Saturday, July 2, 2016

হায়াতুন্নবী (দঃ)

~~~ হায়াতুন্নবী (দঃ)~~~
_______________________
আল্লাহর-রাসূল (সাঃ) রওযা মোবারকে পবিত্র দেহ স্থাপন এবং রূহ মোবারক ফেরতদান" তিনি হায়াতুন্নবী (দঃ):-
হযরত আশেয়া সিদ্দিকা (রাঃ)-এর হুজরার মধ্যে রওযা মোবারক তৈরী করা হয়। হযরত আলী (রাঃ)" হযরত আব্বাস (রাঃ)" হযরত ফযল ইবনে আব্বাস (রাঃ) এবং নবী করিম (দ:)-এর আশ্রিত খাদেম হযরত সালেহ (রাঃ)-এই চারজন সাহাবী নবী করিম (দঃ) কে রওযায় নামান। হযরত আব্বাস (রাঃ) দেখতে পেলেন-কাফনের ভিতরে হুজুর (দঃ)-এর ঠোঁট মোবারক নড়ছে-তিনি জীবিত। তিনি কান লাগিয়ে শুনতে পেলেন-নবী করিম (দঃ) "" রাব্বি হাবলী উম্মতি"" বলে কাদছেন। ইমাম বায়হাকীর সূত্রে ইমাম তকিউদ্দিন সুবকি রেওয়ায়াত করেনঃ-
অর্থ:- " রাসূল মকবুল (দঃ) কে রওযা মোবারকে দাফন করার পরপরই আল্লাহ তায়ালা তাঁর রূহ মোবারককে ফেরত পাঠিয়ে দেন এবং রূহ মোবারক দেহ মোবারকের মধ্যে কেয়ামত পর্যন্ত সবসময় অবস্থান করতে থাকবে- যাতে তিনি উম্মতের সালামের জবাব দিতে পারেন।"" ( ইমাম তকিউদ্দীন সুবুকী (৬২৭ হিঃ) কৃত সিফাউস সিকাম ফী যিয়ারাতে খাইরিল আনাম ) ।
উপরিক্ত বর্ণিত ইমাম বায়হাকী (রহঃ)- রেওয়ায়াতখানা একথাই প্রমাণ করে যে" নবী করিম (দঃ)- এর রূহ মোবারক সোমবার দ্দ্বিপ্রহরের কিছু পূর্বে হতে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় ৪০ ঘন্টা দেহ মোবারক থেকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে পৃথক থাকার পর ঐ রাত্রেই পুনরায় ফেরত দান করা হয়। সুতারাং নবী করিম (সাঃ) এখন ও সশরীরে রওযা মোবারকে হায়াতুন্নবী হিসাবে জীবিত আছেন ও কেয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবেন।
এছাড়াও হুজুর (সাঃ) বলেছেন:- "" আনা আছমাউ ছালাতাকুম আলাইয়া বিলা ওয়াছিতাতিন""
অর্থ:- আমি ফেরেস্তাদের মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি তোমাদের সালাম শুনতে পাই। ( আল-হাদিস)
-----------------------
এরপর যারা বলে থাকে আমাদের নবী জিন্দা নয় মরা তাদের আল্লাহ পাক হেদায়েত দান করুন। আমিন।

No comments:

Post a Comment