" ইয়াওমাল খামিস "
'ইয়াওমাল খামিস' অর্থ বৃহস্পতিবার। সেইদিন ছিল বৃহস্পতিবার। রাসুল (সাঃ) অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি বলিলেন ; কাগজ কলম আন, আমি অসিয়ত লিখিয়া দিয়া যাই, যাহা অনুসরন করিলে তোমরা আর কখনও বিভ্রান্ত হইবে না।
তাঁহার (সাঃ) এর 'ঘরের লোকেরা' ঐ প্রস্তাব সানন্দে গ্রহন করিয়া ঘরেই রহিলেন ( অর্থাৎ সত্যের ঘরে রহিলেন ) এবং নবুয়তের ঘরের শান এবং উহার দান সামলাইয়া লইলেন তাঁহাদের মধ্যে। আর বাহিরের লোকেরা মোর্চা সংগঠনে ব্যাস্ত হইয়া পড়িল; গঠন করিল বাহিরের শক্তির বিরাট দুর্গ।
এইরূপ বিজয়ী নবীর দানের বাহ্যিক অংশ লইয়া একদল শক্তিমদে মত্ত হইয়া উঠিল। অপর দল নবী কে তাঁহাদের মধ্যে রাখিয়া তাঁহার দাফন-কাফনে শরিক হইয়া নবীর নবুয়্যতের শানকে তাঁহাদের আওতার মধ্যে সমাহিত করিয়া আধ্যাত্বিক বিজয়ের রওজা মোনাওয়ারা তৈরী করিয়া তুলিলেন।
তাঁহার (সাঃ) এর 'ঘরের লোকেরা' ঐ প্রস্তাব সানন্দে গ্রহন করিয়া ঘরেই রহিলেন ( অর্থাৎ সত্যের ঘরে রহিলেন ) এবং নবুয়তের ঘরের শান এবং উহার দান সামলাইয়া লইলেন তাঁহাদের মধ্যে। আর বাহিরের লোকেরা মোর্চা সংগঠনে ব্যাস্ত হইয়া পড়িল; গঠন করিল বাহিরের শক্তির বিরাট দুর্গ।
এইরূপ বিজয়ী নবীর দানের বাহ্যিক অংশ লইয়া একদল শক্তিমদে মত্ত হইয়া উঠিল। অপর দল নবী কে তাঁহাদের মধ্যে রাখিয়া তাঁহার দাফন-কাফনে শরিক হইয়া নবীর নবুয়্যতের শানকে তাঁহাদের আওতার মধ্যে সমাহিত করিয়া আধ্যাত্বিক বিজয়ের রওজা মোনাওয়ারা তৈরী করিয়া তুলিলেন।
" হে আমার রব আমার উম্মত আমাকে দাও, আমার উম্মত আমাকে দাও-" এইভাবে তিনি তাঁহার উম্মতের সঙ্গি হইয়াই রহিলেন। শেষ নিঃশ্বাসে যে যাহা চায় সে তাহাই পায়, বিশেষ করিয়া ইহা হইল নবীর চাহিদা। 'উম্মতি' বলিতে সবাইকে মনে করা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহা নহে, দলের বেশিরভাগ লোক হইতে হতাশাগ্রস্থ নবী গুটিকতক আপনজনকে স্বভাবতই আঁকড়াইয়া ধরিবার আকুল আবেদন প্রকাশ করিয়া উঠিলেন ' হাবলি উম্মতি ' বলিয়া ।
যাঁহারা ' আমার উম্মত ' এইদলে রহিলেন তাঁহারাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ অংশ পাইলেন। তাঁহারা আহলে বাইত দলের সমর্থক দল হইয়া রহিলেন। আর যাহারা বাহিরে রহিল, শক্তি সঞ্চয় করিল, তাহার সংখ্যাধিক্য অর্জন করিল, প্রাচুর্য আনয়ন করিল।
' ফাতহাম মোবিন ' এর অধিকারী অর্থাৎ জাহেরে বাতেনে স্পষ্ট বিজয়ী, সর্বশ্রেস্ট মুজাহেদ, বিজয় সম্রাট রাসুলের (সাঃ) রাব্বিল আল আমিন আপন গৃহে পর্দার অন্তরালে যাত্রা করিতেছেন । বাহিরের লীলা সংবরণ করিয়া এককভাবে মোমিনের অন্তরে লীলায়িত হইয়া উঠিবার জন্য আলোকরূপে আহলে বাইতের অন্তর রাজ্যে প্রবেশ করিতেছেন। যাহারা তাহাকেই চাহিল, তাহারা অন্তরে নবীর আদর্শের বুনিয়াদ শক্ত করিল। বাহিরের হুমকি অগ্রাহ্য করিল। বাহিরের বিজয় কে যাহারা গ্রহন করিল তাহারা তাহার বিজিত রাজ্য সুখভোগের দিকে ছুটিল।
