Friday, July 1, 2016

আদম সৃস্টি রহস্য বা ভেদ কথা

আদম সৃস্টি রহস্য বা ভেদ কথা
সৃষ্টিতত্ত্ব সম্বন্ধে কোরানে অসংখ্যবার অসংখ্যভাবে বর্ণিত হয়েছে। এর প্রত্যেকটি সূত্রের মূল বিষয়বস্তু ‘বিবর্তনবাদ;’ একে প্রচলিত শরিয়ত তত্ত্বে মায়ের পেটের পর্যায়ক্রমবাদ বলে সীমাবদ্ধ করেছে। এর বাইরে ভাবতে নারাজ, তার কারণ: হাদিছে লেখা ‘আল্লাহ কুমারের মতো আজরাঈল কর্তৃক মাটি সংগ্রহ করে পুতুল করে ফুক দিয়ে আদম সৃষ্টির বিশ্বাস মিথ্যা প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে!
মায়ের পেটে মাত্র ৮/১০ মাসের ‘পর্যায়ক্রম’ আদিকাল থেকে বিশ্বের একটি মানুষও অস্বীকার করেনি বা অজানা কোনো বিষয় নয়; উপরন্তু এই সাময়িক পর্যায়ক্রমটি বিভিন্ন আয়াতে পূর্ণ ব্যাখ্যাসহ বর্ণিত আছে। তাদের ভাবা উচিত যে, ঐ রক্ত, বীর্য ইত্যাদিরও আগে/পিছে জটিল ও বহুমুখী সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পর্যায়ক্রম রয়েছে! ‘পর্যায়ক্রম’-এর সহজ-সরল ভাষাই ‘বিবর্তন বা জন্মান্তরবাদ।’ বিবর্তনবাদ যে কোনোভাবেই গবেষণা করলে মহাজ্ঞানী (আল্লামা) চার্লস ডারউইনের ‘ইভলিউশন থিওরী’ সম্পূর্ণ কোরানভিত্তিক যা ‘ বিবর্তনবাদ’ অধ্যায় সুত্রসহ আলোচিত হয়েছে।
মূলত ডারউইন উল্লিখিত কোরানের আয়াতেরই সঠিক ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন মাত্র। হয়তো-বা তিনি জীবনে কখনও কোরান বা ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়েও দেখেননি। কিন্তু রাছুল যেখান থেকে কোরান এনেছেন ঠিক সেখান থেকেই তিনি ‘বিবর্তনের সূত্র ও ব্যাখ্যা এনেছেন।
পুনর্বার লক্ষণীয়
মানুষ জীব-জন্তু, পশু-পক্ষির (উদ্ভিদ) মতোই একটি উম্মত (৬: আনআম-৩৮) খ. সবকিছুই মাটি থেকে সৃষ্টি (১১: ৬১; ১৮: ৩৭; ২২: ৫, ৬) গ. সকল জীব-জন্তু পানি থেকে সৃষ্টি (২৪: নূর-৪৫) ঘ. একটি মাত্র জীবন কোষ থেকে সৃষ্টি (৬: আনআম- ৯৮)।
অর্থাৎ শুধুমাত্র বানরই নয়! কুকুর, শুকরসহ সকল গেজা (যা গজায়/উদ্ভিদ), বয়েজা (ডিম থেকে জন্ম) অয়েজা (ডিম-বিহীন জন্ম), সবকিছুই সৃষ্টির উপাদান এক এবং একক জীবনকোষ এবং আবর্তন বিবর্তন চক্রে মানুষ তাদেরই জ্ঞাতি-গোষ্ঠির পরিশোধিত/ বিবর্তিত জাতি; এটাই বর্ণিত কোরান সমর্থিত চিরসত্য ‘ইভলিউসন থিওরি অব ডারউইন।’
জীবের দৈহিক বিবর্তন, পরিবর্তন কিভাবে হয়! এক জাত থেকে অন্য জাতে যেতে কত হাজার বা কোটি বছর লাগে তা ক্ষণজন্মা মানুষের ইতিহাস বা স্মৃতির নাগালের বাইরে বলেই তা বোধগম্য হওয়া সম্ভব নয়। এটা দুধ থেকে ঘি, মাটি থেকে কলসি বা সোনা, হীরা-পাথর হওয়ার মতো সময়কাল নয়। পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে যে, ‘কালের বিবর্তন চক্রে মানুষের এমন একটি অবস্থানকাল ছিল, যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না [৭৬: দাহর-১]।
