসা করেছে । সাইন বোর্ড মানুষকে ক্ষণিকের আনন্দ দেয়সত্যি কিন্তু সত্যের দেশে নিয়ে যেতে পারে না ।
বাস্তবিকইঅন্যান্য জাতির কাছে ইসলাম কিছু আছে, মুসলমান জাতির মধ্যে যারা ইসলাম ইসলাম করে না তাদের মধ্যে কিছু আছে;কিন্তু যারা ইসলাম ইসলাম করে ঢাক- ঢোল পিটিয়েবুলি আওড়াচ্ছে তাদের কাছে মোটেই ইসলাম নেই । কারন ইসলাম সার্বিকমানবমুক্তির একটি বিপ্লবী ধর্ম । ব্যবহারিক শরিয়তের দিকদিয়ে বিভিন্ন প্রকার গুরুতর পার্থক্য পরিবেশ থাকা সত্বেও কোরানকোনো মানুষকেই আল্লাহর রহমত থেকে মাহরুম, খারিজ, নাকচ ঘোষনা করেনি, কেবল শর্ত আছে- 'যারা ইমান এনেছে (মুসলিম) আর যারা ইহুদি, খ্রিস্টান, সাবেয়ীন ( সেই যুগের সূর্য- চাঁদ তারা উপাসক কিংবা যে কোনো জমানার পৌত্তলিক ) তাদের যারাই এক আল্লাহবিশ্বাস করে আখেরাত ( পাপ-পুন্য-দোজখ-বেহেশ্ত ) মানেন। ফলে সৎকাজ করেন, তাদের প্রভুর তরফ থেকে তাদের (ঐ পুন্য কাজেরপ্রতিদান ) পুরস্কার রয়েছে, তাদের কোনো ভয় নেই আর তারা (পরকালে ) কষ্ট ক্লেশওপাবে না " । সুরা বাক্বারা, আয়াত-৬২, সুরা আলে ইমরান, আয়াত-৬৩-১০৯ । কেবল ধর্মের শ্রেষ্ঠতম সুফল আল্লাহর বন্ধুত্ব লাভ (বেলায়েত ) সেই বুজুর্গি আর আখের ইসলাম ছাড়া আদি বাপ্রাচীন ইসলামে তা সম্ভবপর নয়, কারন ধর্মের স্রষ্টা আল্লাহ নবীর পর নবী পাঠিয়ে এখানেই পূর্ণফল পাবার মতো
খাঁটি তরিকত, হাকিকত, মারেফত দিয়ে ধর্মকে চিরকালের জন্য খাতেমা-বিল খায়ের করে দিয়েছেন- আলে ইমরান-১৮। তাই কাজীনজরুল হেদায়েত করে মানুষকে বলেছেন- " কেবল মুসলমানের লাগিয়ে আসেনিকোইসলাম, সত্য যে চায় আল্লায় মানে মুসলিম তারই নাম।" । মাওলানা রুমী বলেছেন- " কাফেরের আমল বানরের ন্যায় তাই বলে বানর কখনোমানুষ হয় না । রমনীর ক্ষেত্রে বীর্য বপনের লক্ষ্য সন্তান পাওয়া, কিন্তু স্বপ্নে রমনীর ক্ষেত্রে বীর্যবপন করলে সন্তান তো পাওয়া যায়ই না বরং কাপড়টি নষ্ট হয় । খোদাকে দেখা ভিন্নলক্ষ্য দর্শনবিহীন নামাজ ফলহীন, অর্থহীন বরং ক্ষতিকর । 'মওলা আলী' বলেছেন- " মানুষ যতক্ষণ অন্যায় অসত্যের বন্ধনে থাকেততক্ষণই অদৃশ্য খোদার এবাদত করে এবং রসূলগণের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে ।" এজিদি মোল্লাতন্ত্রে নামাজ পড়ো, রোজা করো ও হজের তাগিদ রয়েছে কিন্তু এরদর্শন নেই, আল্লাহ আল্লাহ নাম জপো, লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু জপো, আলহামদুলিল্লাহ জপো, সুবহানাল্লাহ জপো, নামের মালা জপনা আছে। কিন্তু বাস্তব উপলব্ধিনেই । মওলানা রুমী আরও বলেছেন " ওয়াক্তিয়া নামাজ, অন্ধের হাতের লাঠির স্বরূপ, অন্ধ যেমন লাঠি ছাড়া চলতে পারে না ; যারা ওয়াক্তিয়া নামাজ ছাড়া কোনো নামাজ বুঝে না তারা