যাঁহারা ' আমার উম্মত ' এইদলে রহিলেন তাঁহারাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ অংশ পাইলেন। তাঁহারা আহলে বাইত দলের সমর্থক দল হইয়া রহিলেন। আর যাহারা বাহিরে রহিল, শক্তি সঞ্চয় করিল, তাহার সংখ্যাধিক্য অর্জন করিল, প্রাচুর্য আনয়ন করিল।
' ফাতহাম মোবিন ' এর অধিকারী অর্থাৎ জাহেরে বাতেনে স্পষ্ট বিজয়ী, সর্বশ্রেস্ট মুজাহেদ, বিজয় সম্রাট রাসুলের (সাঃ) রাব্বিল আল আমিন আপন গৃহে পর্দার অন্তরালে যাত্রা করিতেছেন । বাহিরের লীলা সংবরণ করিয়া এককভাবে মোমিনের অন্তরে লীলায়িত হইয়া উঠিবার জন্য আলোকরূপে আহলে বাইতের অন্তর রাজ্যে প্রবেশ করিতেছেন। যাহারা তাহাকেই চাহিল, তাহারা অন্তরে নবীর আদর্শের বুনিয়াদ শক্ত করিল। বাহিরের হুমকি অগ্রাহ্য করিল। বাহিরের বিজয় কে যাহারা গ্রহন করিল তাহারা তাহার বিজিত রাজ্য সুখভোগের দিকে ছুটিল।
উপস্থিত প্রেমিকগণ তাহাদের সংসার ভুলিলেন। দেহে থাকিয়াও'বিদেহী নবীর সঙ্গে তাহারাও যেন বিদেহী হইয়া গেলেন। স্তব্ধ এবং হতভম্ব হইয়া আত্মবিস্মৃত অবস্থায় তাহারাও যেন কোন অজানা কল্পলোকে যাত্রা করিলেন তাহা তাহারা নিজেরাই বুঝিয়া উঠিতে পারিলেন না, ইহা তাহাদের কি হইলো ? প্রেমের অভিনয় যাহারা করিতে পারে তাহারা অভনয় করিল। মরমে যাহারা মরিতে জানে তাহারা জীবন্মৃত হইল। কাহার সাধ্য তাহাদিগকে স্মরণ করাইয়া দেয় বাহিরের লাভ লোকসান ? ভাবুক ভাবিতে পারে না, কথক কহিতে পারে না, কী সেই রূপ ?
কোথা তাহার গতি ? আহলে বাইতগণ তাঁহাদের দেহের গৃহে নাই। কোথায় যেন হারাইয়া গিয়াছেন।
যাহারা ওজন করিয়া প্রেম করে তাঁহাদের কথা আলাদা । প্রেমাস্পদের বিয়োগান্তেও তাহারা বুদ্ধি করিয়া সব কিছু বিবেচনা করিয়া অনেক কথাই ভাবিতে পারে।
কোথা তাহার গতি ? আহলে বাইতগণ তাঁহাদের দেহের গৃহে নাই। কোথায় যেন হারাইয়া গিয়াছেন।
যাহারা ওজন করিয়া প্রেম করে তাঁহাদের কথা আলাদা । প্রেমাস্পদের বিয়োগান্তেও তাহারা বুদ্ধি করিয়া সব কিছু বিবেচনা করিয়া অনেক কথাই ভাবিতে পারে।
এখান হইতে সাহাবিগণ দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া যাওয়ার সূত্রপাত হইয়া গেল । একভাগ উম্মতে মোহাম্মদি সাহাবি, অপরভাগ কলেমা পাঠকারী সাহাবি ! পরবর্তীকালে উদ্ভুত এই দুইটি দলের পরস্পরবিরোধ এবং আদর্শগত এই পার্থক্য সর্বপ্রথম নির্ণয় করিয়া দিল হাদিসে কেরতাসে উল্লিখিত এই বিশিষ্ট ঘটনা। অর্থাৎ ' বেরিয়ে যাও ' ঘটনা ।
হিজরি সন প্রবর্তনের ইতিবৃত্ত
সেইদিন ছিল মক্কাবাসির বিজয় উৎসব দিবস। তাহাদের ধর্মের প্রধান শত্রুদল এবং মক্কার প্রধান শাসক আবু তালেবের (আঃ) বংশধরগণ নির্যাতিত হয়ে পরাজয় বরণ করিয়এ পালাইয়া গিয়াছে। সেইদিন ঘরে ঘরে আনন্দের রল পড়িয়া গিয়াছিল। মদ্যপান ও নাচগানের আসরের ধুম চলিয়াছিল। দেব-দেবীগণের প্রতি ভক্তি ও পূজা-অর্চনা দেওয়া হইয়াছিল, যেহেতু তাহাদের দুশমন মোহাম্মদ আ. দলবল লইয়া পালাইয়া গিয়াছেন।