অর্থাৎ স্থান ও কালের সংঘর্ষে জীবনের আবর্তন-বিবর্তন (জন্মান্তরবাদ) চক্রে মনুষ্য দেহের আজ উল্লেখযোগ্য অবস্থান। অর্থাৎ হঠাৎ করে বা দৈবক্রমে মানুষের বর্তমান অবস্থা হয়নি। তবে কখন থেকে মনুষ্যদেহের সূচনা অতঃপর বর্তমান অবস্থা ধারণ করেছে তা ক্ষণজন্মা মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব নয়; তার অন্যতম প্রধান কারণ সৃষ্টির শুরু-শেষহীন বিবর্তন চক্র।
সৃষ্টি গতিশীল, আবর্তন-বিবর্তনশীল প্রক্রিয়ায় মনুষ্যদেহ ধারণই শেষ ধাপ। এই চক্রে পৌঁছতে ৫/৭ হাজার বৎসর পূর্বে পবিত্র বেদ বলছে, ‘৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমণ করে মনুষ্য জন্ম লাভ করে।’
জ্ঞানের বিবর্তন স্বীকার করলে, বস্তুর বিবর্তন অনিবার্য! চোখের সামনে যাবতীয় বস্তুই তার জলন্ত সাক্ষী।
শুধু মানুষই নয় সমস্ত জীব-জন্তু, গাছপালা, হীরা-জহরত, সোনা, মণি-মাণিক্য, গ্যাস, বিষ, ইউরেনিয়াম, গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদির প্রধান উপাদান একই।
‘আমি’ বলতে জীবন, ‘আমার’ বলতে দেহ বা বস্তু। ‘আমি’ অদৃশ্য, ‘আমার’ দৃশ্য। দেহ বা বস্তুর সৃষ্টি সূত্র যেখানে শেষ; ‘জীবনের জন্মসূত্র সেখান থেকেই শুরু বলা যায়। জীবনের প্রধান উপাদান: আমিত্ব, মহব্বত, এরেদা ও এলেম; অর্থাৎ সত্তানুভূতি, আকর্ষণ, ইচ্ছা ও জ্ঞান। এগুলোর মূলত ‘আল্লাহ’ শব্দের মতোই পরিবর্তন, বিবর্তন, বচন বা লিঙ্গান্তর হয় না; তবে প্রত্যেকটি একক চক্রাকারে ঘুরে ফিরে আবর্তিত হয়ে ৩ টি মিলে ৪র্থটির জন্ম দেয় (দ্র: ‘আল্লাহর পরিচয়’)।
অথবা সৃস্টির আদি রহস্য । ইহা আদম সৃশটির
পূর্বে সৃস্টি বলে দলিল আক্ষায়িত করে। কারন আদমই হল আল্লাহর অবয়ব সৃস্টি ।
মানে হল আল্লাহ যেই আকৃতি বা পকৃতিতে সৃস্টি আদমও ঐ আকৃতি বা পকৃতিতে সৃস্টি ।
আপেক্ষিক বিশ্বাস/অবিশ্বাস ব্যতীত সৃষ্টিরহস্য উদ্ঘাটন মানুষের পক্ষে কোনো দিনও সম্ভব হবে না; যেমন সম্ভব হয় না আপন দেহের বিভিন্ন গ্রহ/গ্যালাক্সিতে বসবাসরত একটি কীটের পক্ষে পূর্ণ মানুষটিকে আবিষ্কার করা।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে পাওয়া এবং বাংলাদেশের কোনো এক দৈনিকে তা প্রকাশ যে, বিজ্ঞানীগণ প্রকৃতি সৃষ্টির সূচনা বা সময়কাল সম্বন্ধে গবেষণা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে, প্রকৃতি সৃষ্টিতে ঘড়ির ১ সেকেন্ডের ১ ট্রিলিয়ন ভাগের ১ ভাগ সময়ও লাগেনি। এর অর্থই সৃষ্টির আবর্তন-বিবর্তনের খ-িত কালের অভিজ্ঞতা ব্যতীত এর শুরুও নেই, শেষও নেই অথবা ঐ সিদ্ধান্তে পৌঁছা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।অর্থাৎ মানুষ সৃষ্টির উপাদান যাহা মানব দেব মাখলুকাত সৃস্টির উপাদানও তাই।

No comments:

Post a Comment