ওয়াক্তিয়া নামাজ ছাড়া চলতে পারে না ।কিন্তু যার চোখ আছে সে লাঠি ছাড়াই চলতে পারে । অন্ধের লাঠির দ্বারাঅন্ধভাবে জ্ঞানী লোকের হয়রানি বহু হয়েছে কিন্তু অন্ধ এ লাঠি ছাড়েনি । লজ্জাজনকব্যাপার যে, অন্ধের লাঠি ওয়াক্তিয়া নামাজই মুসলিম বিশ্বের নামাজ নামেএকমাত্র নামাজ । আধ্যাত্নিক জগতে আত্মার বিচার দ্বারা সৎ স্বভাব গঠনই আসল নামাজ,সমাজ এটা ভুলে গেছে । জাঁদরেল লেখক ডাঃ জাহাঙ্গীর বা-ইমান আল সুরেশ্বরী বলেছেন- " হিংসার বীজ হতেযে বিষময় জঘন্য ফলের জন্ম হয়, তার অনেক দৃষ্টান্ত প্রায় সব কটি ধর্মের মাধ্যমে কমবেশি পাওয়া যায় । কেউ বলতে পারবে না যে আমরা তুলসী পাতা ধোয়া একদমপবিত্র জল, যার দরুন মানবতার মহামিলনের জলকে আমরা সবাই ঘোলা করে ফেলেছি । ধর্মের এত সাইনবোর্ডের গুঁতাগুঁতির ফলে একজন সত্যসন্ধানী মানুষের পক্ষে সত্য উদ্ধার করতে খুব কঠিন সমস্যায় পড়তে হয় । আপনি যে কোনো ধর্মের বই পড়ুন দেখবেন সত্যের চেয়ে সাইনবোর্ডের গান বেশি গাওয়া হয়েছে । এই বাস্তবনাজুক পরিস্থিতি ও পরিবেশের দরুন ধর্মের দামটি দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং নাস্তিক্যভাব আসার সুযোগ পাচ্ছে । আমরা সবাই খাল কেটে যাই কিন্তু খালদিয়ে কুমির আসবে সেটার কথা একবারও চিন্তা করি না " ।
" মুরগির ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি লুকিয়ে আছে । যারা ডিমেরমধ্যে বাচ্চা থাকে না বলে বিশ্বাস করে তারা ভয়ঙ্কর, তাদের থেকে সাবধান । কারন তারা ডিমআলাদা এবং বাচ্চা আলাদা করে ফেলে এবং এই আলদা করাটাই হলো শেরক। তারা জানে না যে, ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি লুকিয়ে আছে এবং ডিমের একটিবিশেষ পরিবেশ ও পরিস্থিতির সময় হলেই ডিমটি ফেটে যায় এবং ফেটে যাওয়া ডিম হতেবেরিয়ে পড়ে একটি বাচ্চা । সুতরাং ডিম এবং বাচ্চার সহাবস্থান । এইসহাবস্থানটিকে যারা অস্বীকার করে বাচ্চাটি আকাশ হতে নেমে আসবে বলে বিশ্বাস করেতাদের কথা এবং আকিদা যত সুন্দর ও ভদ্রই হোক না কেন আসলে তারা মোটেও তৌহিদবাদীনয় । যদিও তারাই বড় গলায় নিজেদেরকে তৌহিদবাদী বলে ঘোষনা করে এবং পরক্ষনেযারা ডিমের মধ্যেই বাচ্চাটি আছে বলে বিশ্বাস করছে তাদের উপর শেরক বেদাতেরমিথ্যা বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বড় একটা কাজ করলাম বলে ভাবছে । এরকম চরিত্রেরতৌহিদবাদীদের থেকে বড় বড় অলি-দরবেশ-মুনি-ঋষিরা বারবার সাবধানথাকতে উপদেশ দিয়েছেন , কোরান এ রকম তৌহিদবাদীদের নামাজ-রোজাকে লোক দেখানোনামাজ রোজা বলে সাবধান করে দিয়েছেন ।" যারা ডিমকে শুধু উপাদেয় খাবার হিসেবে
জানে তারা সাধারন মানুষ নাস । যারা ডিমে তা দিয়ে কিভাবে তাড়াতাড়ি বাচ্চা ফোটানো যায় এইচিন্তা-ভাবনায় মশগুল তারা হলো আমানু । যারা ডিম থেকেবাচ্চা ফুটিয়ে ফেলেছেন এবং কিভাবে তার পালন করতে হবে, বড় করে তুলতে হবে
এই গবেষণায় যারা ব্যাস্ত তারা হলেন মোমিন অর্থাৎ সত্যদ্রষ্টা । কোরানে অংকিত জীবনদর্শনপুনর্জন্মবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে । এ কথা শুনেমুসলিম ভাইদের আঁতকে উঠার কোনো কারন নেই । পুনর্জন্মবাদের কথা কোরানের ভাষাচাতুর্যে
প্রচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে । ( এই সম্পর্কে জানতে হলে সুফি সদর উদ্দীন আহ্‌মদ চিশতী রচিত 'কোরান দর্শন' প্রথম হতে তৃতীয় খন্ড পড়ুন ) কোরানেরপাতায় পাতায় জন্মান্তরবাদ বা রূপান্তর বাদ রয়েছে তা জেনে নিন

No comments:

Post a Comment