তাঁহার আবু তালেবের (আঃ) এন্তেকালের পর হইতে রাসুল (আ.) জীবনের বিষাদময় এবং ঘোর বিপদময় দুইটি বছর অতি কষ্টে অতিবাহিত হইয়াছিল। তাঁহার দুর্দশার যে চরম পরিণতি মক্কায় ঘতিয়াছিল তাহারই বিষাদময় স্মৃতি দিবস “হিজরত” হইল আনন্দে উৎফুল্ল মক্কানগরী।
খলিফা ওমর যখন খলীফা পারস্য ও মিশর জয় করিয়াছেন এবং শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন তখন তিনি বলিলেনঃ “বিশ্বের সকল বৃহৎ জাতিসমূহের নিজস্ব একটি সাল এবং বর্ষপঞ্জিকা থাকে আমাদেরও একটি সাল থাকা প্রয়োজন”।
সেইদিন ছিল মক্কাবাসির বিজয় উৎসব দিবস। তাহাদের ধর্মের প্রধান শত্রুদল এবং মক্কার প্রধান শাসক আবু তালেবের (আঃ) বংশধরগণ নির্যাতিত হয়ে পরাজয় বরণ করিয়এ পালাইয়া গিয়াছে। সেইদিন ঘরে ঘরে আনন্দের রল পড়িয়া গিয়াছিল। মদ্যপান ও নাচগানের আসরের ধুম চলিয়াছিল। দেব-দেবীগণের প্রতি ভক্তি ও পূজা-অর্চনা দেওয়া হইয়াছিল, যেহেতু তাহাদের দুশমন মোহাম্মদ আ. দলবল লইয়া পালাইয়া গিয়াছেন।
তাঁহার আবু তালেবের (আঃ) এন্তেকালের পর হইতে রাসুল (আ.) জীবনের বিষাদময় এবং ঘোর বিপদময় দুইটি বছর অতি কষ্টে অতিবাহিত হইয়াছিল। তাঁহার দুর্দশার যে চরম পরিণতি মক্কায় ঘতিয়াছিল তাহারই বিষাদময় স্মৃতি দিবস “হিজরত” হইল আনন্দে উৎফুল্ল মক্কানগরী।
খলিফা ওমর যখন খলীফা পারস্য ও মিশর জয় করিয়াছেন এবং শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন তখন তিনি বলিলেনঃ “বিশ্বের সকল বৃহৎ জাতিসমূহের নিজস্ব একটি সাল এবং বর্ষপঞ্জিকা থাকে আমাদেরও একটি সাল থাকা প্রয়োজন”।
কখন হইতে কোন ঘটনাকে স্মরণীয় করিয়া এই সাল আরম্ভ হওয়া উচিত তাহার উপর আলোচনা হইল। যে কয়টি বিশেষ ঘটনার প্রস্তাব দেওয়া হইয়াছিল তাহা হইলঃ
১) রাসুলাল্লাহ (আ.) এন্তেকাল দিবস। যেমনঃ ঈসা (আঃ) এন্তেকাল দিবস হইতে খ্রিষ্টাব্দ গণনা আরম্ভ করা হইয়াছে।
২) রাসুলাল্লাহর (আ.) জন্মদিবস।
৩) প্রকাশ্যে সমাজের নিকট প্রথম নবুয়ত প্রকাশ দিবস। যাহাকে ‘এলানে নবুয়ত’ বলা হয়।
৪) ইসলামের/ দ্বীনে মোহাম্মদীর প্রথম বিজয় বদর যুদ্ধের বিজয়।
৫) রাসুলাল্লাহর (আ.) মক্কা বিজয় দিবস। যেহেতু মক্কা ছিল বৃহত্তর শত্রুদেশ এবং বৃহত্তর বাঁধা। ইহার পতনে দ্বীনে মোহাম্মদীর চরম বিজয়ের সূচনা করিয়া দিল।
৬) রাসুলাল্লাহকে (আ.) কে মারিয়া ফেলিতে না পারিলেও তিনি মক্কাতে ধর্মপ্রচারের পরাজয় গ্রহণ করিয়া প্রাণ লইয়া কোনমতে ভাগিয়া যাইতে বাধ্য হইয়াছিলেন, সেই বিজয় উৎসবের হিজরত দিবস।
১) রাসুলাল্লাহ (আ.) এন্তেকাল দিবস। যেমনঃ ঈসা (আঃ) এন্তেকাল দিবস হইতে খ্রিষ্টাব্দ গণনা আরম্ভ করা হইয়াছে।
২) রাসুলাল্লাহর (আ.) জন্মদিবস।
৩) প্রকাশ্যে সমাজের নিকট প্রথম নবুয়ত প্রকাশ দিবস। যাহাকে ‘এলানে নবুয়ত’ বলা হয়।
৪) ইসলামের/ দ্বীনে মোহাম্মদীর প্রথম বিজয় বদর যুদ্ধের বিজয়।
৫) রাসুলাল্লাহর (আ.) মক্কা বিজয় দিবস। যেহেতু মক্কা ছিল বৃহত্তর শত্রুদেশ এবং বৃহত্তর বাঁধা। ইহার পতনে দ্বীনে মোহাম্মদীর চরম বিজয়ের সূচনা করিয়া দিল।
৬) রাসুলাল্লাহকে (আ.) কে মারিয়া ফেলিতে না পারিলেও তিনি মক্কাতে ধর্মপ্রচারের পরাজয় গ্রহণ করিয়া প্রাণ লইয়া কোনমতে ভাগিয়া যাইতে বাধ্য হইয়াছিলেন, সেই বিজয় উৎসবের হিজরত দিবস।
এই ছয়টির প্রস্তাবের মধ্যে হিজরত দিবসই স্মরণীয় করিয়ার রাখার প্রস্তাব গ্রহণ করিলেন খলিফা ওমর (রা:)।
হিজরি সাল গ্রহণের পেছনে তাহাদের অন্তরে কি যুক্তি ছিল? রাসুলাল্লাহ (আ.) মক্কা জয় করিয়াছিলেন। মক্কাবাসীগণ বাধ্য হইয়া অবস্থায় চাপে পড়িয়া আত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন। মক্কাবাসীগণ বাধ্য হইয়া অবস্থার চাপে পড়িয়া আত্মসমর্পণ করিয়াছিল বিজয়ী দলের নিকট। আসলে ধর্ম তাহারা গ্রহণ করে নাই বলিলেই চলে। প্রকাশ্য মূর্তি পুজা বাদ দিয়াছিল মাত্র। তাহারা সুযোগ গ্রহণ করা হইল। খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হইল। বিজয়ী দলকে বিজিত করা হইল। তাহাদের মতে রাসুলাল্লাহ আ. ধর্মের নামে আসলে তাঁহার বংশধরের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করিতে চাহিয়াছিলেন। তাঁহার সেই উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করিয়া দিতে পারিয়াছিল খেলাফত। সেইজন্য এই বিজয় দিবস “হিজরত”।
হিজরি সাল গ্রহণের পেছনে তাহাদের অন্তরে কি যুক্তি ছিল? রাসুলাল্লাহ (আ.) মক্কা জয় করিয়াছিলেন। মক্কাবাসীগণ বাধ্য হইয়া অবস্থায় চাপে পড়িয়া আত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন। মক্কাবাসীগণ বাধ্য হইয়া অবস্থার চাপে পড়িয়া আত্মসমর্পণ করিয়াছিল বিজয়ী দলের নিকট। আসলে ধর্ম তাহারা গ্রহণ করে নাই বলিলেই চলে। প্রকাশ্য মূর্তি পুজা বাদ দিয়াছিল মাত্র। তাহারা সুযোগ গ্রহণ করা হইল। খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হইল। বিজয়ী দলকে বিজিত করা হইল। তাহাদের মতে রাসুলাল্লাহ আ. ধর্মের নামে আসলে তাঁহার বংশধরের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করিতে চাহিয়াছিলেন। তাঁহার সেই উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করিয়া দিতে পারিয়াছিল খেলাফত। সেইজন্য এই বিজয় দিবস “হিজরত”।
মক্কা বিজয় দিবসকে স্মরণীয় দিবস হিসাবে মোটেই গ্রহণ করা যাইতে পারে না। উহা গ্রহণ করিলে শুধু রাসুলের (আ.) জয় নহে, মক্কার উপর মদিনার জয়ও সুচিত হয়। কোরেশদের উপর আনসারগণের বিজয় স্মৃতি? সে তো কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হইতে পারে না।
খেলাফতের বিরুদ্ধে বিশ্বের মুসলমান এই জাতীয় হোক কথা কোনকালেই বরদাস্ত করিতে রাজী থাকে নাই। এইজন্যই সমগ্র মোসলেম শাসন আমলে, তাহার সকল যুগেই অসংখ্য অন্যায় এবং অত্যাচার সংঘটিত হইয়া গিয়াছে। বর্তমান যুগের মোসলেম দেশগুলি কতকটা ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া সত্যেও প্রাচীন মতবাদ এখনও অটুট রহিয়াছে।
এইতো সেদিনের কথাঃ মিশরের প্রধান বিচারক (Chief Justice) ডক্টর আলী আব্দুর রাজ্জাক একখানা বই লিখিয়াছিলেন, তার নাম “আল ইসলাম ওয়া অসুলুল্ হাকাম” অর্থাৎ “ইসলাম এবং হুকুমতের মূল ভিত্তি।” তাহার এই পুস্তকে তিনি এই কথাই প্রকাশ করিয়াছিলেন যে, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি যাহা রাসুলাল্লাহ আ. নির্দেশ দান করিয়া গিয়াছেন আর যে সকল শাসনমূলক মূলনীতি যুগে যুগে তথাকথিত মোসলেম রাষ্ট্র গ্রহণ করিয়া আসিতেছে তাহা মোটেই এক নয়। অর্থাৎ রাসুলের (আ.) প্রকাশিত ব্যবস্থার সঙ্গে কোন শাসন ব্যবস্থার মূলনীতির কোন মিল ছিল না। খেলাফত হইতে এই ব্যতিক্রম আরম্ভ হইয়াছিল।
এই সত্য কথা প্রকাশের ফলে তাহার বইখানা বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তাঁহাকে চাকুরী বরখাস্ত করিয়া দেওয়া হয়। রাষ্ট্র বর্তমান যুগে ধর্মনিরপেক্ষ, তাই প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয় নাই।
খেলাফতের বিরুদ্ধে বিশ্বের মুসলমান এই জাতীয় হোক কথা কোনকালেই বরদাস্ত করিতে রাজী থাকে নাই। এইজন্যই সমগ্র মোসলেম শাসন আমলে, তাহার সকল যুগেই অসংখ্য অন্যায় এবং অত্যাচার সংঘটিত হইয়া গিয়াছে। বর্তমান যুগের মোসলেম দেশগুলি কতকটা ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া সত্যেও প্রাচীন মতবাদ এখনও অটুট রহিয়াছে।
এইতো সেদিনের কথাঃ মিশরের প্রধান বিচারক (Chief Justice) ডক্টর আলী আব্দুর রাজ্জাক একখানা বই লিখিয়াছিলেন, তার নাম “আল ইসলাম ওয়া অসুলুল্ হাকাম” অর্থাৎ “ইসলাম এবং হুকুমতের মূল ভিত্তি।” তাহার এই পুস্তকে তিনি এই কথাই প্রকাশ করিয়াছিলেন যে, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি যাহা রাসুলাল্লাহ আ. নির্দেশ দান করিয়া গিয়াছেন আর যে সকল শাসনমূলক মূলনীতি যুগে যুগে তথাকথিত মোসলেম রাষ্ট্র গ্রহণ করিয়া আসিতেছে তাহা মোটেই এক নয়। অর্থাৎ রাসুলের (আ.) প্রকাশিত ব্যবস্থার সঙ্গে কোন শাসন ব্যবস্থার মূলনীতির কোন মিল ছিল না। খেলাফত হইতে এই ব্যতিক্রম আরম্ভ হইয়াছিল।
এই সত্য কথা প্রকাশের ফলে তাহার বইখানা বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তাঁহাকে চাকুরী বরখাস্ত করিয়া দেওয়া হয়। রাষ্ট্র বর্তমান যুগে ধর্মনিরপেক্ষ, তাই প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয় নাই।
সংগৃহীত ।
No comments:
Post a Comment